Palah Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

what mujib said

Jyothi Basu Is Dead

Unflinching Left firm on nuke deal

Jyoti Basu's Address on the Lok Sabha Elections 2009

Basu expresses shock over poll debacle

Jyoti Basu: The Pragmatist

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Tuesday, February 12, 2013

পরমানু শক্তিসাম্যে নয়া বিস্ফোরণ কোরিয়ার

পরমানু শক্তিসাম্যে নয়া বিস্ফোরণ কোরিয়ার
পরমানু শক্তিসাম্যে নয়া বিস্ফোরণ কোরিয়ার
পিয়ংইয়ং: হুঁশিয়ারি ছিলই৷ কিন্ত্ত সত্যিই যে উত্তর কোরিয়া রাতারাতি পরমাণু পরীক্ষা করে ফেলবে, তা বিশ্বাস করতে পারেনি আন্তর্জাতিক দুনিয়া৷ ফলে পরীক্ষামূলক বোমা বিস্ফোরণের কাঁপন ছড়িয়ে গেল সারা বিশ্বে৷

পিয়ংইয়ং যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া তার প্রথম আঁচ পায় মাটির কম্পনে৷ মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের যন্ত্রে ধরা পড়ে রিখটার স্কেলে সে কম্পনের তীব্রতা ৪.৯৷ অচিরেই বুঝতে পারা যায়, সে কম্পন মানুষের হাতে তৈরি৷ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সারা বিশ্ব বুঝতে পারে, কিলজুর মাটির তলায় গোপন কেন্দ্রে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পিয়ংইয়ং৷ এই নিয়ে তিন বার৷

উত্তর কোরিয়ার জাতীয় সংবাদসংস্থা 'কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি' (কেসিএনএ) জানিয়েছে, গত তিনটি পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের মধ্যে এ বারের অস্ত্রটিই সবচেয়ে ছোট, হাল্কা ও বিধ্বংসী৷ ইতিমধ্যেই উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রাগারে থাকা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পিয়ংইয়ং সহজেই নিশানা করতে পারবে শত্রুদের৷

পিয়ংইয়ং থেকে কম্পনের অভিঘাত এসে পৌঁছেছে ওয়াশিংটনেও৷ কেসিএনএ-র এই দাবিকে মোটেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না তারা৷ ৫০-এর দশকে কোরিয়া যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া আমেরিকাকেই নিজেদের পয়লা নম্বর দুশমন মনে করে৷ এর আগে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উত্ক্ষেপণের পর পিয়ংইয়ং জানিয়েছিল, তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লায় এ বার ওয়াশিংটনও চলে এল৷ ফলে মঙ্গলবারের পরীক্ষার পর কেসিএনএ যে 'শত্রুদের টার্গেট' করার কথা বলেছে তা যে আমেরিকাকে লক্ষ্য করেই, বুঝতে দেরি হয়নি ওবামা প্রশাসনের৷

শুধু আমেরিকাই নয়, বিরক্ত উত্তর কোরিয়ার অন্যতম বন্ধু চিনও৷ এর আগে উপগ্রহ কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ থেকে পরমাণু গবেষণা - সব ক্ষেত্রেই তামাম দুনিয়া যখন উত্তর কোরিয়ার বিরোধিতা করেছিল, একমাত্র চিনই ছিল কিং জং উনের পাশে৷ কিন্ত্ত পরমাণু বিস্ফোরণের পর সেই বেজিংই এর প্রকাশ্য সমালোচনা করেছে৷ জানিয়েছে, এর ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চড়বে অস্বস্তির পারা৷

কিম জং উন সরকারের হয়ে কেসিএনএ জানিয়েছে, 'বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী আমেরিকা৷ পিয়ংইয়ং কী করবে, আর কী করবে না, তা কখনওই কোনও বাইরের রাষ্ট্র ঠিক করে দিতে পারে না৷ কিন্ত্ত ওয়াশিংটন তাই-ই করেছে৷ বিশ্বজোড়া মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এ দিন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে৷'

জাতীয় সংবাদসংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ সন্তাহে 'নোরা' নামে একটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর পর আন্তর্জাতিক মহলে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিল উত্তর কোরিয়া৷ উত্তরের এই পদক্ষেপকে সন্দেহের চোখে দেখেছিল দক্ষিণ৷ সোলের সেই সংশয় সমর্থিত হয় ওয়াশিংটনেও৷ আমেরিকার প্রতিক্রিয়া, নিষেধাজ্ঞার পরোয় না করে এ ভাবে লুকিয়ে উপগ্রহ উত্ক্ষেপণ নিন্দনীয়৷ অনুমতি ছাড়া এমন কাজ উত্তর কোরিয়া কখনওই করতে পারে না৷ যদিও কিম জং উন সরকার জানিয়েছিল, এই উত্ক্ষেপণ একেবারেই শান্তিপূর্ণ, কিন্ত্ত বিশ্ব দরবারে তা গুরুত্ব পায়নি৷

এর আগে ২০০৬ ও ২০০৯ সালে দু'টি পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটায় উত্তর কোরিয়া৷ এর পর থেকেই পিয়ংইয়ংয়ের ওপর বলবত্ রয়েছে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা৷ দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, এই কারণেই কিলজুর গোপন ভূগর্ভস্থ কেন্দ্রে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে৷ অনেক দিন ধরেই গোপনে ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়ামের মতো তেজস্ক্রিয় মৌলের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে তোলার অভিযোগ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে৷ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই না করে কোনও রাষ্ট্র এ ভাবে পরমাণু জ্বালানির ভাঁড়ার গড়ে তুলতে পারে না, এই যুক্তিতে ক্রমে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ বাড়িয়ে তোলে রাষ্ট্রসঙ্ঘ৷ চাপিয়ে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞার বোঝা৷ কিন্ত্ত কোনও কিছুই পরমাণু গবেষণার দৌড় থেকে উত্তর কোরিয়াকে বিরত করতে পারেনি৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধু রাষ্ট্রসঙ্ঘ নয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মঙ্গলবার বিস্ফোরণ ঘটায় পিয়ংইয়ং৷

মার্কিন পরমাণু বিজ্ঞানী সিগফ্রিড হেকার জানিয়েছেন, অভিজ্ঞতা আর উপগ্রহ ছবির বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেছেন গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় জ্বালানির ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে কোরিয়া৷ সিগফ্রিডের হিসেব বলছে, দেশে যে পরিমাণ প্লুটোনিয়াম রয়েছে, তাতে অন্তত চার থেকে আটটি শক্তিশালী বোমা তৈরি করা সম্ভব৷

No comments:

Post a Comment