Palah Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

what mujib said

Jyothi Basu Is Dead

Unflinching Left firm on nuke deal

Jyoti Basu's Address on the Lok Sabha Elections 2009

Basu expresses shock over poll debacle

Jyoti Basu: The Pragmatist

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Tuesday, February 12, 2013

খেজুড়ির সমাবেশে কার্যত সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করলেন না রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে বসালেন গানের আসর। এবং তারপর ছুটি কাটাতে রওনা দিলেন দিঘার পথে।পরিবর্তনের পর থেকে যে অভূতপুর্ব হিংসা ও সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হল, তারই পরিণতি প্রতিটি ঘটনা।মুশকিল হল যে আমরা এই বঙ্গে এই রঙ্গ মারাত্বক ভাবে অকল্পনীয় বিনোদনী মেজাজে উপভোগ করছি নির্বাক্ দর্শকের মত।যাদের মতামত আছে, তারা আবার ওরাঁ আমরায় । আড়াআড়ি দ্বিধা বিভক্ত।তৃতীয় পক্ষ বহুসংখ্যক পচানব্বই শতাংশ মানুষের যেমন ক্ষমতায়ন হয়নি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলার এই চালচিত্রে তাঁদের মুখচ্ছবি ধরা পড়ার কথা নয়।অথচ ওপার বাংলাতেও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিছু কম তীব্র নয়।এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার এক মাত্র পার্থক্য হল যে সেখানে সব শ্রেণীর নাগরিক এর চাইতেও খারাপ পরিস্থিতিতে তাঁদের মতামত জানাতে রাস্তায় নামতে দ্বিধা বোধ করে না। মমতা ব্যানার্জির সম্রাট নিরোর মত আটরণের মুলে যেতে হলে অতি অবশ্যই বাঙ্গালি নবশাঁখ বিশ্ববিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী আশিস নন্দীর বক্তব্য নিয়ে এখনই বিতর্ক হওয়া উচিত। সিপিএমের 35 বছরের রাজত্বের অবসানের পর পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে যে নৈর

 গার্ডেনরিচে দুষ্কৃতীদের অবাধ দৌরাত্ম্য, দুষ্কৃতীদের গুলিতে পুলিসকর্মীর মৃত্যু হল। অথচ খেজুড়ির সমাবেশে কার্যত সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করলেন না রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে বসালেন গানের আসর। এবং তারপর ছুটি কাটাতে রওনা দিলেন দিঘার পথে।পরিবর্তনের পর থেকে যে অভূতপুর্ব হিংসা ও সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হল, তারই পরিণতি প্রতিটি ঘটনা।মুশকিল হল যে আমরা এই বঙ্গে এই রঙ্গ মারাত্বক ভাবে অকল্পনীয় বিনোদনী মেজাজে উপভোগ করছি নির্বাক্ দর্শকের মত।যাদের মতামত আছে, তারা আবার ওরাঁ আমরায় । আড়াআড়ি দ্বিধা বিভক্ত।তৃতীয় পক্ষ বহুসংখ্যক পচানব্বই শতাংশ মানুষের যেমন ক্ষমতায়ন হয়নি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলার এই চালচিত্রে তাঁদের মুখচ্ছবি ধরা পড়ার কথা নয়।অথচ ওপার বাংলাতেও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিছু কম তীব্র নয়।এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার এক মাত্র পার্থক্য হল যে সেখানে সব শ্রেণীর নাগরিক এর চাইতেও খারাপ পরিস্থিতিতে তাঁদের মতামত জানাতে রাস্তায় নামতে দ্বিধা বোধ করে না। মমতা ব্যানার্জির সম্রাট নিরোর মত আটরণের মুলে যেতে হলে অতি অবশ্যই বাঙ্গালি নবশাঁখ বিশ্ববিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী আশিস নন্দীর বক্তব্য নিয়ে এখনই বিতর্ক হওয়া উচিত। সিপিএমের 35 বছরের রাজত্বের অবসানের পর পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে যে নৈরাজ্যের মুখোমুখি আমরা, তার সমাধান কি াবার সিপিএম অর্থাত শাসক শ্রেণীর অপর পক্ষেরই প্রত্যাবর্তন। মীডিয়া কিন্তু সেই বিকল্পেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে কিন্তু একচেটিয়া ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের কর্তৃত্বে কোনো পরিবর্তন হয় নি।যে কথা বিতর্কিত ও শাসকশ্রেণী কর্তৃক সত্য বলার অপরাধে শ্রেণীচ্যুত আশিস নন্দী চোখে াঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন

পন্চায়েত নির্বাচন আসন্ন, বাংলার মাটি আবার রক্তাক্ত হতে চলেছে, আসামে পন্চায়েত নির্বাচনের একটি খবর আছে, কিন্তু বাংলায় যা হতে চলেছে তার অশনিসংকেত রোজকার হিংসা সন্ত্রাসের খবর থেকে আমরা পাচ্ছি।বাংলায় মাত্র পাঁচ শতাংশ মানুষের রাজত্বে এই সন্ত্রাস ও হিংসার ঘনঘটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই বাংলায় ব্রাত্য, বহিস্কৃত, অপাংক্তেয়, অস্পৃশ্য বহুজন মানুষদের ক্ষমতার বাইরে রেখে যে স্বর্গ সুখ আমরা উপভোগ করছি তারই নমুনা মুহুর্মুহু পরদা কাঁপিয়ে রগরগে শিরোনাম , পাটাপাটি বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছে।কিন্তু পক্ষ বিপক্ষের বাইরে, ঔ পাঁচ শতাংশের বাইরে কারও কোনো বাক্ স্বাধীনতা নেই।বহুজনসমাজের ক্ষমতায়নকল্পে সমতা ও ন্যায় আধারিত তৃতীয় বিকল্পের চিন্তা করার সুযোগও নেই।পরিকল্পনা ত অতি দুরের কথা।

পলাশ বিশ্বাস

মঙ্গলবার সকালে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে উত্তেজনার জেরে ব্যাপক অশান্তি হয় গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে৷ ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের মধ্যে বচসা থেকে শুরু হয় মারামারি৷ হাতাহাতি, সংঘর্ষের জেরে বোমাবাজি, এমনকী গুলিও চলে৷ গুলিতে আহত হন সেখানে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখানে মারা যান তাপস চৌধুরি নামে স্পেশাল ব্রাঞ্চের ওই এস আই৷

A police man died as Miscreants Fired at Harimohan Ghosh college

<iframe width="420" height="315" src="http://www.youtube.com/embed/O9x7yBxs0ng" frameborder="0" allowfullscreen></iframe>
 গার্ডেনরিচে দুষ্কৃতীদের অবাধ দৌরাত্ম্য, দুষ্কৃতীদের গুলিতে পুলিসকর্মীর মৃত্যু হল। অথচ খেজুড়ির সমাবেশে কার্যত সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করলেন না রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে বসালেন গানের আসর। এবং তারপর ছুটি কাটাতে রওনা দিলেন দিঘার পথে।পরিবর্তনের পর থেকে যে অভূতপুর্ব হিংসা ও সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হল, তারই পরিণতি প্রতিটি ঘটনা
পশ্চিমবঙ্গে বাঙালীর কোন ক্ষমতায়ন হয়নিঃ 
আশিস নন্দী মহাশয়কে ধন্যবাদ যে তিনি শাসক শ্রেণীর পক্ষ নিয়েও পশ্চিমবঙ্গের আর্থ সামাজিক বিকাশের প্রকৃত সত্যটি উন্মোচন করে দিয়েছেন। জয়পুর করপোরেট সাহিত্য উত্সবে "সংরক্ষন বিরোধী মঞ্চে" তিনি বলেছেন যে, ভারতবর্ষে দুর্নীতির জন্য দায়ী হল এসসি, এস টি ও ওবিসি মানুষেরা । ... গত একশো বছরে এসসি/এসটি ও ওবিসিরা পশ্চিমবঙ্গে শাসন ক্ষমতায় নেই তাই এখানে দুর্নীতি কম। অর্থাৎ তিনি পরিষ্কার করে উল্লেখ করেছেন যে, গত একশো বছর ধরে পশ্চিম বাংলায় এসসি/এসটি ও ওবিসিদের কোন আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হয়নি। ক্ষমতায়ন হয়েছে এই ৩ ক্যাটেগোরির বাইরের মানুষদের। 
আশিস নন্দী মহশয়কে আরো ধন্যবাদ জানানো যেত যদি তিনি এই তালিকার সাথে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও জুড়ে দিতেন। তবেই বাংলার বহুজনকে চিহ্নিত করতে সুবিধা হত। 
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন এসে যায় যে, এই ৩ ক্যাটেগোরির বহুজন সমাজের বাইরের মানুষ কারা? 
এবং বাংলার আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাদের পরিচয় কি? বা অবস্থান কোথায়? 
সেন্সাস, ২০০১ অনুশারে পশ্চিমবঙ্গে এসসি/এসটি ও ওবিসিদের জনসংখ্যাগত অবস্থান নিম্নরূপঃ 
এসসি - মোট জনসংখ্যার- ২৩% 
এসটি- মোট জনসংখ্যার- ৫.৫%
ওবিসি- মোট জনসংখ্যার- ৬০ % এর বেশী। 
ব্রাহ্মণ - মোট জনসংখ্যার- ২ %
কায়স্থ/বদ্দি -মোট জনসংখ্যার- ৩%
অন্যান্য- মোট জনসংখ্যার- ৬.৫%
এখানে অন্যান্য জনসংখ্যার মধ্যে আছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অবাঙ্গালী মানুষেরা। যাদের অধিকাংশই আশিস নন্দীর উল্লেখিত শাসক শ্রেনীর মানুষ নয়। 
অর্থাৎ নির্দ্বিধায় একথা বলা যায় যে,পশ্চিমবঙ্গের ৯৫% মূলনিবাসী বহুজন বাঙালীর ১০০ বছরের মধ্যে কোন ক্ষমতায়ণ হয়নি। ক্ষমতায়ণ হয়েছে মাত্র ৫% মানুষের, যারা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে হয় আনিত,নতুবা অনুপ্রবেশকারী অথবা বহিরাগত। 
আশিস নন্দী কথিত ১০০ বছর নয়, বরং পাল যুগ অবসানের পরবর্তী কাল থেকে বাংলার মূলনিবাসী বহুজন কতিপয় অবাঙ্গালী শোষকদের কাছে পদানত,শৃঙ্খলিত অপমানিত।

এ যেন রোমান সম্রাট নিরোর কাহিনী। রোম যখন জ্বলছে তখন বাজনা বাজাচ্ছেন সম্রাট নিরো। মঙ্গলবার রাজ্য দেখল যেন সেই ছবি। গার্ডেনরিচে দুষ্কৃতীদের অবাধ দৌরাত্ম্য, দুষ্কৃতীদের গুলিতে পুলিসকর্মীর মৃত্যু হল। অথচ খেজুড়ির সমাবেশে কার্যত সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করলেন না রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে বসালেন গানের আসর। এবং তারপর ছুটি কাটাতে রওনা দিলেন দিঘার পথে। 

গণতন্ত্র মানে গুন্ডামি নয়, পুলিসকে খুন করা নয়, গণতন্ত্র মানে ভাঙচুর নয়। আজ খেজুরির সভায় এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে গার্ডেনরিচে দুষ্কৃতীর গুলিতে এসআইয়ের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন তিনি।


মর্যাদার সঙ্গে সম্পন্ন হল নিহত সাব ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরীর শেষকৃত্য৷ আজ সন্ধেয় ঠাকুরপুকুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ৷ সেখানে পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা শ্রদ্ধা জানান৷ এর পর দেহ নিয়ে আসা হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে৷ গান স্যালুট দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হয় কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত এই সাব ইন্সপেক্টরকে৷ ছিলেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত কুমার পচনন্দা৷ শ্মশানে গিয়ে তাপস কুমার চৌধুরীকে শেষশ্রদ্ধা জানান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা৷ 


With political divisions in Kolkata becoming pronounced and violent with each passing day, another clash between the Trinamool Congress and the Congress brought to light how student politics too has fallen prey to the strong mutual resentment between parties in the state.

A sub-inspector of the Kolkata Police was killed while trying to prevent clashes between two groups of students during the filing of nomination papers for college elections at Hari Mohan Ghosh College in Garden Reach, south Kolkata.

Mamata Banerjee. PTI

Mamata Banerjee. PTI

Prior to today's incident, the police had to intervene and stop another around of clashes between students of the same college when the nomination papers were merely being distributed. The Statesmanreports that several students and two police officers were injured on January 7 at the same college.

Given the tense situation in the college, there was heavy police security today. However, soon after the college offices opened for the process the Congress students' union started shouting slogans.

The Trinamool students' faction retaliated and crude bombs were hurled in presence of the police.

The police had to fire rounds in the air to disperse the crowd. SI Tapas Chakrabarty was shot at in the firing and he was rushed to the CMRI hospital where he later succumbed to his injuries.

Trinamool minister Firhad Hakim said that goons, who were not part of the college, were involved in the ruckus and they were the ones who had resorted to bombing and violence.

According to a CNN IBN report, RAF has been deployed in Kolkata and the police have been put on alert.

 महानगर के गार्डेन रीच में हरिमोहन घोष कॉलेज में मंगलवार को दोपहर छात्र संघ चुनाव को लेकर कांग्रेस छात्र परिषद व तृणमूल कांग्रेस छात्र परिषद समर्थक छात्रों के बीच हुए संघर्ष में जमकर बमबाजी व गोलीबारी हुई। इसी दौरान चली गोली से पुलिस उप निरीक्षक तापस चौधरी की मौत हो गई जबकि एक अन्य युवक जख्मी हो गया। संघर्ष की इस घटना में चार और लोगों के जख्मी होने की खबर है।

मारे गए तापस चौधरी कोलकाता पुलिस की स्पेशल ब्रांच में उप निरीक्षक के पद पर कार्यरत थे और उनकी ड्यूटी कॉलेज के निकट लगाई गई थी। गोलीबारी में घायल युवक का नाम ताहिर हुसैन बताया गया है। घटना को लेकर इलाके में तनाव व्याप्त है। दिनदहाड़े पुलिस कर्मियों के सामने हाथों में हथियार लेकर निकलने और गोली चलाने व बमबाजी करने की घटना के बाद कोलकाता की कानून व्यवस्था को लेकर सवाल उठने लगे हैं।

तृणमूल के नेता व मंत्रियों ने घटना के लिए कांग्रेस व माकपा पर आरोप लगाया है। जबकि प्रदेश कांग्रेस अध्यक्ष प्रदीप भंट्टाचार्य ने घटना की सीबीआइ जांच की मांग की है। मीडिया के कैमरे में गोली चलाते वक्त जिस युवक की फोटो कैद है, उसका तृणमूल नेता से संबंध होने का आरोप लगाया जा रहा है। पुलिस आयुक्त आरके पचनंदा ने कहा कि मामले में कुछ लोगों को गिरफ्तार किया गया है और कड़ी कार्रवाई की जाएगी। पुलिस ने गोली चलाने वाले युवक की तलाश शुरू कर दी है। गार्डेन रीच स्थित माकपा जोनल कमेटी के कार्यालय से देसी बम के साथ चीना नामक एक युवक को गिरफ्तार किया गया है।


ছাত্র নির্বাচন ঘিরে রণক্ষেত্র গার্ডেনরিচের ঘটনায় কংগ্রেসকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করালেন স্থানীয় বিধায়ক ও পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। তবে তাঁর দাবিকে কার্যত ভুল প্রমাণ করে ডিসি পোর্ট ভি সলোমন সাংবাদিকদের 

জানান, কলেজ নির্বাচন ঘিরে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যেই ঝামেলার জেরে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে।


এই সময়ের এই প্রতিবেদনটি রাজ্যের ভয়াবহ হিংসা ও সন্ত্রাসের আবহে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা বলে দিচ্ছে


বিরোধীদের ভাগাড়ের শকুন বললেন মুখ্যমন্ত্রী
ব্যস্ত পাঠ। সোমবার ভাঙড়ের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি-- অভিজ্ঞান নস্কর
অমিত চক্রবর্তী 

ভাঙড়: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তৃণমূলকে শকুন বলে কটাক্ষ করেছিলেন৷ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ থাকবেন কেন? তিনিও বিরোধীদের উদ্দেশে বললেন, 'ওরা বসে আছে ভাগাড়ের শকুনের মতো৷ কখন মমতা মরবে, আর তার মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে৷' এখানেই থামেননি তিনি৷ সোমবার ভাঙড়ে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ওরা মমতাকে চেনে না৷ অত সহজে মমতা শেষ হয় না৷ মমতা যেখানে যাবে, সেখানেই সোনা ফলবে৷ এটা যেন ওরা মনে রাখে৷' 

ভাঙড়ে সিপিএম নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার উপর প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুলের বাহিনীর হামলা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, তখন ওই ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পরে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ভাঙড়ে পা রাখলেন৷ সেখানে তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন৷ সংখ্যালঘুদের জন্য যে সাচার কমিটির সুপারিশ মেনে ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ করে দেওয়ার পুরোনো দাবিই আবার উচ্চারণ করলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, 'প্রচুর কাজ করে দিয়েছি৷ আরও কাজ করব৷ এমন করব যে, বাংলা থেকে কাউকে আর কাজের জন্য অন্য কোথাও যেতে হবে না৷ অন্য রাজ্য থেকেই মানুষ এখানে আসবে৷' 

গত সপ্তাহে বুদ্ধবাবু দু'টি বেসরকারি চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন৷ তা নিয়ে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে৷ তার পর থেকে শাসক এবং বিরোধী এই দু'দলের তরজা লেগেই রয়েছে৷ সেই তরজায় কখনও কখনও শালীনতাও সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে৷ তার আগে থেকেই অবশ্য কু-কথার প্রতিযোগিতা চলছিল৷ রবিবার শহিদ মিনার ময়দানের সমাবেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু দলের কর্মী-নেতাদের ভাষায় সংযত হতে বলেছেন৷ সিপিএম নেতাদের কারও কারও মুখে খারাপ কথা শোনা গেলেও পরে তাঁরা তার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন৷ কিন্তু শাসকদলের কোনও নেতা-মন্ত্রীই অবশ্য এখন পর্যন্ত সেই পথে হাঁটেননি৷ 

সিপিএম এবং কংগ্রেস রাজ্য সরকারের নানা উত্‍সব নিয়ে কটাক্ষ চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কটাক্ষের জবাবে মন্তব্য করেছিলেন, 'উত্‍সব করব না তো কি শ্রাদ্ধ করব?' কেউ কেউ আবার পানাগড়ের মাটি উত্‍সবকে 'ঝুলন' বলেও ব্যঙ্গ করেন৷ সোমবার ভাঙড়ের সভায় তাঁদের সেই ব্যঙ্গকে ফিরিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের নতুন ব্যাখ্যা দেন৷ এর আগে তিনি গান-বাজনা-নৃত্যকলাকেও শিল্পের পর্যায়ে ফেলেছিলেন৷ আর এ দিন তিনি ঝুললকেও 'শিল্প' তকমা দিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, 'আমরা তো ছোটবেলায় কত ঝুলন সাজিয়েছি৷ কখনও ঝুলন করে দেখেছেন? করবেন কী, কৃষ্ণ মানেন না, রাম মানেন না, রহিম মানেন না৷ পুজো করেন না, ঈদও করেন না৷ আমি সব করি৷ ঈদ করি, পুজো করি৷ কারণ আমি নজরুল ইসলামের সেই গান 'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু-মুসলমান'-এ বিশ্বাস করি৷' তিনি আরও বলেন, 'মাটি উত্‍সব করব না তো কিউবা উত্‍সব করব? সব কিছুতে শুধু সমালোচনা?' এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী ফের দাবি করেন, জঙ্গলমহল এবং পাহাড় হাসছে৷ 

ইদানীং মুখ্যমন্ত্রী অনেক সরকারি সভায় বলেন, 'সরকারি মঞ্চ থেকে আমার রাজনৈতিক কথা বলতে ইচ্ছে করে না৷ কিন্তু কখনও কখনও বলতে বাধ্য হই৷ দাজিলিঙে যখন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিমল গুরুঙের সামনেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকরা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে স্লোগান দেন, তখন ক্ষুব্ধ মমতা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, 'এটা সরকারি সভা৷ এখানে রাজনীতির কথা বলবেন না৷ তার জন্য আলাদা মঞ্চ রয়েছে৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সব সরাকরি সভাতেই রাজনীতির কথা বলে চলেছেন৷ এ দিন ভাঙড়েও তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা পঞ্চায়েত ভোটে আমাকে সাহায্য করুন৷ পঞ্চায়েত চুরির জায়গা নয়৷ কী করে কাজ করতে হয়, আমি দেখিয়ে দেব৷'


মুশকিল হল যে আমরা এই বঙ্গে এই রঙ্গ মারাত্বক ভাবে অকল্পনীয় বিনোদনী মেজাজে উপভোগ করছি নির্বাক্ দর্শকের মত।যাদের মতামত আছে, তারা আবার ওরাঁ আমরায় । আড়াআড়ি দ্বিধা বিভক্ত।তৃতীয় পক্ষ বহুসংখ্যক পচানব্বই শতাংশ মানুষের যেমন ক্ষমতায়ন হয়নি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলার এই চালচিত্রে তাঁদের মুখচ্ছবি ধরা পড়ার কথা নয়।অথচ ওপার বাংলাতেও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিছু কম তীব্র নয়।এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার এক মাত্র পার্থক্য হল যে সেখানে সব শ্রেণীর নাগরিক এর চাইতেও খারাপ পরিস্থিতিতে তাঁদের মতামত জানাতে রাস্তায় নামতে দ্বিধা বোধ করে না। মমতা ব্যানার্জির সম্রাট নিরোর মত আটরণের মুলে যেতে হলে অতি অবশ্যই বাঙ্গালি নবশাঁখ বিশ্ববিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী আশিস নন্দীর বক্তব্য নিয়ে এখনই বিতর্ক হওয়া উচিত। 

ঢাকা: জামাতে ইসলামির নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ারে যেন কায়রোর তাহরির স্কোয়ার হয়ে উঠেছে ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ার।
জামাতের হাঙ্গামা অগ্রাহ্য করে মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের শ'তিনেক ছাত্রছাত্রী যে অবস্থান শুরু করেছিল, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বুধবার সারা দিন সেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অন্তত এক বার হলেও হাজির থাকার চেষ্টা করেছেন। বাবা-মায়ের হাত ধরে এসেছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও। জনপ্রিয় শিল্পী, নাট্যব্যক্তিত্ব, লেখকদের পাশাপাশি এসেছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও। মঞ্চ তৈরি করে দিন-রাত চলছে গান, নাটক, সিনেমা। সঙ্গে একাত্তরের পরিচিত রাজাকার নেতাদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান। সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগের মঞ্চ থেকে বুধবারও সারারাত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করা হয়ে। শুক্রবার এখানেই মহাসমাবেশ হবে বলে জানানো হয়েছে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা, রাজশাহি, রংপুর, ময়মনসিংহেও অজস্র মানুষ গণহত্যার নায়কদের ফাঁসির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। 
তাদের নেতাদের বিচার বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুড়ে হাঙ্গামা চালানোর পরে বুধবারও হরতালের ডাক দিয়েছিল কট্টর ইসলামি দল জামাতে ইসলামি। সকালে বেশ কিছু জায়গা থেকে তাদের ভাঙচুরের খবর এলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের জোয়ারে তাদের কর্মসূচি কার্যত ভেসে যায়। তার পরেও ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশের পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বিজিবি-কেও মোতায়েন রাখা হয়েছে। 
জামাতের ভাঙচুরের ভয়ে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও লঞ্চ ও অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিক ভাবেই চলেছে। ঢাকায় শেয়ারবাজার, ব্যাঙ্ক ও বেশির ভাগ বাজার-দোকান খোলা ছিল। রাস্তায় ছিল প্রচুর রিকশা । তাহরির স্কোয়ারের মতো ঢাকার বিক্ষোভও কাল শুরু হয়েছিল ফেসবুক-টুইটারের মতো স্যোসাল সাইটগুলির প্রচারে। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের এই আন্দোলনই রাত গড়াতে পরিণত হয়েছে গণপ্লাবনে। মিরপুরের 'কসাই' কাদের মোল্লাকে প্রায় সাড়ে তিনশো খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেও ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। তার প্রতিবাদেই ক্ষুব্ধ মানুষ নেমে এসেছেন ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ারে। তাঁদের দাবি, গোলাম আজম, সাকা চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামি-র মতো গ্রেফতার হওয়া গণহত্যাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে। গণসঙ্গীতের পাশাপাশি অবস্থানকারীদের জন্য চাঁদা তুলে খিচুড়ি রাঁধা হয়। মঙ্গলবার রাতেই বেশ কিছু বামপন্থী নেতা শাহবাগ স্কোয়ারে এসে বক্তৃতা দেন, আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। সরকার-বিরোধী বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আন্দোলনকারী তরুণদের 'এ যুগের মুক্তিযোদ্ধা' আখ্যা দেন। তাঁর অভিযোগ, জামাত ও সরকারের বোঝাপড়ার কারণেই কাদের মোল্লাকে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আওয়ামি লিগের নেতারা সে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানান, কাদের মোল্লার প্রাণদণ্ড না হওয়ায় সরকারও হতাশ। তবে সরকার ফাঁসি চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছে। দুপুর থেকেই শাহবাগ স্কোয়ারের আন্দেলন ছড়িয়ে যায় দেশজুড়ে। অন্য শহরের পাশাপাশি ঢাকার অন্যত্রও শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। দেশ জুড়ে এই গণজোয়ারে জামাত যেমন কোণঠাসা, অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বিএনপি-ও। খালেদা জিয়ার দল জানায়, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। 

সিপিএমের 35 বছরের রাজত্বের অবসানের পর পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে যে নৈরাজ্যের মুখোমুখি আমরা, তার সমাধান কি াবার সিপিএম অর্থাত শাসক শ্রেণীর অপর পক্ষেরই প্রত্যাবর্তন। মীডিয়া কিন্তু সেই বিকল্পেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে কিন্তু একচেটিয়া ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের কর্তৃত্বে কোনো পরিবর্তন হয় নি।যে কথা বিতর্কিত ও শাসকশ্রেণী কর্তৃক সত্য বলার অপরাধে শ্রেণীচ্যুত আশিস নন্দী চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন

গার্ডেনরিচে তৃণমূল-ছাত্র পরিষদ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত পুলিশের এসআই
ঘটনার পর রাস্তায় র‌্যাফ।---কৌশিক রায়।
রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র ফের কলঙ্কিত৷ মঙ্গলবার দিনটি শিক্ষাঙ্গনের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল৷ কলেজ ভোট নিয়ে টিএমসিপি, এসএফআই, ছাত্র পরিষদের মধ্যে গোলমাল চলছিলই বিভিন্ন কলেজে৷ কিন্ত্ত মঙ্গলবার খোদ কলকাতা শহরের গার্ডেনরিচে হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদের ভোট ঘিরে যা ঘটল, তা অতীতের সমস্ত নজির ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ এই কলেজে মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের তুমুল সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের সাব ইনসপেক্টর তাপস চৌধুরী৷ আরও জনা কয়েক পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন৷ ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে শাসক দলের নাম৷ ফলে সরকার বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে৷ অভিযোগ, তৃণমূলের কাউন্সিলর-সহ একাধিক নেতার উপস্থিতিতে এ দিন তাণ্ডব চালিয়েছে তাঁদের ছাত্র সংগঠন৷ তৃণমূল আশ্রিত এক বহিরাগত এই পুলিশ অফিসারকে খুব কাছ থেকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে উল্টোদিকে পালিয়ে যায়৷ তাপসবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ বিহ্বল সহকর্মীরা প্রথমে কিছু বুঝেই উঠতে পারেননি৷ ততক্ষণে তাঁর শরীর থেকে গলগল করে রক্ত বেরতে থাকে৷ পরে তাঁকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

কলকাতার বুকে তো বটেই, রাজ্যের অন্য কোনও জেলাতেও সামান্য কলেজ ভোটের প্রস্ত্ততি নিয়ে এত বড় ঘটনা অতীতে কখনও ঘটেছে বলে অভিজ্ঞ এবং প্রবীণ পুলিশ অফিসাররা মনে করতে পারছেন না৷ ১৯৮০-৮১ সাল নাগাদ এই গার্ডেনরিচ মেটিয়াবুরুজ এলাকাতেই কলকাতা পুলিশের তত্কালীন ডিসি পোর্ট বিনোদ মেহতাকে বন্দর এলাকার কুখ্যাত সমাজবিরোধীরা ফাঁদ পেতে গলিতে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করেছিল৷ তা নিয়ে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলে৷ তার পর আর কলকাতা শহরে এ ভাবে পুলিশ খুন হয়নি৷

এই ঘটনায় চরম বিপাকে পড়ে শাসক দল সব দায় চাপিয়ে দিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেসের ঘাড়ে৷ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, সিপিএমের মদতে কংগ্রেসের দুষ্কতীরা টিএমসিপি সমর্থকদের উপর হামলা করে৷ তা থামাতে গেলে ওই দুষ্কতীরাই পুলিশ অফিসারকে গুলি করে৷ তিনি জানান, গার্ডেনরিচে সিপিএমের জোনাল অফিস থেকে পুলিশ বোমা উদ্ধার করেছে৷ যদিও পুলিশ এরকম কিছু জানায়নি৷ আসল ঘটনা হল, এ দিন ছাত্র সংসদের ভোটের মনোনয়নপত্র তোলার ক্ষেত্রে এসএফআইয়ের কোনও ভূমিকাই ছিল না৷ তারা ভোটে অংশই নেয়নি৷ গোলমাল চলছিল টিএমসিপি এবং ছাত্র পরিষদের মধ্যে৷ ফিরহাদের বক্তব্য নস্যাত্ হয়ে গিয়েছে ডিসি পোর্ট ভি সলোমন নিশিকুমারের বিবরণে৷ তিনি সাফ জানিয়েছেন, সকালে গোলমাল হয় টিএমসিপি এবং ছাত্র পরিষদের মধ্যে৷ এ দিন গোলমাল হতে পারে, এই আশঙ্কায় সোমবার এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে অভিজিত্ এবং আরও দু'তিনজন বোমা বাঁধতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়৷ পুরমন্ত্রী অবশ্য অন্য কথা বলেছেন৷ তিনি বলেন, কংগ্রেস আশ্রিত সমাজবিরোধী মোক্তার এবং তার বাহিনীর ছোড়া বোমায় অভিজিত্রা আহত হয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, মোক্তার এ দিন ঘটনাস্থলেই ছিল না৷

কংগ্রেস এবং সিপিএম একযোগে এই ঘটনার জন্য শাসক দলকেই দুষছে৷ সিউড়িতে বসে প্রদীপবাবু এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল পাঠানোর দাবি করেছেন৷ পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রান্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক শাকিলও উপনির্বাচনের প্রচারে সিউড়িতে রয়েছেন৷ তিনি বলেন, 'রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত৷' এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি৷ মালদহে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'পুলিশ রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত৷ আগের রাতেও বরো চেয়ারম্যানের লোকজন বোমা বানাচ্ছিল৷' সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুলিশকে প্রভাবিত করার জন্য মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন৷ গার্ডেনরিচের সিপিএম নেতা দিলীপ সেন জানান৷ ওই সময় তাঁদের জোনাল অফিস বন্ধ ছিল৷ মন্ত্রী পুরোপুরি গল্প বলেছেন৷

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরে৷ সেখানকার তেখালি শের খাঁ চকে এক সভায় এই ঘটনার জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷ তবে গার্ডেনরিচের তাণ্ডব নিয়ে তিনি একটি কথাও বলেননি৷ শুধু বলেন, 'কলকাতায় একজন পুলিশ মারা গিয়েছেন৷ তাই আমরা তাঁর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করব৷' গার্ডেনরিচ-কাণ্ড নিয়ে যে সরকার বেশ ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছে, তা এ দিন মহাকরণে মন্ত্রী-আমলাদের আচরণেও বোঝা গিয়েছে৷ এর আগে একাধিক গোলমালের পর একের পর এক মন্ত্রী পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে নানা কথা বলতেন৷ এ দিন গার্ডেনরিচ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম এবং শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ‌েট্টোপাধ্যায় ছাড়া কোনও মন্ত্রীই মুখ খোলেননি৷ দুপুরে স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এখন কিছু বলার নেই৷ কিছু বলার হলে পরে বলব৷'

মহাকরণ সূত্রের খবর, ঘটনার কথা মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়৷ তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তাঁর সহকর্মীদের৷

স্থানীয় সূত্রের খবর, দুদিন আগে থেকেই গার্ডেনরিচের ওই কলেজে ভোট নিয়ে টিএমসিপি এবং ছাত্র পরিষদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল৷ দু'পক্ষই প্রচুর বহিরাগতকে হাজির করেছিল৷ ২৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংসদের ভোট হওয়ার কথা৷ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ছিল৷ আগের দিন থেকে কলেজ সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনাও ছিল৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এলাকার ক্ষমতা দখল করার জন্য তৃণমূল উঠেপড়ে লেগেছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উভয় পক্ষই এ দিন সকাল থেকে অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়৷ গোলমাল হতে পারে জেনেও কেন জোরদার পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়নি, তা নিয়ে পুলিশ মহলেই প্রশ্ন উঠেছে৷ বেলা দশটা থেকে থানার সামনে দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়৷ অনেকের হাতেই পিস্তল, রিভলভার ইত্যাদি ছিল৷ অবাধে বোমা, গুলি চলতে থাকে৷ এসআই তাপসবাবু অল্প কয়েকজন পুলিশ কর্মী নিয়ে ওই গোলমাল থামাতে যান৷ হঠাত্ই ভিড়ের মধ্য থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়৷ তিনি মাটিতে পড়ে যান৷ তার পরেও দুই তরফে মারামারি হয়৷ পরে র্যাফ এবং আরও বড় পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়৷ বেলায় কংগ্রেস সমর্থকরা গার্ডেনরিচ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশ লাঠি চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়৷

ছিল কলেজ নির্বাচন। ছিল চাপা উত্তেজনা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দাঁত নখ বের করে বেড়িয়ে পড়ল এলাকা দখলের নৃশংস লড়াই। 

গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গার্ডেনরিচ। দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিসকর্মীর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার কিছু পরেই কংগ্রেসকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করান স্থানীয় বিধায়ক ও পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। তবে তাঁর দাবিকে কার্যত ভুল প্রমাণ করে ডিসি পোর্ট ভি সলোমন সাংবাদিকদের জানান, কলেজ নির্বাচন ঘিরে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যেই ঝামেলার জেরে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে।

তবে এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর, শেখ সোভান নামের যে দুষ্কৃতি গুলি চালায় তাকে প্রথমেই চিহ্নিত করে ধরে ফেলে পুলিস। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবাল সহযোগীরা পুলিসের হাত থেকে শেখ সোভানকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

একই সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতী মোক্তার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে অভিজিৎ শীলের ওপর হামলা চালিয়েছেন। অন্যদিকে সেই দাবিকেই নস্যাৎ করে দেয় স্বয়ং অভিজিৎ শীলের স্বীকারোক্তি। ডাক্তারের উপস্থিতিতে পুলিসের সামনেই অভিজিৎ স্বীকার করে নেয় বোমা বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে।

এরসঙ্গেই ফিরহাদ হাকিম আরও দাবি করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিআইএমও এই হামলার সঙ্গে জরিত ছিল। স্থানীয় তৃণমূল বরো কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবাল তথা মুন্নাকে লক্ষ্য করেই মোক্তারের লোকেরা গুলি চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই এসআই তাপস চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি ফিরহাদ হাকিমের।

তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি ঘটনায় মুন্না ভাই-এর ভূমিকা, অভিজিৎ শীলের স্বীকারোক্তি এবং ইমলেকে পুলিসের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবরে দুর্বল হয়ে পড়েছে ফিরহাদ হাকিম এবং শঙ্কুদেব পন্ডার তত্ত্ব।


পন্চায়েত নির্বাচন আসন্ন, বাংলার মাটি আবার রক্তাক্ত হতে চলেছে, আসামে পন্চায়েত নির্বাচনের একটি খবর আছে, কিন্তু বাংলায় যা হতে চলেছে তার অশনিসংকেত রোজকার হিংসা সন্ত্রাসের খবর থেকে আমরা পাচ্ছি।বাংলায় মাত্র পাঁচ শতাংশ মানুষের রাজত্বে এই সন্ত্রাস ও হিংসার ঘনঘটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই বাংলায় ব্রাত্য, বহিস্কৃত, অপাংক্তেয়, অস্পৃশ্য বহুজন মানুষদের ক্ষমতার বাইরে রেখে যে স্বর্গ সুখ আমরা উপভোগ করছি তারই নমুনা মুহুর্মুহু পরদা কাঁপিয়ে রগরগে শিরোনাম , পাটাপাটি বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছে।কিন্তু পক্ষ বিপক্ষের বাইরে, ঔ পাঁচ শতাংশের বাইরে কারও কোনো বাক্ স্বাধীনতা নেই।বহুজনসমাজের ক্ষমতায়নকল্পে সমতা ও ন্যায় আধারিত তৃতীয় বিকল্পের চিন্তা করার সুযোগও নেই।পরিস্থ্িতি ত অতি দুরের কথা।



স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় পুলিসের সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন ন`জন। ওই জেলার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

পুলিসের খবর অনুযায়ী ওই অঞ্চলের রাভা সম্প্রদায়ভুক্ত আদিবাসীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিরোধিতা করে গ্রামে আগুন ধরানোর সঙ্গেই সরকারি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। তাদেরকে প্রতিহত করতেই বাধ্য হয়েই পুলিস গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। 

বহু দিন ধরেই ওই অঞ্চলে স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি করছেন রাভা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা। কিছুদিন ধরেই গাছ কেটে রাস্তা আটকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিরোধিতা করা শুরু করে দেন তাঁরা। গত কয়েকদিন ধরেই গোয়ালপাড়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। আজ তা চরম রূপ নেয়। 


গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র-সংঘর্ষে পুলিশ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সুহানকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷। সে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷  ঘটনার ভিডিও ফুটেজে তাকেই গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে৷ তার আগেও তাকে দেখা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের পাশেই৷


সংঘর্ষের ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক ববি হাকিম দায় চাপিয়ে দেন কংগ্রেস ও সিপিএমের ঘাড়ে৷  তাঁর দাবি, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতি শেখ মোক্তারই  তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ১৫ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই মৃত্যু হয় সাব ইন্সপেক্টরের৷ তাঁর আরও দাবি কলেজের পাশের সিপিএম জোনাল অফিস থেকে বোমাও মিলেছে ৷ কিন্তু গুলি চালানোর ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবিপি আনন্দে সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠে গেল পুরমন্ত্রীর দাবির সত্যতা নিয়েই৷  পুলিশও অবশ্য প্রথমেই পুরমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সহমত ছিল না৷ ডিসি পোর্ট ভি সলমন নিশা কুমার বলেন, মনোণয়ন জমা নিয়ে সিপি ও টিএমসিপির মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।৷ যার জেরেই এই ঘটনা৷ 
ভিডিও ফুটেজ থেকে জানা যায় আততায়ীর নাম শেখ সুহান৷। তার বাড়ি মেটিয়াবুরুজের বাত্তিকলে৷।সে কুখ্যাত দুষ্কৃতি ইবনের ভাগনে৷। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইবনে ও শুভান বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত৷। আর এর প্রমাণও মিলেছে এদিনের সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকেই৷। গুলি চালনার কিছুটা সময় আগের ছবিতে দেখা গিয়েছে কলকাতা পুরসভার পনেরো নম্বর বরোর তৃণমূল চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার পাশেই দাঁড়িয়ে আততায়ী শেখ শুভান৷ এই সুভানকেই গার্ডেনরিচে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে৷ পুরমন্ত্রীর দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন উঠছে, ইকবাল যখন পাশে দাঁড়িয়ে, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে কেন গুলি চালাল না সুহান? কেন অপেক্ষা করল, তাঁর দূরে সরে যাওয়ার? 
দ্বিতীয়ত, ক্যামেরায় সুহানের গুলি চালানোর যে ছবি ধরা পড়েছে, সেখানে কোথাও মহম্মদ ইকবালকে দেখা যাচ্ছে না৷ তাহলে হাকিম কিভাবে দাবি করেন ইকবালই গুলির লক্ষ্য ছিলেন?
পাশাপাশি, গণ্ডগোলের সময় কলেজের বাইরে সুহানের পাশে তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবালের উপস্থিতি নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে৷ এ বিষয়ে ইকবালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইবনে আবার মহম্মদ ইকবালের অফিসে কাজ করে৷ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথমে ইবনে সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ধৃত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে৷ ইবনেকে জেরা করছে পুলিশ জানার চেষ্টা করে কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে শুভান৷ তল্লাশি চালানো হয় গার্ডেনরিচ এলাকায়৷ বিকেলে কাচ্চি সড়ক এলাকা থেকে সুহানকে গ্রেফতার করা হয়৷ পুলিশের পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি, অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইনেও মামলা রুজু হয়েছে৷

ধৃতরা যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত থাক না কেন, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/33493-2013-02-12-13-41-37


গার্ডেনরিচকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ঠাকুরপুকুরের শারদাপল্লিতে৷ ক্ষোভে ফুঁসছেন মৃত এসআই-এর পরিবার ও প্রতিবেশীরা৷ কেন অকালে প্রাণ হারাতে হল এসআইকে? পরিবারের দায়িত্ব নেবে কে? প্রশ্ন  প্রতিবেশীদের৷ বাবার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছতেই কিশোর তমাল কান্নায় ভেঙে পড়া গলায় শাস্তি চাইল দোষীদের৷


অন্যান্য দিনের মতোই মঙ্গলবার সকালে কাজে বেরোন ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরী৷ সব কিছু স্বাভাবিকই ছিল৷ হঠাত্ই গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা ঘিরে সংঘর্ষের খবর আসে৷ ঘটনাস্থলে যান এস আই তাপস চৌধুরী৷ 
আর ফেরেননি তিনি৷ 
আততায়ীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এস আই তাপস চৌধুরী৷ সন্ধ্যায় ঠাকুরপুকুরের বাড়িতে ফেরে তার নিথর দেহ৷ 
তাপস চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ঠাকুরপুকুরের শারদাপল্লি৷ চোখে জল প্রতিবেশীদের৷ 
চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, হৃদপিণ্ডে গুলি লাগায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাপস চৌধুরীর৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/33500-2013-02-12-16-06-42


দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিসকর্মীর। আজ গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গার্ডেনরিচ। 

দেখুন ভিডিও


ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী পৌঁছলেও, পরিস্থিতি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিসের সামনে যথেচ্ছ বোমাবাজির সঙ্গে চলে গুলি। ছাত্র সংঘর্ষের মাঝে গুলিতে আহত হন স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরী। ঘটনাস্থলেই লুটয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন এক স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁর হাতের তালু উড়ে গেছে। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূলের চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাত্র সংঘর্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতী মোক্তারের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। যদিও পুলিস স্পষ্টই জানিয়েছে, সিপি-টিএমসিপির সংঘর্ষের জেরেই এলাকায় অশান্তি হয়েছে। 

গতকাল গভীর রাতে, এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা ফেটে আহত হন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে অভিজিত্‍ শীল সমেত আরও দুজন। স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকার হরিমোহন ঘোষ কলেজ নির্বাচনে আতঙ্ক ছড়াতে ওই নির্মীয়মান বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। সেই বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ। ওই নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির প্রচুর মশলা ও আগ্নেয়াস্ত্র।  ঘটনার প্রতিবাদে গার্ডেনরিচ থানা ঘেরাও করেন কংগ্রেস কর্মীরা। 

http://zeenews.india.com/bengali/kolkatta/gardenreach-chaos_11353.html


পুলিশকে চাবকানো উচিত বলে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক দেওয়ার ঠিক সাতদিনের মাথায় প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হল পুলিশ অফিসারের৷ 
গার্ডেনরিচে হরিমোহন ঘোষ কলেজে মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা৷ প্রকাশ্যে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরীকে গুলি করে এক দুষ্কৃতী৷ এই ঘটনার দায় মুখ্যমন্ত্রীর উপরই চাপিয়েছে বিরোধীরা৷ 
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) পল্লবকান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, যে যুবক গুলি চালিয়েছে তার নাম শেখ সুহান৷ পুলিশ সূত্রেই খবর, সুহানের সঙ্গে তৃণমূলের একাংশের যোগ রয়েছে৷ আর এখানেই বিভিন্ন মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে৷ 
রাজনৈতিক মহলের মত, শীর্ষ নেতৃত্ব যে বার্তা দেয়, তাই পৌঁছয় দলের নিচুতলায়৷ নিচুতলার কর্মীদের আচরণে তার স্পষ্ট প্রভাবও চোখে পড়ে৷ সম্প্রতি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যে ভাবে পুলিশকে চাবকানো উচিত বলে ধমক দিয়েছেন, সেই বার্তাই কী তা হলে পৌঁছে গিয়েছে নিচুতলায়? সেই বার্তার মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে পুলিশকে প্রকাশ্যে গুলি করার দুঃসাহস? বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/state/34/33498


সেই ট্র্যাডিশন সমানে। পার্কস্ট্রিট, কাটোয়ার ধর্ষণের ঘটনা থেকে রায়গঞ্জে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনার পর এবার গার্ডেনরিচে হরিমোহন ঘোষ কলেজে দুষ্কৃতির গুলিতে পুলিশ কর্মীর মৃত্যু। তদন্তের আগেই মন্ত্রীর নিদান। পুলিশ-মন্ত্রী ভিন্ন মত।


সরকারের যে ভূমিকায় বারবার বিতর্কের ঝড় উঠেছে, তারই পুনরাবৃত্তি ফের একবার গার্ডেনরিচকাণ্ডে৷ পুলিশি তদন্ত শেষ হয়নি৷ কিন্তু, তার আগেই চটজলদি সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলে নিদান ঘোষণা করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করলেন না রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী ববি হাকিম৷ 
গার্ডেনরিচ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ অভিযোগ করেন, যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম৷ গুলি চালিয়েছেন কংগ্রেস আশ্রিত স্থানীয় দুষ্কৃতী মোক্তার৷ 
কিন্তু, পুরমন্ত্রী যখন পুরনো সুরে সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলছেন, তখন তাঁরা একবারও মনে হল না, যে তাঁরই পুলিশ কিন্তু একেবারে উল্টো কথা বলছে৷ ডিসি পোর্ট ভি সলমন নিশাকুমার স্পষ্ট জানিয়েছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন৷ সেখানে কিন্তু সিপিএমের কোনও নাম নেই৷ 
পুলিশ ও মন্ত্রী এই দু'ই-ই তো সরকারের অঙ্গ৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দুই পক্ষের ভিন্ন বক্তব্য বিতর্ক উস্কে দিয়েছে৷ নানা মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি পুলিশের ওপর আস্থা নেই মমতা ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ববি হাকিমের? তাই কি নিজের সূত্রের ওপর আস্থা রেখেই কে গুলি চালিয়েছে তা বলে দিলেন মন্ত্রী?  
পার্কস্ট্রিট-কাটোয়া ধর্ষণকাণ্ড থেকে রায়গঞ্জে অধ্যক্ষ নিগ্রহ৷ তদন্ত শেষের আগেই মহাকরণে দাঁড়িয়ে নিদান ঘোষণা করে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ কখনও ধর্ষণকাণ্ডকে বলেছেন, সাজানো৷ কখনও অধ্যক্ষ নিগ্রহে অভিযুক্তদের আখ্যা দিয়েছেন ছোট ছোট ছেলে হিসেবে৷ শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বামনঘাটাকাণ্ডেও মহাকরণ থেকেই অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন হেভিওয়েট মন্ত্রীরা৷ প্রশ্ন উঠেছিল, মন্ত্রীরা যদি রায় ঘোষণা করে দেন তাহলে কি পুলিশের সাহস হবে উল্টো পথে হাঁটার? গার্ডনেরিচকাণ্ডেও একই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/state/34-more/33494-2013-02-12-14-28-31


খেজুরি: রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর গত বছর ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম খেজুরিতে পা রাখলেন তিনি৷ বিরোধী দলনেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে মমতার রাজনৈতিক জীবনে এই তেখালি ব্রিজও গুরুত্ব মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে৷ সেই তেখালি ব্রিজের রাজনৈতিক সভা থেকেই নন্দীগ্রামের স্মৃতি উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা৷


মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবার খেজুরিতে পা রেখেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনলেন সেই অপারেশন সূর্যোদয়ের প্রসঙ্গ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'অনেক হয়েছে, আর না' ক্যাচলাইন ফের শোনা গেল মমতার গলায়৷ বললেন, নন্দীগ্রামে নিহতদের পরিবার এখনও বিচারের আশায় রয়েছে৷
রাজ্য সরকারের নীতির জন্য রাজ্যে বড় শিল্প হচ্ছে না বলে বিরোধীরা কিংবা বণিক মহল যতই সরব হোক না কেন, নিজের অবস্থানে যে তিনি অনড়ই রয়েছেন তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বললেন, জোর করে জমি নেবেন না৷ রেললাইন, রাস্তার জন্য দয়া করা কেউ জমি দিলে কাজ হবে৷
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ আর তার বৈতরণী পার হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের জমি ইস্যু সামনে টেনে এনে নন্দীগ্রামের স্মৃতি উস্কে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাদের মতে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে জোর করে জমি নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, আর তিনি কোনওদিনই সেই পথে হাঁটবেন না, এই বার্তাই ফের দিয়ে মমতা চেষ্টা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদে ক্ষমতা ধরে রাখতে৷

http://abpananda.newsbullet.in/state/34-more/33497-2013-02-12-15-11-37


শরদিন্দু বিশ্বাসের লেখা আশিস নন্দীকে  চিঠি পড়লেই ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যায়

http://basantipurtimes.blogspot.in/2013/02/ashish-nandys-jaipr-lit-festival-hate.html
Ashish Nandy`s Jaipr lit festival hate campaign against OBC, SC and ST Communities being protested all over Bengal.
Nagraj Chandal BSP Kalayani Ghosh Para...See More

আশিস নন্দী মহাশয়কে একটি খোলা চিঠি

http://basantipurtimes.blogspot.in/2013/02/blog-post_1456.html
Saradindu Uddipan
আশিস নন্দী মহাশয়কে একটি খোলা চিঠি
আপনাকে ধন্যবাদ আশিস নন্দী মহাশয়। ধন্যবাদ এই কারণে যে আপনি শাসক শ্রেণীর পক্ষ নিয়েও পশ্চিমবঙ্গের আর্থ সামাজিক বিকাশের প্রকৃত সত্যটি উন্মোচন করে দিয়েছেন। জয়পুর করপোরেট সাহিত্য উত্সবে "সংরক্ষন বিরোধী মঞ্চে" আপনি বলেছেন যে, ভারতবর্ষে দুর্নীতির জন্য দায়ী হল এসসি, এস টি ও ওবিসি মানুষেরা । ... গত একশো বছরে এসসি/এসটি ও ওবিসিরা পশ্চিমবঙ্গে শাসন ক্ষমতায় নেই তাই এখানে দুর্নীতি কম। অর্থাৎ আপনি পরিষ্কার করে উল্লেখ করেছেন যে,গত একশো বছর ধরে পশ্চিম বাংলায় এসসি/এসটি ও ওবিসিদের কোন আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হয়নি। ক্ষমতায়ন হয়েছে এই ৩ ক্যাটেগোরির বাইরের মানুষদের। আপনাকে আরো ধন্যবাদ জানানো যেত যদি আপনি এই তালিকার সাথে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও জুড়ে দিতেন। তবেই বাংলার বহুজনকে চিহ্নিত করতে আমাদের সুবিধা হত। 

আপনার আলোচনা সূত্র ধরে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন এসে যায় যে, এই ৩ ক্যাটেগোরির বহুজন সমাজের বাইরের মানুষ কারা? এবং বাংলার আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাদের পরিচয় কি? বা অবস্থান কোথায়?
সেন্সাস, ২০০১ অনুশারে পশ্চিমবঙ্গে এসসি/এসটি ও ওবিসিদের জনসংখ্যাগত অবস্থান নিম্নরূপঃ
এসসি - মোট জনসংখ্যার- ২৩%
এসটি- মোট জনসংখ্যার- ৫.৫%
ওবিসি- মোট জনসংখ্যার- ৬০ % এর বেশী। 
ব্রাহ্মণ - মোট জনসংখ্যার- ২ %
কায়স্থ/বদ্দি -মোট জনসংখ্যার- ৩%
অন্যান্য- মোট জনসংখ্যার- ৬.৫%
এখানে অন্যান্য জনসংখ্যার মধ্যে আছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অবাঙ্গালী মানুষেরা। যাদের অধিকাংশই আপনার উল্লেখিত শাসক শ্রেনীর মানুষ নয়। অর্থাৎ নির্দ্বিধায় একথা বলা যায় যে,পশ্চিমবঙ্গের ৯৫% মূলনিবাসী বহুজন বাঙালীর ১০০ বছরের মধ্যে কোন ক্ষমতায়ণ হয়নি। ক্ষমতায়ণ হয়েছে মাত্র ৫% মানুষের, যারা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে অবঙ্গীয়। হয় তারা আনিত,নতুবা অনুপ্রবেশকারী অথবা বহিরাগত। তাই আপনার কথিত ১০০ বছর নয়, বরং পাল যুগ অবসানের পরবর্তী কাল থেকে বাংলার মূলনিবাসী বহুজন কতিপয় অবাঙ্গালী শোষকদের কাছে পদানত,শৃঙ্খলিত অপমানিত।

এখন প্রশ্ন হল, আপনি কোন মাপক শলাকায় জরিপ করে দাবী করলেন যে,বাংলায় অবঙ্গীয় শাসকদের সুশাসনে দুর্নীতি কম। এবং এই অবঙ্গীয়দের সুশাসনে বাংলার মূলনিবাসীরা দুধে-ভাতে প্রতিপালিত হচ্ছে। তাদের সন্তানেরা অপুষ্টি নিয়ে জন্মাচ্ছে না। মহিলারা অ্যানিমিয়াতে ভুগছে না। তাদের সন্তানেরা সুশিক্ষিত উঠছে। এবং অধিকাধিক সুযোগ পেয়ে বাংলাকে শ্মশান থেকে তুলে এনে সোনার বাংলায় রূপায়িত করে ফেলেছে।
আপনি কি বোঝাতে চাইছেন যে, অবঙ্গীয় শাসকেরা যেহেতু মূলনিবাসীদের কাঙ্খিত ক্ষমতায়ানের সব কলস ভর্তি করে দিচ্ছে তাই মূলনিবাসীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ানের কোন প্রয়োজন নেই। তেলা মাথায় বেশী করে তেল ঢাললে সে তেল গড়িয়ে গড়িয়ে পায়ের তলার ধুলোকেও ভিজিয়ে দেবে। এতেই অনায়াশে ভর্তি হয়ে যাবে প্রান্তজনের পেট। কি দরকার এত কিছু বুঝে? কি দরকার এত মাথাব্যাথার। বরং তারা সুশাসনের সুবাতাস নিয়ে মিলেনিয়াম, বিলেনিয়াম, সান সিটি বা ফ্যান সিটিতে ঘুরে বেড়াক। জল-জঙ্গল -জমি বেঁচে দিক। চাষবাসের মত আদিম বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে ন্যানো,ফিয়াট বা স্কর্পিওর চাকায় হাওয়া দিক।
রাস্তার পাশে দোকান খুলে বসুক। পিঁয়াজি, ফুলুরি মায় চাউমিন বিক্রি করুক । গ্রামের মেয়েগুলো ঘুঁটে গোবরের আল্পনা ছেড়ে বিউটিপার্লার আর ম্যাসাজ সেন্টারে গিয়ে ট্রেনিং নিক। রাতের বেলা ব্রথেল গুলোতে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে শিখুক। উন্নয়নের এটাইতো গতিমুখ। সেটাই যখন তড়িৎ গতিতে তরান্বিত হচ্ছে, তখন মুলনিবাসীদের আলাদা সংরক্ষণ আলাদা করে ক্ষমতায়ানের কোন দরকার নেই! 

ধন্য আপনি আশিস নন্দী মহাশয়। ব্রাহ্মন্যবাদীদের সাথে জলচলের সহবস্থানে আপনার এ অমোঘ পরিণতিতে আমরা বিস্মিত নই। বরং এটাই কঙ্খিত। কেননা প্রসাদান্ন ভোগ করা ভৃত্যের কাছে প্রভুর মাহাত্ব কীর্তন নতুন কিছু নয়। দাসত্বের এ এক পুরাতনী বিধান। যেটা আপনি স্বভক্তি তা পালন করেছেন। আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি। 

আমি জানিনা আপনার সমাজতত্ত্বের বিনম্র অধ্যায়নে ইতিহাসের কতটা মূল্য আছে। শোষণ শাসনের কোন নীতি শ্রম এবং উৎপাদক শ্রেণির কাছ থেকে তাদের জীবন-জীবিকা,আত্মপরিচয়,মান-মর্যাদা কেড়ে নিয়ে তাদের অপাঙ্কতেয়,অশুচি করে দেয় তা আপনার আভিধানিক শব্দ সঞ্চয়নের মধ্যে আছে কিনা।

আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে ১৯০৬ সালে মহাত্মা গুরুচাঁদের নেতৃত্বে বাংলা এবং আসামের লেপ্টেন্যান্ট ল্যান্সল টের কাছে একটি তালিকা দিয়ে বাংলার দলিত জাতিসমূহের জন্য ভাগিদারী দাবী করা হয়। সেই তালিকায় বাংলার চন্ডাল সহ যে ৩১ টি জাতির নাম দেওয়া হয়েছিল সেখানে আপনার জাতি তিলি-নবশাখ তালিকা ভুক্ত ছিল। ১৯০৭ সালে আসাম বাংলার জন্য এই আইন কার্যকরী হয়। নেটিভরা শিক্ষা, চাকরী ও রাজকার্যে ভাগিদারী পায়। ১৯০৯ সালের মর্লি মিন্টো সংস্কার আইনে গুরচাঁদের দেখানো এই পথ সারা ভারতবর্ষের জন্য স্বীকার করে নেওয়া হয় এবং ১৯১৯ সালের মন্টেগু চেমস ফোরডের ভারত শাসন আইনে সমগ্র ভারতের জন্য তা কার্যকরী হয়। অর্থাৎ আপনার পূর্ব পুরুষদের শিক্ষা সম্ভব হয়েছিল সংরক্ষণ আইনের জন্যই। আর আপনার এপর্যন্ত অর্জিত সমস্ত সুখ্যাতির প্রতিটি পালকের গোড়া ছিল সংরক্ষিত। কিন্তু,আপনি এখন সংরক্ষণ বিরোধী মঞ্চের প্রধান প্রবক্তা।
বেশ বেশ!
সমগ্র মূলনিবাসীরা আপনাকে দেখে নিয়েছে! যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। যা করবার করেছে। কিন্তু আমরা এখনো অনেক উত্তর আপনার কাছ থেকে পাইনি।

আপনি কি আমাদের বুঝিয়ে বলবেন,কোন সুশাসনের কল্যাণে মূলনিবাসীদের সমস্ত সম্পদ, স্থাবর-অস্থাবর,জল-জঙ্গল-জমি মুষ্টিমেয় অবঙ্গীয় শাসকদের হাতে পুঞ্জিভুত হয়? শ্রম এবং উৎপাদক শ্রেণীর পেটের উপর পা দিয়ে পরগাছা, পরভোগীদের স্বেচ্ছাচারের ইমারৎ ওঠে। এবং এই প্রক্রিয়াকে সুশাসন বলে মহিমান্বিত করার জন্য আপনার মত একজন জলচল শূদ্রকে ময়দানে নামানো হয়। সময় পেলে বলবেন। অন্য কোথাও। অন্যখানে। আমরা মূলনিবাসী বঙ্গবাসী এসসি/এস টি,ওবিসি সমাজ আপনাকে গৌড়ীয় সুধা পান করতে দেখে ধন্য হব।
ধন্যবাদান্তে
শরদিন্দু উদ্দীপন
সোনারপুর, কোলকাতা-৭০০১৫০


মঙ্গলবার সন্ধে ৭টা। ঠাকুরপুকুরের দোতলা বাড়ির সামনে তখন থিক থিক করছে ভিড়। কেউ তাঁর সহকর্মী, কেউ আত্মীয়, কেউ শুধুই প্রতিবেশী। সজল চোখে অপেক্ষা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছল শববাহি শকট। তাতে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরীর নিথর দেহ। মৃত দেহ ঘিরে কান্নায় ফেটে পড়েন আত্মীয় সজনেরা। 

এদিন মৃত পুলিসকর্মীর বাড়িতে পৌঁছন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। 

শুধু নিজের পরিবারের জন্য নয়। পরিচিত যে কেউ বিপদে পড়লেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরী। এমনটাই জানিয়েছেন নিহত পুলিসকর্মীর পরিবারের লোকজন।


রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের যাবতীয় নজির ছাপিয়ে গেল গার্ডেনরিচে কলেজের ঘটনা। প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন পুলিসের এক সাব ইনেস্পেক্টর। হরিমোহন ঘোষ কলেজে টিএমসিপি এবং ছাত্রপরিষদের সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। কলেজের সংসদ দখলের লড়াইয়ের রক্তাক্ত পরিণতির পরই চাপান উতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার দায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের ওপর চাপাতে চাইছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। এলাকার কংগ্রেস আশ্রিত কুখ্যাত সমাজবিরোধীর নাম করে অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যদিও তা উড়িয়ে উল্টে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। 

এক নজরে দেখে নেব কে কী বলেছেন: 


প্রদীপ ভট্টাচার্য: গার্ডেনরিচে দুষ্কৃতীদের গুলিতে এসআইয়ের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। রাজ্য সরকার পুলিসেক দিয়ে নিরপেক্ষভাবে যে কাজ করাতে পারছে না এঘটনা তারই প্রমাণ। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।

মহম্মদ সেলিম: যেন-তেন-প্রকারেণ কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করার জন্য বিধায়ক, মন্ত্রী, কাউন্সিলরদের জড়ো করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গার্ডেনরিচে যা ঘটেছে তা এসবেরই স্বাভাবিক পরিণতি। আজকের ঘটনা সম্পর্কে পুলিসের ডিসি যা বলছেন, তার বিরোধিতা করে অন্য কথা বলছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এফআইআর, মামলা এবং পুলিসি তদন্তকে প্রভাবিত করতে পরিকল্পিতভাবে সিপিআইএমের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন মন্ত্রী। 

শাকিল আহমেদ: 
গার্ডেনরিচের ঘটনায় প্রমাণিত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়া গণতন্ত্রের পরিপন্থী। সব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না পুলিস। রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে এঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া।

সূর্যকান্ত মিশ্র:
 পাহাড় থেকে জঙ্গল, রাজ্য সর্বত্র অশান্তি বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে... পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারের উচিত সর্বদল বৈঠক ডাকা। 

অধীর চৌধুরী: রাজ্যে নৈরাজ্যের শাসন চলছে। শিক্ষার অগ্রগতি নেই। শিক্ষার অঙ্গনে হিংসার অগ্রগতি চলছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।

দীপা দাশমুন্সি:
 গার্ডেনরিচের ঘটনা রাজ্যের কাছে বিপদ সঙ্কেত। রাজ্যে শিক্ষায় যে দলতন্ত্র এবং নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এ ঘটনা তারই প্রমাণ। 


গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজের ছাত্র নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত এলাকা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ কয়েকদিন ধরে কলেজ চত্বরেই বোম এবং আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকজন।

মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় এসএফআই।

মঙ্গলবার নির্বাচনের মনোয়নপত্র জমা তোলার শেষদিন ছিল।

মঙ্গলবার ভোররাতে কলেজের সামনে একটি ক্লাব ঘর দখল করে বোমা বানাচ্ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে তথা টিএমিসিপির নেতা অভিজিৎ শীল। 

এই সময় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন অভিজিৎ সহ আরও একজন তৃণমূল কর্মী।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। 

এর কিছু পরেই সিপি ও টিএমসিপির লোকেরা প্রকাশ্যে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে আসে

দুই তরফের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিসের সামনেই গুলি ও বোমা বর্ষণ শুরু হয়

গুলি লাগে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসআই তাপস চৌধুরীর। 

হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান গুলিবিদ্ধ পুলিস কর্মী।

এলাকার বিধায়ক তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এলাকায় উপস্থিত হন।

তাঁর দাবি সিপিআইএম ও কংগ্রেসের যৌথ আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁর দাবি সকালেও অভিজিৎদের উপর আক্রমণ করেছে মোক্তার নামক কংগ্রেস কর্মীর লোকেরা।

তিনি আরও জানান তাঁদের স্থানীয় নেতা মুন্নাকে রক্ষা করতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাপস চৌধুরী।

অভিযোগ অস্বীকার প্রদীপ ভট্টাচার্যর। জানান ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত মোক্তার।

ফিরহাদ হাকিমের দাবি কার্যত ভিত্তিহীন প্রমাণ করে ডিসি বন্দর ডি সলোমন জানালেন সিপি ও টিএমসিপির মধ্যেই সংঘর্ষ ঘটেছে।

অন্যদিকে, কাউন্সিলারের আহত পুত্র হাসপাতালে স্বীকার করে নিলেন বোমা বাঁধতে গিয়েই আহত হয়েছে তারা।

এলাকায় র্‌যাফ নামানো হয়েছে।

গার্ডেনরিচ থানা ঘেরাও করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা। 

গন্ডগোলের খবর থাকা সত্ত্বেও আগে থেকে কেন পুলিস-প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিল না তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ। 

এলাকার পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ।

খেজুরিতে সভায় নিহত পুলিসকর্মীর জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।   

গুলি চালানোর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ সুভানকে গ্রেফতার করা হল।

সূত্রের খবর ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান, তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার ঘনিষ্ট অভিযুক্ত শেখ সুভান।

মুন্নার লোকেরাই পুলিসের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয় বলে অভিযোগ। 

বেহালার বাড়িতে এল ঘটনায় মৃত পুলিস কর্মী তাপস চৌধুরীর মৃতদেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাপসের পরিবার-প্রতিবেশীরা।


http://zeenews.india.com/bengali/kolkatta/gardenreach-timeline_11355.html


बामसेफ के विभिन्न धड़े अब एक साथ आने की कोशिशों में जुटे हैं. मुंबई में गोपालदास पास्ता रोड, दादर पूर्व स्थित अंबेडकर भवन में बामसेफ एकीकरण सम्मेलन 2 और 3 मार्च को होगा। क्या लगता है आपको, इसका क्या प्रभाव पड़ेगा??

बामसेफ के विभिन्न धड़े अब एक साथ आने की कोशिशों में 

जुटे हैं. मुंबई में गोपालदास पास्ता रोड, दादर पूर्व स्थित 

अंबेडकर भवन में बामसेफ एकीकरण सम्मेलन 2 और 3 

मार्च को होगा। क्या लगता है आपको, इसका क्या प्रभाव 

पड़ेगा??

Bamcef Unification conference appeal in Hindi and english

हिंदी में अपील पत्रिका यहाँ से डाउनलोड करें...
Chaman Lal 12:25pm Feb 11
हिंदी में अपील पत्रिका यहाँ से डाउनलोड करें http://min.us/lb0JooCknEyjlD

इंग्लिश में अपील पत्रिका यहाँ से डाउनलोड करें http://min.us/IMdn9UrekEnwo


বামফ্রন্টের স্লোগান ধার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়ার ডোমজুরে এক জনসভায় এই অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেই এর বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দেবে বাম কর্মী-সমর্থকেরা। রাজ্যের কোনও মানুষই শান্তিতে নেই বলেও মন্তব্য করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। 

ভালো আছেন রাজ্যের মানুষ। উত্‍‍‍‍সব- আনন্দে মেতে রয়েছেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। কৃষক থেকে পরিবহণ কর্মী। একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা যখন ঘটছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বিরোধীরাও। সোমবারও বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এরাজ্যে কেউ ভালো নেই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও শান্তি রয়েছেন কিনা তা নিয়েই সন্দিহান বিরোধী দলনেতা। 

বামফ্রন্টের স্লোগান ধার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। একারণে তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ আনেন সূর্যকান্ত মিশ্র। 

সোমবার হাওড়ার ডোমজুরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন সূর্যকান্ত মিশ্র। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কর্মীদের আরও মানুষের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন বিরোধী দলনেতা।


ইতালির সঙ্গে ভারত সরকারের হেলিকপ্টার চুক্তির তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইতালির প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে ৪০০০ কোটি টাকার চুক্তিতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

এ দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, বিভাগীয় তদন্তে ভিআইপি ১২ চপার কেনার চুক্তিতে কোনও বেনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলত এখনই প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক প্রথম সারির নাগরিকদের ব্যবহৃত হেলকপ্টারগুলির উড়ান বাতিল করা হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে ইতালির ওই সংস্থার সঙ্গে হেলিকপ্টার চুক্তি হয়। ইতিমধ্যেই তিনটি চপার ভারতের হাতেও তুলে দিয়েছে সংস্থাটি। 

ফিনমেকানিকা-র (Finmeccanica) সিইও গুইসেপে ওরসিকে (Giuseppe Orsi) আজ রোম থেকে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিস। গত এক মাস ধরে তাঁকে জেরা করা হচ্ছিল। ২০১০-এর হেলিকপ্টার চুক্তিতে কোনও দুর্নীতির কথা আগাগোড়াই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই আধিকারিক। 

সংস্থাটির তরফে গত ফেব্রুয়ারিতে জারি করা একটি বিবৃতিতে ভারতকে হেলিকপ্টর বিক্রি করা নিয়ে কোনও দুর্নীতির কথা অস্বীকার করা হয়। 


অশান্তির আশঙ্কা ছিলই৷ আঁচও পাওয়া গিয়েছিল সোমবার রাতেই৷ তবু, অশান্তির আগুন এড়ানো গেল না৷ সোমবার, রাত দেড়টা নাগাদ গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজের কাছেই পাহাড়পুর রোডের একটি ক্লাবে বিস্ফোরণ ঘটে৷ মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ গিয়ে দেখে তিনজন আহত অবস্থায় পড়ে৷


পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত্ শীলের ছেলে অভিজিত্ শীল৷ পুলিশের দাবি, আহতরা স্বীকার করেন, হরিমোহন ঘোষ কলেজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন অশান্তি হতে পারে, এটা ভেবেই বোমা বাঁধা হচ্ছিল৷ আর সেই বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ৷ তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ 
রঞ্জিত শীল বরাবরই তৃণমূলের কর্মী৷ ২০১০ সালে তিনি কাউন্সিলর হন৷ তার আগে তিনি দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি পদে ছিলেন৷ গার্ডেনরিচের বড়বটতলার বাসিন্দা রঞ্জিতের দুই ছেলে৷ ছোট ছেলে অভিজিত্৷ মুদিয়ালি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র৷ স্কুল ছাড়ার পরে হরিমোহন ঘোষ কলেজে ভর্তি হন৷ বছর কুড়ির অভিজিত্ কলেজ ছাড়লেও টিএমসিপির সঙ্গে তাঁর এখনও সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে অভিজিত্ কর্মসূত্রে যুক্ত৷  
সোমবার রাতের বিস্ফোরণ, অশনি সংকেত দিয়েছিল৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি৷ ফল, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন সাব ইন্সপেক্টর৷ রক্তাক্ত হল শিক্ষাঙ্গন৷ লেখা হল শিক্ষার ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়৷  

http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/33496-2013-02-12-14-56-48


গার্ডেনরিচের ঘটনায় পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পুলিশেরই নিচুতলার একাংশ৷ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, আগের দিন রাতেই গণ্ডগোলের আঁচ পাওয়া সত্ত্বেও কেন মঙ্গলবার সকাল থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি? কেন পদস্থ কর্তারা নিজেরা আগে থেকে ঘটনাস্থলে হাজির হননি? শাসক দলকে বাড়তি সুবিধা দিতেই কি শীর্ষ কর্তাদের উদাসীনতা?
এদিন সকালে হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া নিয়ে গন্ডগোলের সময় প্রকাশ্যে গুলি চলল৷ নিহত হলেন সাব ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরি৷


শহরের বুকে এভাবে দুষ্কতীরা তাণ্ডব চালালেও পুলিশের ভূমিকা কী? মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ঘিরে পুলিশেরই নিচু তলার একাংশে তৈরি হয়েছে চরম ক্ষোভ৷ 
হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হতে পারে এই আশঙ্কা অনেক আগে থেকেই ছিল৷ সোমবার রাতেই গণ্ডগোলের আঁচ পান পুলিশ কর্তারা৷
সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ কলেজের কাছেই পাহাড়পুর রোডের একটি ক্লাবে বিস্ফোরণ ঘটে৷ পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত্ শীলের ছেলে অভিজিত্ শীল৷  
পুলিশের দাবি, আহতরা স্বীকারও করে যে, হরিমোহন ঘোষ কলেজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন অশান্তি হতে পারে, এটা ভেবেই বোমা বাঁধা হচ্ছিল৷
আর এখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, আগের দিন রাতেই গণ্ডগোলের আঁচ পেয়েছিল পুলিশ৷ তাহলে কেন 
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি? কেন পদস্থ কর্তারা নিজেরা আগে থেকে ঘটনাস্থলে হাজির হননি?  
এদিন সকালে দু'পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ হাতাহাতি হওয়ার পরে গুলি চলে, বোমা পড়ে৷ বিভিন্ন মহলে তাই প্রশ্ন, কেন তত্ক্ষণাত্‍ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হল না? কেন তখনও টনক নড়ল না কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের? সাম্প্রতিককালে একাধিক কলেজ নির্বাচনে যখন গণ্ডগোল হয়েছে, তখন কেন গার্ডনেরিচের এই কলেজে এত বহিরাগতদের জমায়েতের সুযোগ দিল পুলিশ? যদি আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হত তাহলে কি সাব-ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরীকে বেঘোরে গুলি খেয়ে প্রাণ হারাতে হত? স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি গণ্ডগোলের আঁচ পাওয়ার পরেও পুলিশের আগাম সতর্কতা না নেওয়ার নেপথ্যে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে? 
পুলিশ বলছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের মধ্যে গণ্ডগোল, তাহলে কি শাসক দলকে বাড়তি সুবিধা করে দিতেই নিষ্ক্রিয় থাকলেন পুলিশ কর্তারা? কোনও বিশেষ চাপের কারণেই কি সব জেনেবুঝেও পুলিশের পদস্থ কর্তাদের এই উদাসিনতা? পুলিশের উপরতলায় কি কোনও দ্বি‍ধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে? শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনেই কি কড়া পদক্ষেপ করতে ভয় পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের? 
পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের এ হেন আচরণেরই কি শিকার হতে হল তাপস চৌধুরীর মতো নিচুতলার এক পুলিশকর্মীকে? যাঁরা শীর্ষকর্তাদের
নির্দেশে দায়িত্ব পালনে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেই নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের রক্ষা করবেন কে? সেই দায়িত্ব কি উপরতলার কর্তাদের নয়? তাহলে কিসের ওপর ভরসা করে তাঁরা কাজে ঝাঁপাবেন? পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে কিন্তু এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে৷ রাজনৈতিক চাপ, কর্তাদের দ্বি‍ধা-দন্দ্বের জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে তাঁদের একাংশ৷ আর যাঁদের ঘরের ছেলে আর কোনওদিন ঘরে ফিরবে না, তাঁদের ঘরে এখন অন্ধকার, আর চোখের জল৷ হয়ত আর্থিক সাহায্য মিলবে, চাকরি হবে, কিন্তু চোখের এই জলের মূল্য কি কেউ চোকাতে পারবে? 

http://abpananda.newsbullet.in/state/34-more/33495-2013-02-12-14-46-56


ফের রণাঙ্গন শিক্ষাক্ষেত্রে৷ গার্ডেনরিচে হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা ঘিরে ছাত্র পরিষদ-টিএমসিপি সংঘর্ষ৷ চলল গুলি,বোমা৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু পুলিশকর্মীর, আহত এক৷


সকাল ১১ 
হরিমোহন ঘোষ কলেজের সামনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলার প্রক্রিয়া শুরু৷ হঠাত্ই বচসা শুরু ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে৷ 
সকাল ১১.২০
অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ শুরু হয় বোমাবাজি৷ 
সকাল ১১.২৫
ভিড়ের মধ্যে উঁকি মারছেন এক যুবক৷ কে সে? 
সকাল ১১.২৮
দৌড়ে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ছে লাল জামা পরা ওই যুবক৷ ডানহাতে আগ্নেয়াস্ত্র৷ খালি গায়ে থাকা এক যুবককে লক্ষ্য করে গর্জে উঠল লাল জামা পরা যুবকের হাতের অস্ত্র৷ মাটিতে পড়ে গেলেন সেই যুবক৷ গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরী৷ 
সকাল ১১.২৯
হামলাকারীকে ধরার চেষ্টা করলেন এক যুবক৷ কোনওমতে হাতছুট হয়ে পালাল সে৷
সকাল ১১.৪০
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত পুলিশকর্মীকে৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি স্থানীয় এক যুবক৷  
বেলা ১২
হাসপাতালে ওই পুলিশকর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা৷ হাসপাতালে যান শিল্পমন্ত্রী, পুরমন্ত্রী, মেয়র ও পুলিশ কমিশনার৷ 
বেলা ১২.৩০
কলেজের সামনে ফের বিশৃঙ্খলা৷ শুরু হয় বোমাবাজি৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাফ নামানো হয়৷  
বেলা ১২.৪৫
ঘটনাস্থলে যান পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ 
দুপুর ২.৩০ 
ঘটনার প্রতিবাদে মেটিয়াব্রুজ থানার সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের৷ পথ অবরোধ৷ গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যার হুমকি কংগ্রেসকর্মীদের৷ 
দুপুর ৩
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/33491-2013-02-12-11-55-09


No comments:

Post a Comment