Palah Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

what mujib said

Jyothi Basu Is Dead

Unflinching Left firm on nuke deal

Jyoti Basu's Address on the Lok Sabha Elections 2009

Basu expresses shock over poll debacle

Jyoti Basu: The Pragmatist

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Monday, February 11, 2013

বাংলাদেশি রক্ষীদের গুলিতে ভারতীয় কৃষকের মৃত্যু

বাংলাদেশি রক্ষীদের গুলিতে ভারতীয় কৃষকের মৃত্যু

বাংলাদেশি রক্ষীদের গুলিতে ভারতীয় কৃষকের মৃত্যু
কাঁটাতারের বেড়ার পাশে উত্তেজনা হেমতাবাদে। ছবি-- রণবীর দেব অধিকারী
রায়গঞ্জ ও কলকাতা: সীমান্তে নিজের জমিতে কাজ করার সময় বর্ডার গার্ডস অফ বাংলাদেশ(বিজিবি)-র গুলিতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকে৷ মৃতদেহ টেনে সীমান্তের ওপারে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বাধা দিতে গিয়ে বাংলাদেশি জওয়ানদের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার চিকিত্‍সা চলছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে৷ ঘটনার পরই সোমবার সকালে সীমান্তের দু'পারে পজিশন নিয়েছিল বিএসএফ ও বিজিবি৷ অবশ্য তার ফলে নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর কাণ্ড ঘটেনি৷ 

খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী৷ তাঁরা রাজ্য সরকারের পক্ষে মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন৷ তাছাড়া আহতের চিকিত্‍সার খরচও সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন৷ বিএসএফ-কে সতর্ক থাকতে বলেছে প্রশাসন৷ মহাকরণ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন৷ কিন্তু তাতে আতঙ্ক কাটছে না হেমতাবাদ ব্লকে চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকড়হাটের বাসিন্দাদের৷ সীমানার কাছে জমিতে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা৷ 

মৃতের নাম আবদুল ফরিদ(৩৫)৷ বাবা হাফিজুল মিয়ার সঙ্গে তিনি ও তাঁর ভাইপো সুরে আলম সোমবার ভোরে কাজ করতে গিয়েছিলেন কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে জিরো পয়েন্ট লাগোয়া নিজেদের জমিতে৷ ওই জমিতে সরষের চাষ করেছিলেন তাঁরা৷ সেই সরষে কাটা এবং জমিতে সার দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের৷ সঙ্গে ছিল ২৫ কিলো সার৷ সেই সার যেন কাল হল পরিবারটির৷ হাফিজুল মিয়া জানিয়েছেন, 'হঠাত্‍ই সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওপার থেকে বিজিবি-র কয়েক জন জওয়ান আমাদের জমিতে এসে হাজির হন৷ ওই সার নিয়ে সীমানার ওপারে গিয়ে বাংলাদেশের জমিতে ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য ওরা আমাকে নির্দেশ দেন৷' জমিতে কেটে রাখা সরষেও বাংলাদেশি ওই জওয়ানরা নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ হাফিজুল তাতে বাধা দেওয়ায়, ওই জওয়ানরা তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন৷ তিনি জানিয়েছেন, 'ওই ঘটনা দেখে আমার ছেলে আবদুল ফরিদ বাধা দিতে ছুটে এসেছিল৷ তখনই ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে খুব কাছ থেকে ওর মাথায় গুলি করেন ওই জওয়ানরা৷ ও সঙ্গে সঙ্গে মরে গেলে, মৃতদেহটি টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ওরা৷ তাতে বাধা দেওয়ায় ফরিদের ভাইপোকে গুলি করে ওরা৷' 

ইতিমধ্যে তাঁর ও সুরে আলমের চিত্‍কারে আশপাশ থেকে অন্যান্য কৃষকরা ছুটে গেলে বিজিবি জওয়ানরা এলাকা ছেড়ে চলে যান৷ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে বিএসএফ মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে৷ নিহত আবদুল ফরিদের ভাই নাজিমুল হোসেন হেমতাবাদ থানায় বিজিপি জওয়ানদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাশাং নরবু ভুটিয়া বলেন, 'বিজিবি জওয়ানরা গুলি করে এক জনকে মেরে ফেলেছেন খবর পেয়ে পুরো ঘটনাটি জানতে সেখানে গিয়ে মহকুমাশাসক ও বিডিও-কে রিপোর্ট দিতে বলেছি৷' 

পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য বলেন, 'মাঝে মাঝেই বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত পার হয়ে এসে আমাদের গ্রামে নানা রকম ঝামেলা করেন৷ এ ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেব৷' পুলিশ জানিয়েছে, জিরো পয়েন্টের কাছে হলেও, যে জমিতে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে, তা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়ে৷ সন্ধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি-র ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে দু'পক্ষই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে৷ কলকাতায় মহাকরণে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম৷ তিনি বলেন, 'ব্যাপারটা শুনেছি৷ তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও বিস্তারিত তথ্য নেই৷'

No comments:

Post a Comment