সাক্ষাত্কারে উঠে এল ওসামা হত্যার মুহূর্তের
ওয়াশিংটন: গাঢ় অন্ধকারে দেখা যাচ্ছিল না কিছুই৷ তবু অভিজ্ঞ চোখ চিনে নিতে দেরি করেনি সেই অতি পরিচিত মুখ৷ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতিটি নিশানাতেই থাকত ৯/১১ আক্রমণের মূল চক্রীর লাদেনের মুখোশ, তবে সেই মুখোশের সঙ্গে আসল মুখ মেলাতে সময় পাওয়া গিয়েছিল মাত্র কয়েক সেকেণ্ড৷ বিশাল লম্বা শরীরটা এক মহিলার কাঁধে হাত রেখে এগিয়ে আসছিল৷ আচমকা হানায় কেমন যেন বিব্রত দেখাচ্ছিল তাঁকে৷
অল্পবয়সি মহিলাটিকে ঢালের মতো এগিয়ে দিয়েছিলেন সামনে৷ বাঁচতে চাওয়ার ইচ্ছা কি তীব্র হয়েছিল জীবনের শেষ মুহূর্তে, নাকি তাঁর অল্পবয়সি স্ত্রী নিজে থেকেই শহীদ হওয়ার ইচ্ছায় এগিয়ে গিয়েছিলেন? এত ভেবে দেখার সময় ছিল না নেভি সিলের কম্যান্ডোটির৷ তাঁর দিকে তখনও নজর যায়নি লাদেনের৷ পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের চার তলা বাড়িটির হলঘর থেকে গোলমালের শব্দ পেয়ে স্ত্রীকে সামনে রেখে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷ কিন্ত্ত কম্যান্ডোর চোখ এড়ায়নি সামনে পড়ে থাকা একে ৪৭৷ অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝে গিয়েছিলেন আর দেরি করলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত৷ চাকরি জীবনে এই প্রথম বার এ রকম কোনও গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের অংশ তিনি, তবু ভুল হয়নি এত টুকু৷
তাঁর প্রথম গুলি গিয়ে লাগে ওসামার কপালে৷ আহত ওসামা সামনে থাকা রাইফেলের দিকে হাত বাড়ানোর সুযোগটুকুও পাননি৷ দ্বিতীয় বুলেটও গিয়ে বিঁধল একই জায়গায়৷ লম্বা দেহটা লুটিয়ে পড়ল বিছানার সামনের মেঝেতে৷ আবার গুলি৷ শেষ ত্রাসের অধ্যায়৷ সময় লাগল মাত্র ১৫ সেকেণ্ড৷ জিভ বেরিয়ে আসা মুখটা দেখে নিশ্চিত হয়েছিলেন কম্যান্ডো৷
এই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে 'অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার' শেষ হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর৷ নেভি সিলের যে কম্যান্ডোর গুলিতে শেষ হয়েছিল আল কায়দা প্রধানের জীবন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কম্যান্ডার এই প্রথম মুখ খুলেছেন এক মার্কিন পত্রিকার সাক্ষাত্কারে৷ ওই অপারেশনেরই আর এক কম্যান্ডো ম্যাট বিসোনিতির লেখা বই 'নো ইজি ডে' প্রকাশিত হয়েছে গত বছর৷ তাতেও উঠে এসেছে এই ধরনেরই কিছু অভিজ্ঞতার কথা৷ তবে গোপন অপারেশনের বেশ কিছু পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ওই কম্যান্ডোর উপর যারপরনাই বিরক্ত মার্কিন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ এর পর এই সাক্ষাত্কার আধিকারিকদের কপালের ভাঁজ আরও গভীর করবে বলেই ধারণা, তবে এ ব্যাপারে একেবারেই ভাবিত নন গত বছর অবসরপ্রান্ত এই কম্যান্ডো৷
এই সাক্ষাত্কারে উঠে এসেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য৷ অপারেশন শেষে লাদেনের ওই গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে তাঁরা আসেন জালালাবাদের এক আস্তানায়৷ সেখানে লাদেনকে প্রথম শনাক্ত করেন মার্কিন গুপ্তচর বাহিনীর হয়ে কাজ করা সেই মহিলা, যিনি লাদেনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর নজরদারি করতেন৷ যাঁর পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল এই মাস্টার মিশন, সেই মহিলা কিন্ত্ত লাদেনের দেহ দেখে অঝোরে কেঁদে ফেলেছিলেন৷ সেই কান্নার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল শনাক্তকরণের উত্তর৷ মার্কিন কম্যান্ডো জানান, ওবামার উপর তিনটি গুলি খরচের পর ২৭টি গুলি ভরা ওই ম্যাগাজিন স্মারক হিসেবে তুলে দেন ওই সাহসিনীর হাতে৷
অতি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত ওই কম্যান্ডো এখন চিন্তিত তাঁর পরিবারকে নিয়ে৷ পরিবারের নিরাপত্তার নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি চাকরি জীবনের ২০ বছর শেষ না হওয়ায় পেনশন পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই৷ সাহসী ওই কম্যান্ডো তাই এখন ভীত আর্থিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায়৷
অল্পবয়সি মহিলাটিকে ঢালের মতো এগিয়ে দিয়েছিলেন সামনে৷ বাঁচতে চাওয়ার ইচ্ছা কি তীব্র হয়েছিল জীবনের শেষ মুহূর্তে, নাকি তাঁর অল্পবয়সি স্ত্রী নিজে থেকেই শহীদ হওয়ার ইচ্ছায় এগিয়ে গিয়েছিলেন? এত ভেবে দেখার সময় ছিল না নেভি সিলের কম্যান্ডোটির৷ তাঁর দিকে তখনও নজর যায়নি লাদেনের৷ পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের চার তলা বাড়িটির হলঘর থেকে গোলমালের শব্দ পেয়ে স্ত্রীকে সামনে রেখে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷ কিন্ত্ত কম্যান্ডোর চোখ এড়ায়নি সামনে পড়ে থাকা একে ৪৭৷ অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝে গিয়েছিলেন আর দেরি করলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত৷ চাকরি জীবনে এই প্রথম বার এ রকম কোনও গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের অংশ তিনি, তবু ভুল হয়নি এত টুকু৷
তাঁর প্রথম গুলি গিয়ে লাগে ওসামার কপালে৷ আহত ওসামা সামনে থাকা রাইফেলের দিকে হাত বাড়ানোর সুযোগটুকুও পাননি৷ দ্বিতীয় বুলেটও গিয়ে বিঁধল একই জায়গায়৷ লম্বা দেহটা লুটিয়ে পড়ল বিছানার সামনের মেঝেতে৷ আবার গুলি৷ শেষ ত্রাসের অধ্যায়৷ সময় লাগল মাত্র ১৫ সেকেণ্ড৷ জিভ বেরিয়ে আসা মুখটা দেখে নিশ্চিত হয়েছিলেন কম্যান্ডো৷
এই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে 'অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার' শেষ হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর৷ নেভি সিলের যে কম্যান্ডোর গুলিতে শেষ হয়েছিল আল কায়দা প্রধানের জীবন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কম্যান্ডার এই প্রথম মুখ খুলেছেন এক মার্কিন পত্রিকার সাক্ষাত্কারে৷ ওই অপারেশনেরই আর এক কম্যান্ডো ম্যাট বিসোনিতির লেখা বই 'নো ইজি ডে' প্রকাশিত হয়েছে গত বছর৷ তাতেও উঠে এসেছে এই ধরনেরই কিছু অভিজ্ঞতার কথা৷ তবে গোপন অপারেশনের বেশ কিছু পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ওই কম্যান্ডোর উপর যারপরনাই বিরক্ত মার্কিন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ এর পর এই সাক্ষাত্কার আধিকারিকদের কপালের ভাঁজ আরও গভীর করবে বলেই ধারণা, তবে এ ব্যাপারে একেবারেই ভাবিত নন গত বছর অবসরপ্রান্ত এই কম্যান্ডো৷
এই সাক্ষাত্কারে উঠে এসেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য৷ অপারেশন শেষে লাদেনের ওই গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে তাঁরা আসেন জালালাবাদের এক আস্তানায়৷ সেখানে লাদেনকে প্রথম শনাক্ত করেন মার্কিন গুপ্তচর বাহিনীর হয়ে কাজ করা সেই মহিলা, যিনি লাদেনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর নজরদারি করতেন৷ যাঁর পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল এই মাস্টার মিশন, সেই মহিলা কিন্ত্ত লাদেনের দেহ দেখে অঝোরে কেঁদে ফেলেছিলেন৷ সেই কান্নার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল শনাক্তকরণের উত্তর৷ মার্কিন কম্যান্ডো জানান, ওবামার উপর তিনটি গুলি খরচের পর ২৭টি গুলি ভরা ওই ম্যাগাজিন স্মারক হিসেবে তুলে দেন ওই সাহসিনীর হাতে৷
অতি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত ওই কম্যান্ডো এখন চিন্তিত তাঁর পরিবারকে নিয়ে৷ পরিবারের নিরাপত্তার নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি চাকরি জীবনের ২০ বছর শেষ না হওয়ায় পেনশন পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই৷ সাহসী ওই কম্যান্ডো তাই এখন ভীত আর্থিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায়৷
No comments:
Post a Comment