Saturday, October 11, 2025

পুজোয়,উত্সবে,মিছিলে,কার্নিভালে বাঙালি, বাঙালির পাশে বাঙালি কোথায়?

পুজোয়,উৎসবে, মিছিলে,কার্নিভালে বাঙালি আছে, বাঙালির পাশে বাঙালি নেই পলাশ বিশ্বাস সর্বশেষ প্রমাণ, বর্ষা,বন্যা বিপর্যয়।যখন কলকাতা, শহরতলি ভেসে যাচ্ছিল, তখন বাঙালিরা সারা পৃথিবীতে দুর্গা পূজা মহা উত্সবে ব্যস্ত। সেলিব্রেটিরা, নেতৃবৃন্দ সবাই পুজোয় মগ্ন। এই সেদিন যখন বিহার, বাংলা, নেপাল,ভুটান ও সারা উত্তর বাংলা বিপর্যয়ে একাকার, দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় কার্নিভাল চলছে। স্বয়ং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নাচ গানা করছেন। পাঞ্জাবে এর চেয়ে বড় বিপর্যয় মুখোমুখি হয়েছে বাংলা বিপর্যয়ের পূর্বে। সমস্ত পৃথিবীর পাঞ্জাবিরা দুর্গতদের পাশে।সব কাজ ফেলে পাঞ্জাবি সেলিব্রেটিরা, খেলোয়াড়রা, ফিল্ম স্টার ও অবশ্যি,নেতৃবৃন্দরা, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের পাঞ্জাবিরা এগিয়ে এসেছেন। ভারত বিভাজনের সময় ও ঠিক এমনটাই হয়েছে। পাঞ্জাবিরা যখন উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের সুবণ্ডবাস্ট করে ফেলেছেন বছর তিনেকের মধ্যে, তখন বঙ্গের রাজনীতি পূর্ব বঙ্গের উদ্বাস্তুদের সর্বনাশ, তাঁদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য একজোট। প্রত্যেক বাঙালি উদ্বাস্তু কে নিজের লড়াই নিজে লড়তে হয়েছে। পাঞ্জাবীদের নাগরিকত্ব নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠে নি। তাঁরা ও বিদেশি আইনের আওতায় ছিলেন। কিন্তু তাঁদের জাতি ঐক্যের ফলে তাঁদের কোনো কালে কোন অসুবিধা হয় নি। আজকের খবর দেখুন: বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন। গত জুন মাসে বাংলাদেশি সন্দেহে সোনালি-সহ মোট ছয় জনকে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। তার পরে অসম সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ‘পুশ ব্যাক’-এর পর থেকে তাঁরা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলে বন্দি রয়েছেন। এখনও জামিন মেলেনি তাঁদের। ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, সোনালিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য কেন্দ্রকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মুখ্য সরকারি আইনজীবী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ শনিবার পিটিআইকে বলেন, “সোনালি খাতুন এবং আরও তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানির জন্য ২৩ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক। তাঁরা গত চার মাস ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন।” সংবাদ সূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা বাংলার পাশে ওড়িশা। তখনো ২০০৩ এর নাগরিকত্ব সংশোধনী পাস হয়নি। ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলায় ১৯৫০ সালে পুনর্বাসিত নোয়াখালী দাঙ্গার শিকার বাঙালিদের ডিপোর্টেশন শুরু হল। বাংলা ও বাঙালি পাশে দাঁড়ায়নি। ওড়িশার ওডিয়া ভাষী মানুষ ও আদিবাসীরা সেদিন ওড়িশার উদ্বাস্তুদের রক্ষা করেছেন। বাঙালিদের অসম প্রবাস বাংলা বিহার অসম নবাবী শাসনের থেকে। বারাক উপত্যকায় বাঙালিরা সেখানে তিন শ বছরের বাসিন্দা। ভারত ভাগের পর অনেক বেশি বাঙালির বসবাস অসমে। ১৯৬০ সাল থেকে অসমে বাঙ্গাল খেদাও অভিযান চলছে। বাংলা ও বাঙালিরা কখনো পাশে দাঁড়িয়েছি? মনে আছে, অপারেশন ব্লু স্তরের পর পাঞ্জাবিরা কি ভাবে ফিরে দাঁড়িয়েছে? আমাদের জন্য এখনো বিভাজন বিভীষিকার কবলে বাঙালিরা, শুধু মাত্র বাঙালিরা।কেন? অথচ বাঙালি জনসংখ্যা বাংলাদেশে সাড়ে সতেরো কোটি, পশ্চিম বঙ্গে কোটি, বাংলার বাইরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে আরো দশ কোটি। এবার আমি সারা পৃথিবীর বাঙালিদের দুর্গা পুজোর ছবিই এই প্রোফাইল পোস্ট করেছে।আন্দামানের বিভিন্ন দ্বীপ ও ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্যের, পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তে। যারা মাত্র সত্তর লক্ষ, যারা এক কোটি, তিন কোটি বা চার কোটি, তাঁরাও প্রায় সায়িত্রশ কোটি বাঙালিকে তুচ্ছ করে যেখানে পাচ্ছে সেখানে বাঙালি নিকেশ করছে। আত্মঘাতী বাঙালির বাঙালিত্বের এই পরিচয়, মারলি ত মারলি, ধাক্কা দিলি কেন? মনীষীদের দোহাই দিয়ে কতদিন বাঙালি মার খেতেই থাকবে? কতদিন প্রত্যেক বাঙালি একাকী নিঃসঙ্গ, বিপর্যস্ত, বেনাগরিক হতে থাকবে? https://www.facebook.com/share/v/1Ec7qwHeAC/

No comments:

Post a Comment