গণকবর থেকে লাশ উত্তোলন শুরু করেছে মালয়েশিয়া
ফাইল ছবি
থাইল্যান্ডের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সন্ধান পাওয়া গণকবরগুলো থেকে দেহাবশেষ তুলতে শুরু করেছে মালয়েশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে দেশটিতে পাচার করা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের লোকজনকে ওই এলাকায় গণকবর দেয়া হয়েছে। দেশটির জঙ্গলপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় এখন পর্যন্ত ১৩৯ টি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
জঙ্গলের ওই অভিবাসী ক্যাম্পগুলোতে লোকজনকে সমুদ্র পথে নিয়ে এসে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হত। তাদের মধ্যে যারা নির্যাতন, খাবারের অভাব ও রোগে মারা যেতেন তাদেরকে গণকবর দিত পাচারকারীরা।
সেখানকার ক্যাম্পগুলোতে পাচারের শিকার লোকজনকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা হত। কাঠ ও কাঁটাতার দিয়ে তৈরি এক ধরনের 'মানব খাঁচা'র সন্ধান পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর বলেন, 'অভিবাসীদের ওপর নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা নৃশংসতার ধরন দেখে স্তম্ভিত'।
খাঁচাগুলোকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, 'আমাদের ধারণা অভিবাসীদেরকে এই খাঁচাগুলোতে বন্দি করে রাখা হত। সেখানে তারা ঠিকমত নড়াচড়া করারও সুযোগ পেতেন না।'
গত কয়েক সপ্তাহে নৌকায় করে কয়েক হাজার মানুষ মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছেন। এদের অনেককেই থাইল্যান্ড দিয়ে মালয়েশিয়ার সীমান্ত পার করা হয়।
দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, অভিবাসী ক্যাম্পগুলোতে কিছুদিন আগেও পাচারকারীরা ছিল। থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় সংখলা প্রদেশে অভিবাসী ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালানোর পর আত্মগোপন করেছে পাচারকারীরা। এর কিছুদিন পরই মালয়েশিয়াতেও একই ধরণের ক্যাম্প ও গণকবরের সন্ধান পায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
অভিবাসীদের সাহায্য করতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত চাপের মুখে সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের সাহায্য করতে থাইল্যান্ড একটি ভাসমান নৌঘাঁটি তৈরি করেছে। সূত্র: বিবিসি
No comments:
Post a Comment