Palah Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

what mujib said

Jyothi Basu Is Dead

Unflinching Left firm on nuke deal

Jyoti Basu's Address on the Lok Sabha Elections 2009

Basu expresses shock over poll debacle

Jyoti Basu: The Pragmatist

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Tuesday, February 12, 2013

সাক্ষাত্‍কারে উঠে এল ওসামা হত্যার মুহূর্তের

সাক্ষাত্‍কারে উঠে এল ওসামা হত্যার মুহূর্তের
সাক্ষাত্‍কারে উঠে এল ওসামা হত্যার মুহূর্তের
ওয়াশিংটন: গাঢ় অন্ধকারে দেখা যাচ্ছিল না কিছুই৷ তবু অভিজ্ঞ চোখ চিনে নিতে দেরি করেনি সেই অতি পরিচিত মুখ৷ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতিটি নিশানাতেই থাকত ৯/১১ আক্রমণের মূল চক্রীর লাদেনের মুখোশ, তবে সেই মুখোশের সঙ্গে আসল মুখ মেলাতে সময় পাওয়া গিয়েছিল মাত্র কয়েক সেকেণ্ড৷ বিশাল লম্বা শরীরটা এক মহিলার কাঁধে হাত রেখে এগিয়ে আসছিল৷ আচমকা হানায় কেমন যেন বিব্রত দেখাচ্ছিল তাঁকে৷ 

অল্পবয়সি মহিলাটিকে ঢালের মতো এগিয়ে দিয়েছিলেন সামনে৷ বাঁচতে চাওয়ার ইচ্ছা কি তীব্র হয়েছিল জীবনের শেষ মুহূর্তে, নাকি তাঁর অল্পবয়সি স্ত্রী নিজে থেকেই শহীদ হওয়ার ইচ্ছায় এগিয়ে গিয়েছিলেন? এত ভেবে দেখার সময় ছিল না নেভি সিলের কম্যান্ডোটির৷ তাঁর দিকে তখনও নজর যায়নি লাদেনের৷ পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের চার তলা বাড়িটির হলঘর থেকে গোলমালের শব্দ পেয়ে স্ত্রীকে সামনে রেখে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷ কিন্ত্ত কম্যান্ডোর চোখ এড়ায়নি সামনে পড়ে থাকা একে ৪৭৷ অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝে গিয়েছিলেন আর দেরি করলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত৷ চাকরি জীবনে এই প্রথম বার এ রকম কোনও গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের অংশ তিনি, তবু ভুল হয়নি এত টুকু৷ 

তাঁর প্রথম গুলি গিয়ে লাগে ওসামার কপালে৷ আহত ওসামা সামনে থাকা রাইফেলের দিকে হাত বাড়ানোর সুযোগটুকুও পাননি৷ দ্বিতীয় বুলেটও গিয়ে বিঁধল একই জায়গায়৷ লম্বা দেহটা লুটিয়ে পড়ল বিছানার সামনের মেঝেতে৷ আবার গুলি৷ শেষ ত্রাসের অধ্যায়৷ সময় লাগল মাত্র ১৫ সেকেণ্ড৷ জিভ বেরিয়ে আসা মুখটা দেখে নিশ্চিত হয়েছিলেন কম্যান্ডো৷ 

এই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে 'অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার' শেষ হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর৷ নেভি সিলের যে কম্যান্ডোর গুলিতে শেষ হয়েছিল আল কায়দা প্রধানের জীবন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কম্যান্ডার এই প্রথম মুখ খুলেছেন এক মার্কিন পত্রিকার সাক্ষাত্‍কারে৷ ওই অপারেশনেরই আর এক কম্যান্ডো ম্যাট বিসোনিতির লেখা বই 'নো ইজি ডে' প্রকাশিত হয়েছে গত বছর৷ তাতেও উঠে এসেছে এই ধরনেরই কিছু অভিজ্ঞতার কথা৷ তবে গোপন অপারেশনের বেশ কিছু পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ওই কম্যান্ডোর উপর যারপরনাই বিরক্ত মার্কিন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ এর পর এই সাক্ষাত্কার আধিকারিকদের কপালের ভাঁজ আরও গভীর করবে বলেই ধারণা, তবে এ ব্যাপারে একেবারেই ভাবিত নন গত বছর অবসরপ্রান্ত এই কম্যান্ডো৷ 

এই সাক্ষাত্কারে উঠে এসেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য৷ অপারেশন শেষে লাদেনের ওই গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে তাঁরা আসেন জালালাবাদের এক আস্তানায়৷ সেখানে লাদেনকে প্রথম শনাক্ত করেন মার্কিন গুপ্তচর বাহিনীর হয়ে কাজ করা সেই মহিলা, যিনি লাদেনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর নজরদারি করতেন৷ যাঁর পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল এই মাস্টার মিশন, সেই মহিলা কিন্ত্ত লাদেনের দেহ দেখে অঝোরে কেঁদে ফেলেছিলেন৷ সেই কান্নার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল শনাক্তকরণের উত্তর৷ মার্কিন কম্যান্ডো জানান, ওবামার উপর তিনটি গুলি খরচের পর ২৭টি গুলি ভরা ওই ম্যাগাজিন স্মারক হিসেবে তুলে দেন ওই সাহসিনীর হাতে৷ 

অতি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত ওই কম্যান্ডো এখন চিন্তিত তাঁর পরিবারকে নিয়ে৷ পরিবারের নিরাপত্তার নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি চাকরি জীবনের ২০ বছর শেষ না হওয়ায় পেনশন পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই৷ সাহসী ওই কম্যান্ডো তাই এখন ভীত আর্থিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায়৷ 

No comments:

Post a Comment