Palah Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

what mujib said

Jyothi Basu Is Dead

Unflinching Left firm on nuke deal

Jyoti Basu's Address on the Lok Sabha Elections 2009

Basu expresses shock over poll debacle

Jyoti Basu: The Pragmatist

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Tuesday, April 23, 2013

চিট ফান্ডঃ তৃণমূলের বর্তমান অবস্থান




চিট ফান্ডঃ তৃণমূলের বর্তমান অবস্থান



by Bengal Politics (Notes) on Monday, April 9, 2012 at 4:22am

বিপ্লব পাল - ৮ ই এপ্রিল

 

গত বছর এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার প্রথম সম্মুখীন হই। আমি কালনার বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে গেছি। দেখি সন্ধ্যা বেলাতে বাবার কাছে এলকেমী নামে নামে কোন এক চিটফান্ড কোম্পানীর লোক এসেছে। সে বোঝাচ্ছে-মাস্টার মশাই স্টেটব্যাঙ্ক ত ৫% সুদ ও দেয় না। আমরা দিচ্ছি ৮% এর ওপরে। আমার পাশের বাড়িতে বড় মামা, তার রিটারমেন্ট জীবনের সব সম্পদ অলরেডি আস্তে আস্তে এলকেমিতে দিয়ে দিয়েছে। ৩% অনেক টাকা। আমি বাবাকে মানা করলাম। স্পঞ্জি স্কীমের সাথে সাক্ষাত পরিচয় হয়েছে অনেক। এম এন বি সি তে যে ধারাবাহিক টিভি শো আমি মিস করি না-সেটা হচ্ছে কর্পরেট গ্রীড। এর ১০ টা কেসের মধ্যে ৮ টা কেস স্পঞ্জি স্কিম নিয়ে। আমেরিকার কঠিন আইনের মধ্যেও যা আখছার করা সম্ভব-ভারতের মতন দেশে যেখানে অধিকাংশ কর্পরেট কর্তাদের থেকে চোর ডাকাতের পার্থক্য কম ( বা চোর ডাকাতের সাথে তুলনা করলে, তারাও লজ্জা পেতে পারে  ), সেখানে এই ধরনের প্রাইভেট চিটফান্ডে স্পঞ্জি স্কিমের সম্ভাবনা আরো অনেকগুন বেশী। যাইহোক, এবার গিয়ে দেখলাম সব ছোট ছোট শহরে আলো করে বসে আছে চিটফান্ডের অসংখ্য অফিস। জমানো টাকা যাদের সম্বল, তারা আর পাবলিক ব্যাঙ্কে টাকা রাখে না। চিট ফান্ডেই রাখে।

 

  স্পঞ্জি স্কিমটা কি সেটা জানা দরকার। ব্যাপারটা খুব সহজ। আমি বললাম -আমি একটা প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছি। টাকাটা রিসর্ট, স্টিলের ব্যাবসা, শিক্ষা ব্যাবসায় কাজে লাগাবো। আর তোমাকে ১০% সুদ দেব। এই ধরনের কাজ করা যায়। কিন্ত সেক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি লাগে এবং আমানতের ৮০% রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রেখে ব্যবসা করতে হয়।

 

এতে কোন অন্যায় নেই।  কিন্ত সমস্যা হচ্ছে ২০% জমাটাকাতে ব্যাবসা করে ১০% সুদ দিতে হলে, সেই কোম্পানীকে ৫০% লাভ করতে হবে। যা খুব কঠিন কাজ। ফলে অধিকাংশ কোম্পানী যা করে তা হচ্ছে এই- নতুন বিনিয়োগ কারীদের টাকা দিয়ে পুরোনো ক্লায়েন্ট  দয়ের সুদ মেটায়।  এইভাবে পিরামিড গড়ে ওঠে।

 

বাঙালীর যেহেতু পুঁজি নেই-সেহেতু এই ভাবে বাঙালীর ব্যাবসা বানানো ভাল হতে পারত। বাঙালীদের যেহেতু পরিবারগত ব্যাবসার ট্রেনিং নেই-সেহেতু এই স্কিমের মাধ্যমে কিছু বাঙালী সংস্থা গড়া সম্ভব হত। কিন্ত  যেসব স্পঞ্জি স্কিম ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গেছে,

এই সব সংস্থাগুলি, চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যে কিছু ব্যাবসা দেখায়-তারপরে মিডিয়া কাজে লাগিয়ে সেগুলো আরো বড় করে দেখায়। ফলে মানুষ ভাবে তাদের সুদ ব্যবসার টাকা থেকেই আসছে।এই ভাবে মানুষকে ঠকিয়ে কিছু লোক  টাকা সরিয়ে নিচ্ছে। এই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বারবার দেখা গেছে।

 

সঠিক ভাবে বলতে গেলে-এই ব্যবসাটা করা উচিৎ "ভেঞ্চার ফান্ড" করে। চিট ফান্ড করে না। ভেঞ্চার ফান্ডে ওই ভাবে কেও সুদ দেয় না। টাকা ব্যাবসাতে লাগানো হয়-তারপর ব্যাবসা বড় করে বেচে দিয়ে, আমানতের কয়েকগুন টাকা ফেরত দেওয়া হয়। আবার টাকা পুরো  উড়ে যেতে পারে। কিন্ত সেটা আমানাতকারীকে জানানো হয় যে তার টাকা অনেকগুলি ব্যাবসাতে খাটছে-ফলে সে অনেকগুন লাভ যেমন করতে পারে তেমন  সব টাকা হারাতেও পারে। কিন্ত সেই ভাবে সৎ পথে নামলে কেও টাকা দেবে না। ফলে পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে অসাধু ভাবে।

 

পশ্চিম বঙ্গে এই রোগটি ভয়াবহ কারন এখানে উদ্যোগপতির সংখ্যা কম। লোকে জমানো টাকাতে ব্যবসা শুরু না করে, বেশী সুদে খাটিয়ে, নিজে তাস খেলবে।

 

 কিন্ত এটি মারণব্যাধির আকার নিয়েছে- তৃণমূল সরকারের সাথে একটি চিটফান্ডের সম্পর্কে। তারা আবার অনেক বাংলা প্রিন্ট এবং টিভি চ্যানেল ও কিনছে-যা মূলত লসে চলে। মিডিয়া এদের কেন কাজে লাগে, তা আমি আগেই ব্যাখ্যা করেছি। সরকার, মিডিয়ার দখল নিয়ে এরা কি করতে চাইছে-তা ত সরল লসাগু। কিন্ত এরপরে কেঁচো থেকে সাপ  বেড়লে, মমতাদেবী সামলাতে পারবেন নি? ৭২-৭৭ এ কংগ্রেসের গুন্ডামোও যেমন জনগ্ণের স্মৃতিতে ফিকে হয়েছে এককালে, সিপিএমের লাল সন্ত্রাস ও  লোকে আস্তে আস্তে ভুলে যাবে।

 

এতেব মমতাদেবী সাপ নিয়ে খেলছেন। রাজনীতি করতে টাকা লাগে-তবে সে টাকা যদি চিটফান্ড থেকে আসে, সে টাকা না নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারন বাঘের পিঠে চেপে ঘোরাফেরা করলে, বাঘের পেটই ভবিষয়ত।

No comments:

Post a Comment