মেঘালয়ের পুলিশি হেফাজতে সালাহ উদ্দিন
মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতের মেঘালয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস,শিলং (নেগ্রিমস) হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার পর তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের ব্যাপারে পরবর্তী করনীয় নির্ধারন করবে আদালত।েআজ সকালে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে পাঠানো যাবে কি না তা নির্ধারণের জন্য তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে মেডিকেল বোর্ড বসে।
নেগ্রিমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এ বোর্ড গঠন করে। বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে পুলিশ হেফাজাতে নেয়া হয়।
নেগ্রিমস হাসপাতালের পরিচালক এ জে এহেনগার সংবাদ মাধ্যমকে জানান,চিকিত্সকের উপস্থিতিতে তাঁকে জেরা করার অনুমতি দিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় এখনো তাঁকে জেরা করার পক্ষে চিকিত্সকেরা মত দেননি।
ভারতের কেন্ত্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব শম্ভু সিং সাংবাদিকদের জানান,আদালত তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিতে পারেন অথবা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সালাহ উদ্দিনের বিচার বাংলাদেশের আদালতে হবে। দুই-এক দিনের মধ্যেই মনে হচ্ছে আদালতের মত জানা যাবে। আদালতই চূড়ান্ত। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা। এদিকে সালাহ উদ্দিনের জামিন আবেদনের শুনানী হবে ২৯ মে শিলং আদালতে।
প্রসঙ্গত যে, ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোজ হওয়ার ৬৩ দিন পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকায় পাওয়া যায় গত ১১ মে ভোরে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার করা হয় মেন্টাল হাসপাতালে। এরপর নেয়া হয় সেখানকার সরকারি হাসপাতালে। এক সপ্তাহ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে স্থানান্তরিত করা হয় নেগ্রিমসে। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ সালাহউদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিতে চাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment