বাংলাদেশি রক্ষীদের গুলিতে ভারতীয় কৃষকের মৃত্যু
রায়গঞ্জ ও কলকাতা: সীমান্তে নিজের জমিতে কাজ করার সময় বর্ডার গার্ডস অফ বাংলাদেশ(বিজিবি)-র গুলিতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকে৷ মৃতদেহ টেনে সীমান্তের ওপারে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বাধা দিতে গিয়ে বাংলাদেশি জওয়ানদের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার চিকিত্সা চলছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে৷ ঘটনার পরই সোমবার সকালে সীমান্তের দু'পারে পজিশন নিয়েছিল বিএসএফ ও বিজিবি৷ অবশ্য তার ফলে নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর কাণ্ড ঘটেনি৷
খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী৷ তাঁরা রাজ্য সরকারের পক্ষে মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন৷ তাছাড়া আহতের চিকিত্সার খরচও সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন৷ বিএসএফ-কে সতর্ক থাকতে বলেছে প্রশাসন৷ মহাকরণ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন৷ কিন্তু তাতে আতঙ্ক কাটছে না হেমতাবাদ ব্লকে চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকড়হাটের বাসিন্দাদের৷ সীমানার কাছে জমিতে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা৷
মৃতের নাম আবদুল ফরিদ(৩৫)৷ বাবা হাফিজুল মিয়ার সঙ্গে তিনি ও তাঁর ভাইপো সুরে আলম সোমবার ভোরে কাজ করতে গিয়েছিলেন কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে জিরো পয়েন্ট লাগোয়া নিজেদের জমিতে৷ ওই জমিতে সরষের চাষ করেছিলেন তাঁরা৷ সেই সরষে কাটা এবং জমিতে সার দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের৷ সঙ্গে ছিল ২৫ কিলো সার৷ সেই সার যেন কাল হল পরিবারটির৷ হাফিজুল মিয়া জানিয়েছেন, 'হঠাত্ই সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওপার থেকে বিজিবি-র কয়েক জন জওয়ান আমাদের জমিতে এসে হাজির হন৷ ওই সার নিয়ে সীমানার ওপারে গিয়ে বাংলাদেশের জমিতে ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য ওরা আমাকে নির্দেশ দেন৷' জমিতে কেটে রাখা সরষেও বাংলাদেশি ওই জওয়ানরা নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ হাফিজুল তাতে বাধা দেওয়ায়, ওই জওয়ানরা তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন৷ তিনি জানিয়েছেন, 'ওই ঘটনা দেখে আমার ছেলে আবদুল ফরিদ বাধা দিতে ছুটে এসেছিল৷ তখনই ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে খুব কাছ থেকে ওর মাথায় গুলি করেন ওই জওয়ানরা৷ ও সঙ্গে সঙ্গে মরে গেলে, মৃতদেহটি টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ওরা৷ তাতে বাধা দেওয়ায় ফরিদের ভাইপোকে গুলি করে ওরা৷'
ইতিমধ্যে তাঁর ও সুরে আলমের চিত্কারে আশপাশ থেকে অন্যান্য কৃষকরা ছুটে গেলে বিজিবি জওয়ানরা এলাকা ছেড়ে চলে যান৷ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে বিএসএফ মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে৷ নিহত আবদুল ফরিদের ভাই নাজিমুল হোসেন হেমতাবাদ থানায় বিজিপি জওয়ানদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাশাং নরবু ভুটিয়া বলেন, 'বিজিবি জওয়ানরা গুলি করে এক জনকে মেরে ফেলেছেন খবর পেয়ে পুরো ঘটনাটি জানতে সেখানে গিয়ে মহকুমাশাসক ও বিডিও-কে রিপোর্ট দিতে বলেছি৷'
পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য বলেন, 'মাঝে মাঝেই বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত পার হয়ে এসে আমাদের গ্রামে নানা রকম ঝামেলা করেন৷ এ ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেব৷' পুলিশ জানিয়েছে, জিরো পয়েন্টের কাছে হলেও, যে জমিতে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে, তা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়ে৷ সন্ধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি-র ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে দু'পক্ষই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে৷ কলকাতায় মহাকরণে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম৷ তিনি বলেন, 'ব্যাপারটা শুনেছি৷ তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও বিস্তারিত তথ্য নেই৷'
খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী৷ তাঁরা রাজ্য সরকারের পক্ষে মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন৷ তাছাড়া আহতের চিকিত্সার খরচও সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন৷ বিএসএফ-কে সতর্ক থাকতে বলেছে প্রশাসন৷ মহাকরণ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন৷ কিন্তু তাতে আতঙ্ক কাটছে না হেমতাবাদ ব্লকে চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকড়হাটের বাসিন্দাদের৷ সীমানার কাছে জমিতে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা৷
মৃতের নাম আবদুল ফরিদ(৩৫)৷ বাবা হাফিজুল মিয়ার সঙ্গে তিনি ও তাঁর ভাইপো সুরে আলম সোমবার ভোরে কাজ করতে গিয়েছিলেন কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে জিরো পয়েন্ট লাগোয়া নিজেদের জমিতে৷ ওই জমিতে সরষের চাষ করেছিলেন তাঁরা৷ সেই সরষে কাটা এবং জমিতে সার দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের৷ সঙ্গে ছিল ২৫ কিলো সার৷ সেই সার যেন কাল হল পরিবারটির৷ হাফিজুল মিয়া জানিয়েছেন, 'হঠাত্ই সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওপার থেকে বিজিবি-র কয়েক জন জওয়ান আমাদের জমিতে এসে হাজির হন৷ ওই সার নিয়ে সীমানার ওপারে গিয়ে বাংলাদেশের জমিতে ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য ওরা আমাকে নির্দেশ দেন৷' জমিতে কেটে রাখা সরষেও বাংলাদেশি ওই জওয়ানরা নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ হাফিজুল তাতে বাধা দেওয়ায়, ওই জওয়ানরা তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন৷ তিনি জানিয়েছেন, 'ওই ঘটনা দেখে আমার ছেলে আবদুল ফরিদ বাধা দিতে ছুটে এসেছিল৷ তখনই ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে খুব কাছ থেকে ওর মাথায় গুলি করেন ওই জওয়ানরা৷ ও সঙ্গে সঙ্গে মরে গেলে, মৃতদেহটি টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ওরা৷ তাতে বাধা দেওয়ায় ফরিদের ভাইপোকে গুলি করে ওরা৷'
ইতিমধ্যে তাঁর ও সুরে আলমের চিত্কারে আশপাশ থেকে অন্যান্য কৃষকরা ছুটে গেলে বিজিবি জওয়ানরা এলাকা ছেড়ে চলে যান৷ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে বিএসএফ মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে৷ নিহত আবদুল ফরিদের ভাই নাজিমুল হোসেন হেমতাবাদ থানায় বিজিপি জওয়ানদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাশাং নরবু ভুটিয়া বলেন, 'বিজিবি জওয়ানরা গুলি করে এক জনকে মেরে ফেলেছেন খবর পেয়ে পুরো ঘটনাটি জানতে সেখানে গিয়ে মহকুমাশাসক ও বিডিও-কে রিপোর্ট দিতে বলেছি৷'
পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য বলেন, 'মাঝে মাঝেই বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত পার হয়ে এসে আমাদের গ্রামে নানা রকম ঝামেলা করেন৷ এ ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেব৷' পুলিশ জানিয়েছে, জিরো পয়েন্টের কাছে হলেও, যে জমিতে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে, তা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়ে৷ সন্ধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি-র ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে দু'পক্ষই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে৷ কলকাতায় মহাকরণে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম৷ তিনি বলেন, 'ব্যাপারটা শুনেছি৷ তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও বিস্তারিত তথ্য নেই৷'
No comments:
Post a Comment