Thursday, October 20, 2016

১৬ - ১৯ বছরের এক যুবতীর শরীর নিয়ে চলেছিল নারকীয় তন্ত্রসাধনা। মুন্ডু কাটা, গায়ে সুতো পর্যন্ত নেই, বুকের ওপর লাল গোলাপি বিষ্ণুজোড় - তুলসীপাতা ছড়ানো,টকটকে ফর্সা পায়ে লাল আলতা পরা। দুহাত আলতায় রাঙানো। নাভির নীচে যোনির ওপরে রাখা হোমযজ্ঞের আধপোড়া কাঠ।যৌনাঙ্গের তলদেশে মাটিতে পোঁতা একগোছা ধূপ। পাশেই রাখা টকটকে তাজা রক্তে ভরা মাটির সরা। দেহ ঘিরে পোঁতা রয়েছে একই মাপের সরু গাছের ডাল। চারিদিকে ছড়ানো- ছেঁটানো সিঁদুরের মাঙ্গলিক রেখা আর গাঁদাফুল।


Sourav Chakrabarti
এ কোথায় চলেছি আমরা? কোন পিশাচের আস্তানায়? কারা লুঠে নিচ্ছে বাঙালির আত্মপরিচয়? রামমোহন, বিদ্যাসাগর, ডিরোজিও র সব ঋণ শোধবোধ? মিছে ছিল বাংলার নবজাগরণ? সর্বংসহা বাংলা!! নরকের কীটেদের এই উল্লাসই কি ভবিতব্য বাংলার? না তা হতে পারে না, যেকোনও মূল্যেই তা আমরা হতে দিতে পারিনা - প্রাণ গেলেও!!!
আজকাল পত্রিকায় গত ১৬ ই অক্টোবরের প্রথম পাতার খবর আর ছবিটা দেখে শিউরে উঠলাম।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের গড়কিল্লার মান্নাপাড়ায় ১৬ - ১৯ বছরের এক যুবতীর শরীর নিয়ে চলেছিল নারকীয় তন্ত্রসাধনা। মুন্ডু কাটা, গায়ে সুতো পর্যন্ত নেই, বুকের ওপর লাল গোলাপি বিষ্ণুজোড় - তুলসীপাতা ছড়ানো,টকটকে ফর্সা পায়ে লাল আলতা পরা। দুহাত আলতায় রাঙানো। নাভির নীচে যোনির ওপরে রাখা হোমযজ্ঞের আধপোড়া কাঠ।যৌনাঙ্গের তলদেশে মাটিতে পোঁতা একগোছা ধূপ। পাশেই রাখা টকটকে তাজা রক্তে ভরা মাটির সরা। দেহ ঘিরে পোঁতা রয়েছে একই মাপের সরু গাছের ডাল। চারিদিকে ছড়ানো- ছেঁটানো সিঁদুরের মাঙ্গলিক রেখা আর গাঁদাফুল।
কুৎসিৎ বীভৎসা পরে আঘাত হানিতে পারি যেন। এ বাংলা আমার না, এ বাংলাকে চিনিওনা - লুঠ হয়ে যাচ্ছে বাংলার আত্মপরিচয়!!! বন্ধু নবজাগরণ আনবে না?

No comments:

Post a Comment