Palah Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

what mujib said

Jyothi Basu Is Dead

Unflinching Left firm on nuke deal

Jyoti Basu's Address on the Lok Sabha Elections 2009

Basu expresses shock over poll debacle

Jyoti Basu: The Pragmatist

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Saturday, February 16, 2013

আশিস নন্দীর বক্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতায় ত্রিশ ত্রিশটি সংগঠনের প্রতিবাদ নিয়ে কোনও খবর হয়নি।একুশে উত্সবের পূর্বে ওপার বাংলা যেভাবে একুশের চেতনায়, একুশের অহন্কারে জেগে উঠেছে, আমরা এপার বাংলায় সেই খবরও পাচ্ছি না।বুঝতে অসুবিধা হয় না ব্রাত্যজনের বাঙ্গালি জাতিসত্তা নিয়ে ন্যাকামির বিরুদ্ধে পশ্চিম বঙ্গ।সরস্বতী পুজো বা ভ্যালেন্টাইন ডে - র মত আমরাও এক দিন অতি অবশ্যই একুশে উত্সবে ম

 আশিস নন্দীর বক্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতায় ত্রিশ ত্রিশটি সংগঠনের প্রতিবাদ নিয়ে কোনও খবর হয়নি।একুশে উত্সবের পূর্বে ওপার বাংলা যেভাবে একুশের চেতনায়, একুশের অহন্কারে জেগে উঠেছে, আমরা এপার বাংলায় সেই খবরও পাচ্ছি না।বুঝতে অসুবিধা হয় না ব্রাত্যজনের বাঙ্গালি জাতিসত্তা নিয়ে ন্যাকামির বিরুদ্ধে পশ্চিম বঙ্গ।সরস্বতী পুজো বা ভ্যালেন্টাইন ডে - র মত আমরাও এক দিন অতি অবশ্যই একুশে উত্সবে মাতব।আর যা হোক্, মাতৃভাষার জন্য এই বঙ্গে অন্তত রক্ত ঝরাতে হবে না।ওপার বাংলার বেয়াড়া ব্রাত্য বাঙ্গালিদের বঙ্গভূমি থেকে বহিস্কৃত করার জন্যই ত ভারত ভাগ হল।মুস্কিল হল, সারা পৃথীবী কিন্তু বাঙ্গালি জাতি সত্তা বলতে বাংলাদেশই বোঝে

বাঙ্গালি রাষ্ট্রপতি হলেও বাংলার নেতৃবৃন্দ ক্ষমতা দখলের যে তুমুল স্থানীয় যুদ্ধে মেতে আছেন এবং আবাল বৃদ্ধ বনিতাকে যে ভাবে বিতর্কে বিনোদনে সন্ত্রাসে ও হিংসায় মাতিয়ে রেখেছেন, এই বাংলার বুকে গণসংহার নীতির বিরুদ্ধে আর কখনো কোনও প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে বলে মনে হয় না।একচেটিয়া শাসক শ্রেণী কত বেপরোয়া যে হেলীকাপ্টর প্রতিরক্ষা চুক্তিতে বোফোর্স কেলেন্কারির খবরের মধ্যে আবার ফ্রান্সের সঙ্গে বাজারের নিয়মে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলল।রাষ্ট্রের হাতে রক্তের দাগ আমাদের বড় গর্বের,তার সুগন্ধিতে আমরা জীবন কাটিয়ে দিতে বড়ই অভ্যস্ত

পলাশ বিশ্বাস 
https://mail-attachment.googleusercontent.com/attachment/u/0/?ui=2&ik=9e0ec3292c&view=att&th=13cd7d72a0601f92&attid=0.1&disp=inline&realattid=f_hd5k6yyd0&safe=1&zw&saduie=AG9B_P99CEBXRZgJ8rx9iKnpiDqD&sadet=1361026968038&sads=rptOcLlB5dvmSPz948fqpa3XyiM&sadssc=1


 আশিস নন্দীর বক্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতায় ত্রিশ ত্রিশটি সংগঠনের প্রতিবাদ নিয়ে কোনও খবর হয়নি

https://mail-attachment.googleusercontent.com/attachment/u/0/?ui=2&ik=9e0ec3292c&view=att&th=13cd7d72a0601f92&attid=0.2&disp=inline&realattid=f_hd5k6yz61&safe=1&zw&saduie=AG9B_P99CEBXRZgJ8rx9iKnpiDqD&sadet=1361027005104&sads=H4omSZaBqC9q__nPnjdfeZitJPc

একুশে উত্সবের পূর্বে ওপার বাংলা যেভাবে একুশের চেতনায়, একুশের অহন্কারে জেগে উঠেছে, আমরা এপার বাংলায় সেই খবরও পাচ্ছি নাঢাকার শাহবাগ চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে অব্যাহত আন্দোলনকে অনেকেই তুলনা করেছেন মিসরের তাহরির স্কোয়ারের বিক্ষোভের সঙ্গে। আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ শাহবাগ চত্বরের নামকরণ করেছেন প্রজন্ম চত্বর। আন্দোলনের মূলশক্তি, তরুণদের গণজাগরণকে বিভিন্ন বিশেষণেও বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই আন্দোলনে একক কোন নেতৃত্ব চোখে পড়েনি। বিবিসি বাংলার সাইয়েদা আক্তার খোঁজ নিয়েছেন শাহবাগের এই গণজাগরণ বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারছে কতটা?

রাতে ব্লগারদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। ব্লগার অ্যান্ড 



অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান 



এইচ সরকার রাতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্তরে এ ঘোষণা 


দেন। রাজিব হায়দার খুনের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার 


মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। 

বুঝতে অসুবিধা হয়না ব্রাত্যজনের বাঙ্গালি জাতিসত্তা নিয়ে ন্যাকামির বিরুদ্ধে পশ্চিম বঙ্গ

সরস্বতী পুজো বা ভ্যালেন্টাইন ডের মত আমরাও এক দিন অতি অবশ্যই একুশে উত্সবে মাতব

আর যা হোক্, মাতৃভাষার জন্য এই বঙ্গে অন্তত রক্ত ঝরাতে হবে না

ওপার বাংলার বেয়াড়া ব্রাত্য বাঙ্গালিদের বঙ্গভূমি থেকে বহিস্কৃত করার জন্যই ত ভারত ভাগ হল

মুস্কিল হল, সারা পৃথীবী কিন্তু বাঙ্গালি জাতি সত্তা বলতে বাংলাদেশই বোঝে

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ইতিমধ্যেই  কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে ডান-বাম বিরোধী দলগুলি।

কিন্তু দাম বেড়েই চলেছে

মুক্ত বাজার ব্যবস্থায় আসল বৃদ্ধি দর হল এটাই

মৌখিক বিরোধিতা ছাড়া রাজনীতির ভরসায় আম জনতার এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির কোনও রাস্তা খোলা নেই

বাঙ্গালি রাষ্ট্রপতি হলেও বাংলার নেতৃবৃন্দ ক্ষমতা দখলের যে তুমুল স্থানীয় যুদ্ধে মেতে আছেন এবং আবাল বৃদ্ধ বনিতাকে যে ভাবে বিতর্কে বিনোদনে সন্ত্রাসে ও হিংসায় মাতিয়ে রেখেছেন, এই বাংলার বুকে গণসংহার নীতির বিরুদ্ধে আর কখনো কোনও প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে বলে মনে হয় না

একচেটিয়া শাসক শ্রেণী কত বেপরোয়া যে হেলীকাপ্টর প্রতিরক্ষা চুক্তিতে বোফোর্স কেলেন্কারির খবরের মধ্যে আবার ফ্রান্সের সঙ্গে বাজারের নিয়মে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলল

রাষ্ট্রের হাতে রক্তের দাগ আমাদের বড় গর্বের,তার সুগন্ধিতে আমরা জীবন কাটিয়ে দিতে বড়ই অভ্যস্ত

আজও রক্তে ভেসে যাচ্ছে জমিন!আজও লজ্জিত মানুষ!আজও ধর্ষিতা মায়েরা!কিন্তু এই বাংলায় কোনো লজ্জা লেখা হবে না! রোজ টিভি দেখতে ভয় হয়, আবার কোথায় রক্তপাত হল !আবার আমাদেরই কে মারা পড়ল! কোন মেয়েটি আবার ধর্ষিতা হল!

যুদ্ধ অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ এখন প্রতিবাদ 

মুখর। হাজার হাজার তারুণ্যের প্রতিবাদ মুখর স্লোগানে 


উত্তপ্ত ঢাকার শাহবাগ চত্বর। সবার কেবল একটাই দাবী 


যুদ্ধ অপরাধীদের ফাঁসিচাই। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে 


চাই। পশ্চিম বাংলা ও বারতবর্ষের যুদ্ধ অপরাধীদের 


বিরুদ্ধে আমরা কবে রাস্তায় নামতে পারব?

ফের দাম বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের। মাঝ রাত থেকেই পেট্রোলের দাম বাড়ল লিটারে  দেড় টাকা। ডিজেলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি  ৪৫ পয়সা। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ইতিমধ্যেই  কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে ডান-বাম বিরোধী দলগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে দামবৃদ্ধির ফলে ক্ষতির মুখে তেল কোম্পানিগুলি। সংস্থার দাবি, প্রতি লিটার পেট্রোলে ক্ষতি হচ্ছে এক টাকা বত্রিশ পয়সা। সেই ক্ষতির বোঝা কমাতে চলতি সপ্তাহেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তর কথা জানানো হয়েছিল।  শুক্রবার মধ্যরাত থেকে লাগু করা হল বর্ধিত দাম।  ইতিমধ্যেই   মূল্যবৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। 

পেট্রোলের দাম বাড়ল লিটারে  দেড় টাকা। আগে রাজধানী দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৬৭টাকা ২৬ পয়সা। এবার সেই দাম বেড়ে হল ৬৯ টাকা ৬ পয়সা। কলকাতায় পেট্রোলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৭৪ টাকা ৭২ পয়সা। দাম বেড়ে হল ৭৬ টাকা ৬২ পয়সা। মুম্বইতে পেট্রোলের দাম ছিল লিটার প্রতি চুয়াত্তর টাকা। দাম হল ৭৫ টাকা ৯১ পয়সা। চেন্নাইতে পেট্রোলের  দাম ছিল ৭০ টাকা ২৬ পয়সা। দাম বেড়ে হল ৭২ টাকা ১৬ পয়সা।  

ডিজেলের দাম বাড়ছে লিটার প্রতি ৪৫ পয়সা।  দিল্লিতে ডিজেলের দাম ছিল  ৪৭ টাকা ৬৫ পয়সা লিটার । দাম বেড়ে হল ৪৮ টাকা ১৫ পয়সা। কলকাতায় ডিজেলের দাম ছিল  ৫১ টাকা ৫১ পয়সা । দাম বেড়ে হল ৫২ টাকা চার পয়সা। মুম্বইতে ডিজেলের  দাম ছিল লিটার প্রতি ৫৩ টাকা ৭১ পয়সা।  বেড়ে হল ৫৪ টাকা ২৮ পয়সা। চেন্নাইতে ডিজেলের  দাম ছিল প্রতি ৫০ টাকা ৬৮ পয়সা। দাম বেড়ে হল ৫১ টাকা ২৩ পয়সা।  

পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আগেই তেল কোম্পানিগুলিকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত মাসের আঠার তারিখ লিটারে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা। শুক্রবার বৈঠকের পর পের একবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল কোম্পানিগুলো।  


সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর এবার ফিরহাদ হাকিমের ক্ষমতা খর্ব করল তৃণমূল কংগ্রেস। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জেরে সরকারের  মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমদের প্রতিনিধিদের সামনে ফিরহাদ হাকিমের মুখ খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। 

একইসঙ্গে দলের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন নলহাটি উপনির্বাচনে দলের তরফে দায়িত্ব হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তাঁর ভূমিকায় ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন পুর ও নরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপালও। তার পরই চাপে পড়ে দলের মুখপাত্র পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কলকাতায় তাঁর কর্মসূচির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।    

অন্যদিকে, মুন্না বিতর্কের সঙ্গেই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে নতুন বিতর্কের মুখে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুলিস খুনের ঘটনায় হাসান নাকভি ওরফে সানু নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজছে পুলিস। এই সানুকে গণ্ডগোলের দিনে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমের পাশেই। সানু আবার হজ কমিটির সদস্যও। ফিরহাদ হাকিমের সুপারিশেই হাসান নাকভি ওরফে সানুকে হজ কমিটিতে নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। 

গণ্ডগোলের দিন সকাল থেকেই হরিমোহন ঘোষ কলেজ চত্বরে হাজির ছিল সানু।  ক্যামেরার ফুটেজে মুন্না ওরফে ইকবালের পাশে তাকে একাধিকবার দেখা যায়। মুন্নার মত সানুও হামলায় প্ররোচনা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এসআই তাপস চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জনতার ভিড়ে সানুর পালিয়ে যাওয়ার ছবিও ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। পরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে এলে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সানুকে মন্ত্রীর পাশে দাড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।

সূত্রের খবর, দুহাজার এগারোর জুলাইয়ে এই হাসান নাকভি ওরফে সানুকে হজ কমিটিতে জায়গা করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন খোদ ফিরহাদ হাকিম। সানু, গার্ডেনরিচ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচিত মুখ। পুরমন্ত্রীর পাশাপাশি মুন্নারও ঘনিষ্ঠ সহযোগী সানু। মুন্নার মতো বুধবার সন্ধে থেকে সানুও গা-ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। তার সবকটি মোবাইল ফোন সুইচড অফ। 


কাশ্মীরে উঠল কার্ফু, তবু বন্‌ধে স্তব্ধ রাজ্য
কার্ফু উঠলেও থমথমে কাশ্মীর
শ্রীনগর: ঠিক এক সপ্তাহ পর পুরোপুরি কার্ফু-মুক্ত হল জম্মু-কাশ্মীর৷ ফিরে এল ইন্টারনেট সংযোগ৷ তবু বন্ধের জন্য সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারল না উপত্যকার জনজীবন৷

শনিবার পুলিশ সত্রে খবর, কাশ্মীরের ১০টি জেলা থেকেই এদিন কার্ফু তুলে নেওয়া হয়৷ অবশ্য আগেই শ্রীনগরের ৩টি থানা অঞ্চলে কার্ফু তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন৷ এদিন মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরে আসায় স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ উপভোক্তা৷ গত ৯ ফেব্রুয়ারি আফজল গুরুর ফাঁসির পরিপ্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীরে কার্ফু জারি হয়েছিল৷ কোনও উস্কানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার৷ গত এক সন্তাহে প্রতিবাদকারী ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে বিক্ষিন্ত সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন ৩ জন, আহত হয়েছেন ২৫ জন পুলিশকর্মী-সহ ৬০ জনেরও বেশি মানুষ৷

আফজলের ফাঁসির প্রতিবাদে ও পরিবারের হাতে তাঁর মৃতদেহ তুলে দেওয়ার দাবিতে সইদ আলি গিলানির নেতৃত্বে উপত্যকায় বন্ধ ডেকেছিল হুরিয়ত কনফারেন্স৷ শুক্রবার এই বন্ধকে রবিবার পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা৷ ফলে কার্ফু উঠলেও শনিবার মোটামুটি স্তব্ধই রইল কাশ্মীরের স্বাভাবিক জনজীবন৷ অধিকাংশ দোকান-বাজার বন্ধ ছিল৷ পরিবহণ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে৷ তবে উপত্যাকার প্রধান শহরগুলির রাস্তায় কিছু বেসরকারি যানবাহন চলতে দেখা যায়৷ -পিটিআই

চপার তদন্তে ভারতকে তথ্য দিতে অস্বীকার করল ইতালি
নয়াদিল্লি: চপার চুক্তি কেলেঙ্কারির তদন্তে পাওয়া তথ্য ভারতকে দিতে অস্বীকার করল ইতালি। গুরুতর এই বিষয়টি নিয়ে পাওয়া যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হচ্ছে। তাই নয়াদিল্লি তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানালেও তা ফিরিয়ে দিল ইতালির আদালত। 

ভিভিআইপি-দের জন্য ১২টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার কেনার জন্য ইতালীয় সংস্থা অগুস্টা ওয়েস্টল্যান্ডকে বরাত দেয় ভারত। ৩,৬০০ কোটি টাকার এই চুক্ত পাকা করার জন্য অগুস্টা ওয়েস্টল্যান্ড ৩৬০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এ কথা সামনে আসতেই কোম্পানির সিইও গিওসেপ্পি ওরসি-কে গ্রেফতার করেছে ইতালি প্রশাসন। দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশও। এই তদন্ত থেকে পাওয়া তথ্য ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইতালিকে সরকারকে অনুরোধ জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রোমে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই অনুরোধ জানানো হয়। 

কিন্তু তদন্তের স্বার্থে নয়াদিল্লির অনুরোধ ফিরিয়ে দিল ইতালীয় আদালত। প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্বে থাকা বিচারপতি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে অন্য কারোর সঙ্গেই তদন্ত থেকে পাওয়া তথ্য এখনই ভাগ করে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভারতের করা অনুরোধের সদর্থক জবাব দেওয়া গেল না বলে জানানো হয়েছে। তবে তদন্ত কিছুটা এগোলে, আর এত গোপনীয়তার প্রয়োজন থাকবে না। তখন ভারত নতুন করে তথ্যের জন্য আবদেন করলে তা বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। 

এদিকে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একজন যুগ্মসচিবকে ইতালি পাঠানো হচ্ছে, হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারির বিষয়ে যত বেশি সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করে আনার জন্য। ইতিমধ্যেই এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার. চুক্তি বাতিল করা হতে পারে বলেও সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

কপ্টার চুক্তি বাতিল করতে চলেছে ভারত
নয়াদিল্লি: ইতালীয় কোম্পানির সঙ্গে ৩৫৪৬ কোটি টাকার হেলিকপ্টার চুক্তি বাতিল করতে চলেছে ভারত। আগস্টা ওয়েস্টল্যান্ড নামক কোম্পানিকে ভিভিআইপি-দের ব্যবহারের জন্য ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে ১২টি ডব্লিউ-১০১ হেলিকপ্টারের বরাত দেওয়া হয়। এই চুক্তি ঘিরে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সেই চুক্তি কেন্দ্র বাতিল করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।

পাশাপাশি, চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না তা, সাত দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে বলে আগস্টা ওয়েস্টল্যান্ডকে সরকারি শোকজ নোটিশও পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশদে জানাতে ইতালি সরকারের কাছে কেন্দ্রের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। হেলিকপ্টার চুক্তিতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার নির্দিষ্ট কোম্পানির সিইও গিওসিপ্পো ওরসিকে গ্রেফতার করেছে ইতালি প্রশাসন।

ইতালীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এসপি ত্যাগীর তিন আত্মীয় এই অবৈধ আর্থিক লেনদেনের ফলে লাভবান হয়েছেন। কোনওরকম বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ত্যাগী। এদিকে হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারি নিয়ে কৌশলে রাহুল ও সনিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ ক্রমশ তীব্র করছে বিজেপি৷ শুক্রবার বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়া সিবিআইয়ের কাছে চিঠি লিখে দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা কণিষ্ক সিংয়ের ভূমিকা তদন্ত করে দেখতে হবে৷ ইতালিয়ান দালাল হ্যাশকের সঙ্গে কণিষ্কর সম্পর্ক নিয়েও সিবিআইকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেছেন কিরীট৷

আর হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপি এ দিন সরকারকে ছ'টি প্রশ্ন করেছে৷ তার মধ্যে অন্যতম হল, ইতালিতে যে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে দু'জায়গায় বলা হয়েছে, 'পরিবারকে' ২৮ মিলিয়ন ইউরো বা ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ দেশ জানতে চায়, এই পরিবার কোন পরিবার? বিজেপির আরেকটি প্রশ্ন হল, হ্যাশকের সঙ্গে এমার-এমজিএফের যোগাযোগের ধরনটা কী?

বিষয় : আশীষ নন্দীঃ দলিত, সিপিএম, করাপশান, মিডিয়া এবং আমাদের টুইটার জেনারেশন 
          বিভাগ : নাটক
          শুরু করেছেন :SC
          IP Address : 34.3.20.47 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 05:42 AM




Name:  SC          

IP Address : 34.3.20.47 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 05:55 AM

আজ সকালে দেখলাম আশীষ নন্দীকে নিয়ে একটা পুরোদস্তুর নাটক নেমে গেছে।
জয়পুরে লিটারারি ফেস্টিভালে এক আলোচনাসভা নাকি উনি বলেছেন, এস সি (আমার নামে বলেনি ঃ( ) , এস টি, ওবিসি রাই এদেশে সবচেয়ে বেশী করাপ্ট।
ভারতের ২৪ ঘন্টার চ্যানেল্গুলি এরকম রিপোর্ট ছেপেছে, আর তারপরে কোন নেতা এফ আই আর করেছেন, কেউ বলেছেন জেলে দাও এইসব।

১) ভালো করে খুঁটিয়ে বোঝার চেষ্টা করে মনে হলে আশীষ বাবু একদমই উল্টো কথা বলেছেন। উনি বলার চেষ্টা করলেন যে দলিতদের করাপশানটাই এদেশে ধরা পড়ে। উচ্চবর্ণের লোকেদের করাপশান সিস্টেমের মধ্যে এমনভাবে লেজিটিমেসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সেটাকে সমাজে করাপশান হিসেবে আর গণ্য হয় না।

২) সিপিএম/তৃণও চলে এসেছে এর মধ্যে আবার। উদাহরণ দিয়েছেন পঃ বঃ র। বল্লেন পঃ বঃ তে এমন একটি দল ক্ষমতায় ছিলো, যাদের বেশীরভাগ নেতা, নেত্রী সমাজের উচ্চকোটির উচ্চশিক্ষিত লোক। সেখানে করাপশান কম, করাপশানের প্রচলিত অর্থে। (এখানে উনি বলছেন সমাজ করাপশানের ডেফিনেশন টাকেই এমনভাবে আমাদের সামনে দেখাচ্ছে, যে এই ডেফিনেশনে দলিতরাই বেশী করাপ্ট)।

এই বক্তব্য এবং পঃ বঃ র উদাহরণ নিয়ে জনগণের কি মত?

৩) আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্যের অবশ্য মিডিয়ার রিপোর্টিং। হেডলাইনের স্পেসে কোনো আইডিয়া ফিট না করলে এভাবে মিসকোট করে দিতে হবে? এরকম মিসকোট করলে তো কোনো সিরিয়াস আইডিয়ার আদানপ্রদানই হবে না। ওয়ান লাইনার, সাউন্ড বাইটের বাইরে পড়াশুনা করা বন্ধ করে দিতে হবে। এটাই কি তবে টুইটার জেনারেশন। ১৪০ শব্দে যা বলা যায়না, তা বলার চেষ্টাই বৃথা। ঃ(


Name:  pinaki          

IP Address : 132.174.36.36 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 10:05 AM

গতকাল TOI তে কোটেশন মার্কের মধ্যে ওনার যা বক্তব্য দেখলাম, তাতে এত কথা বোঝা যাওয়ার কথা নয়। প্রায় পাঁচ-ছটা পরপর সেনটেন্স পড়লাম। তা থেকে এই উপরের বক্তব্য মোটেও বোঝা যাচ্ছিল না। আমার ধারণা ঠিকভাবে বোঝাতে না পারার একটা দায় ওনারও। আর প্রতিবাদটা অন দ্য স্পট হয়েছে বলে মনে হল। মিডিয়া রিপোর্টিং পড়ে বা শুনে হয়েছে বলে মনে হল না। আমার ধারণা উনি হয়তো প্রচুর ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নতুন থিওরি টাইপের কিছু একটা নামাতে গেছেন - যেটা ঐ মঞ্চে লোকের বোধগম্য হয় নি। পরে যে ব্যাখ্যাটা দিয়েছেন সেটা সহজ করে সোজাসুজি ঐ মঞ্চে বললে এত কন্ট্রোভার্সি হত না। কারণ পরের ব্যাখ্যাটার মধ্যে কোনো জটিল কিছু বা নতুন কিছু নেই।


Name:  সুশান্ত          

IP Address : 127.203.166.87 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 11:02 AM

যথার্থ লিখেছেনঃ৩) আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্যের অবশ্য মিডিয়ার রিপোর্টিং। হেডলাইনের স্পেসে কোনো আইডিয়া ফিট না করলে এভাবে মিসকোট করে দিতে হবে? এরকম মিসকোট করলে তো কোনো সিরিয়াস আইডিয়ার আদানপ্রদানই হবে না। ওয়ান লাইনার, সাউন্ড বাইটের বাইরে পড়াশুনা করা বন্ধ করে দিতে হবে। এটাই কি তবে টুইটার জেনারেশন। ১৪০ শব্দে যা বলা যায়না, তা বলার চেষ্টাই বৃথা। ঃ(
----এই ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে বর্ণহিন্দু প্রচার মাধ্যম কত জটিল এবং কুটিল হতে পারে।


Name:  bb          

IP Address : 127.195.182.21 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 11:36 AM

আমার ও SC এর মতই একই কথা মনে হয়েছে।উনি বলতে চেয়ে ছিলেন যে শুধু নিম্নবর্নের লোকেরা ধরা পড়ে, উচ্চবর্ণের লোকেরা ধরা পড়ে না।


Name:  dd          

IP Address : 132.167.25.20 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 11:43 AM

NDTV তে দিয়েছে আশীস নন্দীর স্টেটমেন্ট।

I endorsed the statement of Tarun Tejpal, Editor of Tehelka, that corruption in India is an equalising force. I do believe that a zero corruption society in India will be a despotic society.

I also said that if people like me or Richard Sorabjee want to be corrupt, I shall possibly send his son to Harvard giving him a fellowship and he can send my daughter to Oxford. No one will think it to be corruption. Indeed, it will look like supporting talent.

But when Dalits, tribals and the OBCs are corrupt, it looks very corrupt indeed.

However, this second corruption equalizes. It gives them access to their entitlements. And so, as long as this equation persists, I have hope for the Republic.

I hope this will be the end of the matter. I am sorry if some have misunderstood me. Though there was no reason to do so. As should be clear from this statement, there was neither any intention nor any attempt to hurt any community. If anyone is genuinely hurt, even if through misunderstanding, I am sorry about that, too.

নিন। এইবারে নিজ নিজ মতাদর্শের আলোকে দেখে নিন।



Name:  s          

IP Address : 130.59.227.88 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 01:53 PM

কোরাপশানেও আমরা ওরা?


Name:  pinaki          

IP Address : 132.174.36.36 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 02:11 PM

নন্দী সেদিন কী বলেছিলেন এবং মঞ্চেই তার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল - (হিন্দু থেকে)

Earlier in the day, Professor Nandy said in conversation with Mr. Tejpal, journalist Ashutosh, writer Urvashi Bhutalia, biographer-historian Patrick French and academician Richard Sorabji at the session marking the Republic Day that most of the corrupt "come from the OBCs and SCs and now increasingly from the STs."

"As long as this is the case, the Indian Republic will survive," he said, citing the example of West Bengal, which he said was the State with the least extent of corruption. "In the last hundred years, nobody from the OBCs, SCs and STs has come to power there. It is an absolutely clean State."

These remarks led to strong reactions from the audience, and one of the panellists, Mr. Ashutosh, said it was the "most bizarre statement" he had ever heard. Some members of the audience at Char Bagh in Diggi Palace also took exception to the remarks and demanded that Professor Nandy retract them.

পরে উনি যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা ওনার মঞ্চের এই মন্তব্য থেকে মেক আউট করা অতটা সহজ ছিল না। যে কারণে প্রথম প্রতিক্রিয়া প্যানেলিস্টদের মধ্যে থেকেই এসেছে।


Name:  h          

IP Address : 127.194.249.99 (*)          Date:27 Jan 2013 -- 08:26 PM

আশীষ নন্দীর স্টেটমেন্টে পঃবঙ্গের উল্লেখ একটু অবাক লাগলো, পশ্চিম বংগের রাজনীতির কাস্ট অ্যানালিসিস করলে, খুব নতুন কিসু পাওয়ার কথা না। পঞ্চায়েতের কোরাপশন যদি ধরেন, তাহোলে তাতে কাস্ট অ্যানালিসিস করেও বিশেষ কিসু নতুন বেরোবে মনে হয় না।

অবশ্য পুরো ভারবাটিম না দেখে বা পড়ে কিসু বলা মুশকিল।

ওনার পয়েন্ট যদি হয়ে থাকে, কোরাপশন না করলে নীচু জাতের মানুষ অনেক অধিকার থেকে চিরকাল ই বঞ্চিত রয়ে যাবে, এটা বললে নীচু জাতের মানুষের লেজিটিমেট অধিকারের লড়াই কে ডিরোগেশন করা হয়। তবে ভার্বাটিম না দেখলে বলা যাবে না, অতএব আমার মতামত সাসপেন্ডেড। এই একই যুক্তির ধারাতেই, উচ্চ বর্ণের লোকদের সোশাল নেটওয়ার্ক শুধু ক্ষমতার দরজা খোলে না, পাতি পয়সা কড়ির দরজা খোলে সেটা এই নব্য থিয়োরি দেওয়ার সময় মিস করে গেলেন কেন বুঝলাম না।
তবু ওভারল হি শুড হ্যাভ রাইট অফ সেল্ফ ডিফেন্স, তেমন ই ভার্বাটিম বক্তব্য দেখে সেটা যদি বিচার ব্যবস্থা মনে করেন, শাস্তি হবে তো হবে। তার আগে অবশ্য পুলিশ কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রসিকিউট করবে কিনা।
আশা করি কোন ইন্সিডেন্ট ঘটবে না। যা বলেছেন, যা বেরিয়েছে, যথেষ্ট ছড়িয়েছেন।


Name:  প্পন          

IP Address : 190.215.114.75 (*)          Date:31 Jan 2013 -- 02:06 PM

http://ebela.in/details/4259-15225215.html


Name:  x          

IP Address : 82.163.217.102 (*)          Date:31 Jan 2013 -- 02:13 PM

http://www.thehindu.com/opinion/lead/death-of-irony-in-the-age-of-medi
a/article4361820.ece



Name:  নেতাই          

IP Address : 131.241.98.225 (*)          Date:31 Jan 2013 -- 02:51 PM

বিতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল আশিষ নন্দীর বক্তব্য নিয়ে।
বিতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল আশিষ নন্দী ঐ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যা বোঝাতে চেয়েছেন বলে পরে যা বক্তব্য রেখেছেন তা নিয়ে।
কিন্তু বিতর্ক হচ্ছে ঐ বক্তব্যের যে প্রতিক্রিয়া মায়াবতী রামবিলাস রা রেখেছেন তা নিয়ে। এফাইআর করা ঠিক হল না ভুল তাই নিয়ে।


Name:  mi          

IP Address : 24.139.86.99 (*)          Date:31 Jan 2013 -- 06:47 PM

Dalit Camera :


http://www.youtube.com/watch?v=yI9CxJAT3ZE


Name:  PT          

IP Address : 213.110.243.23 (*)          Date:31 Jan 2013 -- 07:09 PM

এখন মনে হচ্ছে যে তসলিমা-রুশদি-হুসেন একটা রোগের লক্ষণ মাত্র। মহারাষ্ট্রে শিবাজীর, বাংলায় নেতাজীর, ইত্যাদি প্রভৃতির বিরুদ্ধে কোন কথা যেমন বলা যাবেনা সে রকম দলিত, সংখ্যালঘু, বর্ণহিন্দু কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই কোন কথা বলা যাবেনা।


Name:  দ          

IP Address : 69.161.30.14 (*)          Date:06 Feb 2013 -- 09:01 AM

http://www.anandabazar.in/6edit3.html


Name:  নেতাই          

IP Address : 131.241.98.225 (*)          Date:06 Feb 2013 -- 10:57 AM

দেবেশ রায় কী যে বলতে চাইলেন একদম বুঝতে পারলাম না


Name:  lcm          

IP Address : 34.4.162.218 (*)          Date:06 Feb 2013 -- 11:00 AM

কোনোদিনই খুব একটা বোঝা যায় না।


Name:  নেতাই           

IP Address : 131.241.98.225 (*)          Date:06 Feb 2013 -- 11:00 AM

ঃ))


Name:  কল্লোল          

IP Address : 125.241.72.226 (*)          Date:06 Feb 2013 -- 11:48 AM

আশিস নন্দী ঠিক ঠিক কি বলেছেন সেটার কোন অডিও-ভিসুয়াল কিছু আছে?
যা কিছু উনি বলছেন, মানে ওনার কথা বলে যা ছাপা হচ্ছে, তাতে এতো হৈচৈএর কি হলো কে জানে। আমি যা বুঝলামঃ
১) দলিতদের দুর্নীতি নিয়ে ঢাকঢোল বেশী পেটানো হয়, উচ্চবর্ণের দুর্নীতি ঢাকাচাপা থাকে।
২) যেসব জায়গায় দলিতরা ক্ষমতার ভাগ পেয়েছে সেখানে দলিত দুর্নীতি বেশী। দলিত দুর্নীতি এক অর্থে দলিতদের ক্ষমতায়নের সূচক।
আমি কি ঠিক বুঝেছি?


Name:  নেতাই          

IP Address : 131.241.98.225 (*)          Date:06 Feb 2013 -- 12:16 PM

কল্লোলদা,
এই টইতে অলরেডি লেখা আছে, তাও লিখলাম। কোট আনকোট উনার এই বাক্যটি নিয়েই মায়াবতী মুলায়মদের আস্ফালন এবং কয়েকটি এফাইআর।
"Most of the people who are doing corruption are people from OBC, SC and ST communities and as long as it remains Indian republic will survive,"

সুপ্রীম কোর্ট ওনাকে সতর্ক করেছে এবং গ্রেফ্তার না করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছে।
http://www.hindustantimes.com/India-news/NewDelhi/Supreme-Court-bars-A
shis-Nandy-s-arrest-but-warns-him/Article1-1004868.aspx



Name:  দ          

IP Address : 24.96.165.153 (*)          Date:06 Feb 2013 -- 10:34 PM

এই বিষয়ে হনুর বক্তব্য পড়ুন

http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=2354&boxid=23641109




Name:  siki          

IP Address : 132.177.77.164 (*)          Date:07 Feb 2013 -- 12:13 AM

হনু বেশ পয়েন্ট করে লিস্ট বানিয়ে লিখেছে।

বেশ লিখেছে। :)


Name:  Abhyu          

IP Address : 138.192.7.51 (*)          Date:07 Feb 2013 -- 05:21 AM

পুরো আলোচনাটা না শোনালেও এই কথাটুকুও মিডিয়া প্রচার করতে পারত, যে নেতাইয়ের 12:16 PMএর কোট আনকোটের আগে উনি বলেছিলেন "এর পরে যে কথাটি বলতে চলেছি ..." ইত্যাদি। সস্তা পাবলিসিটির লোভে ল্যাজামুড়ো কেটে শুধু ঐ লাইনটা প্রচার করা হয়েছে। হানুদার প্রথম পয়েণ্টের কথা বাদই দিলাম।
(তথ্যের সোর্স চাহিয়া লজ্জা দিবেন না)


Name:  নেতাই          

IP Address : 131.241.98.225 (*)          Date:07 Feb 2013 -- 10:08 AM

হানুদাকে কয়েকদফা ক। তবে ঘ এর দাগ টা ঠিক বুঝতে পারিনি। একটু শক্ত মতন লেগেছে।


Name:  ranjan roy          

IP Address : 24.96.144.61 (*)          Date:08 Feb 2013 -- 07:28 PM

এ নিয়ে একটি সত্যি আমার দেখা গল্প বছর তিন আগে বুলবুলভাজায় লিখেছিলাম। মনে হয় আশিস নন্দীর বক্তব্যের তূল্যমূল্য। তাই সংক্ষেপে বলছি। জাঁজগীর জেলা উচ্চ মাধ্যমিক ও অন্যান্য পরীক্ষায় নকল করার জন্যে কুখ্যাত। সেবার একটি গরীব ঘরের মেয়ে প্রথম হল। মিডিয়া ইন্টারভিউ নিল। হৈচৈ হল। সে ডাক্তার হতে চায়, দেশসেবা করতে চায়-বাঁধাগতে বলল।
কিন্তু চিফ সেক্রেটারির সন্দেহ হল-- পঁচিশ বছর বয়সের অজ পাড়াগাঁয়ের মেয়ে এমন ইংরেজি লিখেছে! প্রায় এম এ তেও ছত্তিশগড়ে এমন লেখে না।
তদন্তে বেরোল যে মেয়েটির খাতা বদলে দেয়া হয়েছে। তার জন্যে কেন্দ্র সঞ্চালক, রুম ইনভিজিলেটর , জেলার ডায়রেক্টর সবাইকে বদলানো হয়েছে। ওঁরা সাসপেন্ড হলেন। মেয়েটি জেলে গেল।
সংলগ্ন সবাই এস সি।
আমি যা জানতে পেরেছি তা হল মেয়েটি সবচেয়ে নির্দোষ। আসলে তখন বোর্ডের বড়কর্তা ওই সম্প্রদায়ের। নামটাম লিখছি না। দীপাবলীতে উনি পৈতৃক গাঁয়ে গেলে মামাবাড়িতে মানুষ হওয়া গরীব মেয়েটির বিধবা মা ওই বড় সাহেবকে অনুরোধ করেন যে মেয়েটা এবার যেন পাশ করে। উনি অফিসে সেই মর্মে নির্দেশ দেন, শুধু পাশ করাতে। কিন্তু রামভক্ত হনুমানের দল ওনাকে খুশি করতে একেবারে ফার্স্ট করিয়ে দিল। মেয়েটি জেলে গেল।
কিন্তু চিফ সেক্রেটারি সব মেরিট লিস্টের নাম দেখে খাতা পরীক্ষা করালেন। দেখা গেল ষষ্ঠ হওয়া ব্রাহ্মণ কন্যাটিও নিজে লেখে নি। তদন্ত এগোল। ও কিন্তু আইনের ফাঁকে জেলে গেল না।
আমার এস সি থেকে কন্ভার্টেড ক্রিশ্চিয়ান হওয়া মহিলা কলীগের ছেলে মেডিক্যাল জয়েন্টে ফার্স্ট হল। ওর স্বামী বাঙালী কন্ভার্টেড ক্রিশ্চিয়ান এবং পাদ্রী। তিনবছর পরে দেখা গেল ছেলেটি মুন্নাভাই এম বি বি এস। ওর বাপ-মা দশ লক্ষ টাকা দিয়ে ওর জায়গায় অন্য কাউকে দিয়ে পরীক্ষা দিইয়েছে।
ছেলেটি জেলে, ওর মা এখনো দিব্যি চাকরি করছে।

এ বার মৃত্যুমিছিল দলমোড় চা-বাগানে


এ বার মৃত্যুমিছিল দলমোড় চা-বাগানে
চা বাগানের পরিত্যক্ত কারখানা।
এই সময়, আলিপুরদুয়ার: গত ছ'মাসে ২৫টি মৃত্যু দেখেছে দলমোড় চা-বাগান৷ ঢেকলাপাড়া মতোই ডুয়ার্সের দলমোড় চা-বাগানেও অপুষ্টি-অর্ধাহার, মৃত্যুমিছিল৷ শুক্রবার সকালে বন্ধ থাকা ডুয়ার্সের দলমোড় চা-বাগানের ঘুমটি লাইনের শ্রমিক কুমার খুরালের (৫৬) মৃত্যু সেই মিছিলের তালিকায় নয়া সংযোজন৷ মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন বাগানের কমপক্ষে আরও পাঁচ বাসিন্দা৷ বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন ১১২৩ জন চা-শ্রমিক৷ পর পর চারটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায়, বাগান খোলার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়েছে৷ নিজেদের অবস্থানে অনড় শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিকপক্ষ৷ ফলে ডুয়ার্সের বীরপাড়ার এই চা-বাগানে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন নেই৷ 

গত ২৯ জুলাই শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে বাগান ছেড়েছিলেন কর্তৃপক্ষ৷ শ্রম দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করেও কোনও সুফল মেলেনি৷ গত ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম কমিশনার মহম্মদ রিজুয়ানের শিলিগুড়ি দপ্তরে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও মীমাংসার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি৷ শ্রমিক ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে দলমোড় চা-বাগানে এ ধরনের অচলাবস্থার জন্য মালিকপক্ষের অনমনীয় মনোভাবকেই দায়ী করা হয়েছে৷ চায়ের শুখা মরশুমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাগানে একশো দিনের কাজ চালু করে খানিকটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও, তা যে শ্রমিকদের দুর্দশা ঘোচানোর জন্য যথেষ্ট নয়, তা নিজে মুখেই স্বীকার করে নিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র৷ 

কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কর্মসংস্কতির অভাব রয়েছে দলমোড় চা-বাগানে৷ কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে নানা অছিলায় কাজে ফাঁকি দেওয়াটাই অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছিলেন শ্রমিকরা৷ এ বিষয়ে বাগানের তরফে জেলা প্রশাসন ও শ্রম দন্তরের আধিকারিকদের লিখিত আকারে জানানো হয়েছে৷ ২০১১ সালের শেষ দিকে মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকেই রুগ্ন বাগানটিকে চাঙ্গা করার চেষ্টায় শ্রমিকদের দৈনিক কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা কাজের ফরমান জারি করেছিল নতুন মালিক কর্তৃপক্ষ৷ তবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলির দাবি, শ্রমিক স্বার্থ বিঘ্নিত করে অনেকটা স্বৈরাচারী ঔপনিবেশিক কায়দায় বাগানটি চালাতে শুরু করেছিলেন মালিকরা৷ রেশন থেকে বেতন সবই দেওয়া হত দেরি করে৷ চিকিত্সা পরিষেবার নাম-গন্ধও ছিল না৷ শ্রমিকরা পাওনা আদায়ের দাবিতে সরব হতেই বাগান ছেড়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ৷ তার পর থেকে কেবলই অবনতি হতে থাকে পরিস্থিতির৷ ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়৷ অপুষ্টি-অর্ধাহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে শ্রমিকমহল্লা৷ বাসিন্দাদের দেহে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধতে থাকে যক্ষ্মা, জন্ডিস, রক্তাল্পতা৷ 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি সন্তাহে বাগানে মেডিক্যাল ক্যাম্প বসার কথা থাকলেও, তা অনিয়মিত বলে অভিযোগ শ্রমিকদের৷ শুক্রবার ভোরে নিজের শ্রমিক আবাসেই মৃত্যু হয় কুমার খুরালের৷ মাস তিনেক ধরেই রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন তিনি৷ বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে চিকিত্সাও হয়েছিল তাঁর৷ এর আগে বাগানের ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে নানা রোগে৷ 

আরএসপি প্রভাবিত শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা গোপাল প্রধান জানিয়েছেন, দলমোড় চা-বাগানের পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে৷ রাজ্য সরকার এখনই হস্তক্ষেপ না করলে, বাগানে মড়ক শুরু হওয়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷ জেলাশাসক বলেন, 'বাগান খুলতে না পারলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেব বাইরে চলে যাবে৷' উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম আধিকারিক বলেন, 'আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না৷ বারবার বৈঠক করেও সমাধান মেলেনি৷' 


বাংলাদেশে উত্তেজনা আরও বাড়ল। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে এখনও অশান্ত বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন মোট ষোলজন। গতকাল পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে জামাত শিবিরের চারজনের। আজ সকালে আন্দোলনের আহ্বায়ক এক ব্লগারের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত ব্লগারের নাম রাজীব হায়দার। 

এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে গোটা বাংলাদেশ এখন গর্জে উঠেছে।
শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী রাজীবকে শুক্রবার রাতে মিরপুরের পলাশনগরে হত্যা করা হয়। রাজীব ব্লগে নানা চাঞ্চল্যকর কথা বলতেন। এজন্য তাকে সম্প্রতি একটি ব্লগের পোস্ট থেকে হুমকিও দেওয়া হয়। 

যেখানে স্লোগানে কণ্ঠ মেলাতেন রাজীব, সেই প্রজন্ম চত্বরে নিথর রাজীবের মৃতদেহ এসে পৌঁছয় শনিবার বিকালে। গণজাগরণ মঞ্চে রাজীবের জানানো হয়, শ্রদ্ধা জানাবেন সহযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নতুন প্রজন্মের এই 'মুক্তিযোদ্ধাকে' গার্ড অফ অনার দেয়ার জন্যও তৈরি। 

শাহবাগের জনসমুদ্র উত্তরে শেরাটন হোটেল থেকে দক্ষিণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ছাড়িয়েছে। পূর্বে রমনা ফটক থেকে পশ্চিমে কাঁটাবন পর্যন্ত বিস্তৃত এই সমাবেশ।

রাজীবের মরদেহ আসার মুহূর্তে সবার কণ্ঠে স্লোগান ছিল- 'শহীদ রাজীবের রক্ত/বৃথা যেতে দেব না,' 'শহীদ রাজীব শিখিয়েছে/লড়াই করে বাঁচতে হবে', 'এক রাজীব লোকান্তরে/লক্ষ রাজীব শাহবাগে'। তবে জাতীয় পতাকায় মোড়া রাজীবের মরদেহ যখন মঞ্চে ওঠানো হচ্ছিল, তখন সমাবেশে ছিল নীরবতা।

রাজীব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে মিরপুরে বড় আন্দোলন হয়। বিক্ষোভ হয়েছে কাপাসিয়ায়ও। 

এই উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই দুদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। সলমান খুরশিদের দুই দিনের এই সফরে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

http://eisamay.indiatimes.com/Dalmore-tea-garden-witnesses-another-death/articleshow/18527117.cms


শুক্রবার রাতেই ছাত্র-যুব উৎসবের সমাপ্তি সম্মিলনী অনুষ্ঠান হয় মহারাষ্ট্র নিবাসে। উপস্থিত ছিলেন টলিউড তারকারা। সেই অনুষ্ঠানে পুরমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রকাশ্যে `ডানা ছাঁটার` ইঙ্গিত দিলেও এই একটা ছবিই স্পষ্ট করে দেয় ফিরহাদ হাকিম সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী তথা তাঁর দলের মনোভাব। 

অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হলেও রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে `রা` কাড়লেন না তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একটি বাক্যও উচ্চারণ করলেন না সহযোদ্ধা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সম্পর্কে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি বলেন, "গতকাল বিকেল চারটে থেকে রাজ্যপালকে সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক আর কিছু বলতে শুনেছেন?"

শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ রাজভবনে যান শিল্পমন্ত্রী। মনে করা হয়েছিল, কমিশনারকে সরানোর পিছনে সরকারের যুক্তি রাজ্যপালকে বোঝাতে গিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে শিল্পমন্ত্রীর দাবি, বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলেই সূত্রে খবর।


গার্ডেনরিচে পুলিস খুনের ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম। তাঁরা  প্রত্যেকেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহধন্য বলেই অভিযোগ। ফলে দলের তরফ থেকে বিষয়টিকে আর কোনও ভাবেই চেপে রাখা যাচ্ছে না। পুলিস কমিশনারকে বদলি করে এবং সিআইডিকে তদন্তভার দিয়ে অভিযুক্তদের আড়াল করা হয়েছে। কিন্তু পুরমন্ত্রীর মদতেই যে এই বাহিনীর এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠা তা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। ইনি মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। হরিমোহন ঘোষ কলেজের সামনে পুলিসকর্মী খুনের দিন তাঁর তত্পরতা ছিল চোখে পড়ার মত। 

মুন্না তৃণমূল কাউন্সিলর এবং পনেরো নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান। 

২০১০-এ হরিমোহন ঘোষ কলেজের ছাত্র সংসদ দখলে কংগ্রেসের মোক্তারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলের সেনাপতি ছিলেন মুন্না। সে যুদ্ধে সাফল্য দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে মুন্নার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়। তারপর পুরভোটে জয় এবং একলাফে বোরো চেয়ারম্যান। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের আশীর্বাদেই এক সময় বন্দর এলাকার ত্রাস মোগলের ভাই মুন্না এখন 'চেয়ারম্যান সাব'। 
......................................

হাসান নাগভি ওরফে সানু। এলাকার  তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। হজ কমিটিরও সদস্য। 

গার্ডেনরিচের সাহি ইমামবারার প্রধান প্রিন্স নাইয়ার কাদেরের সচিব হিসাবে কাজ করতেন এই সানু। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সংস্থা থেকে কাজ চলে যাওয়ার পরও সানুর উত্থান অব্যাহত থাকে। মুন্নার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের স্নেহধন্যদের তালিকায় নাম ওঠে সানুর। রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরোন হজ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পুরমন্ত্রীর সুপারিশেই বিশেষ কোটায় নতুন হজ কমিটিতে সদস্য করা হয় সানুকে। তারপরও তাঁর বিরুদ্ধে আরও মারাত্বক অভিযোগ উঠেছিল। হজ কমিটির  অফিস থেকে চারটে এসি মেশিন বাড়িতে নিয়ে চলে এসেছিলেন তিনি। পরে হজ কমিটি উদ্যোগ নিয়ে সেগুলি নিয়ে যায়। যার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিভাবে হজ কমিটিতে স্থান পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু পুরমন্ত্রীর আশীর্বাদে হজ কমিটির সদস্য হওয়ায় এলাকায় প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াতে থাকে সানু। তোলাবাজি ও অবৈধ প্রমোটিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। পুলিস খুনের ঘটনার দিন এই সানুকেই ব শেষ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মুন্নার পাশে। এমনকী পুরমন্ত্রীর পাশেও।  

এই সানুকে খুঁজছে পুলিস।

............................................


অনিল ইকবাল। মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার ছেলে।

ঘটনার দিন পিছিয়ে ছিলেন না তিনিও। বাবার পাশেই সবসময় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়েছিল সে। তাপস চৌধুরীকে গুলি করার সময়ও কাছেই ছিলেন অনিল।  গুলি চালানোর আগে অন্যান্য তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে এক পুলিস কর্মীর ওপরও চড়াও হয়েছিলেন তিনি। এলাকায় বেআইনী নির্মাণ ও তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে অনিলের বিরুদ্ধে। বাবা প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় অনিলকে ছোঁয়ার ক্ষমতা ছিল না পুলিসের। মাসখানেক আগে অভিযোগের ভিত্তিতে ডিসি বন্দরের অফিস থেকে এক কর্মীকে পাঠানো হয় অনিল ইকবালের আয়রন গেট এলাকায় একটি বেআইনী নির্মাণের ছবি তোলার জন্য। সেই পুলিসকর্মীকে নিজের বোরো অফিসে আটকে মারধরের অভিযোগ ওঠে মুন্নার বিরুদ্ধে। এমনকি খবর পেয়ে ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিগৃহীত হন খোদ গার্ডেনরিচ থানার ওসি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে এসে ওসিকে গালিগালাজ এবং শাস্তির হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। শেষপর্যন্ত ডিসির বন্দরের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটে যায়। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই বন্দর এলাকায় বদলি করে দেওয়া হয় ওই ওসিকে। সেইসময় বোরো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি জেনারেল ডায়েরি করেছিলেন ওই ওসি। 





আরেক তৃণমূল কাউন্সিলর সামসুদজাম্মান আনসারির ছেলে টাব্বুকেও ঘটনার দিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। ঘটনার পর পুরমন্ত্রীর সঙ্গে সবসময় দেখা গিয়েছে তাঁকে। 


http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/gardenreach-tmc-pointed_11455.html

ফিরহাদ হাকিমের অপসারণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টেই বল ঠেললেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। সেইসঙ্গে, রাজ্য সরকারের ওপর চাপ আরও খানিকটা বাড়ালেন। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে সরানোর দাবি তুলেছেন বিরোধীরাও। ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে আপাতত ফিরহাদ হাকিমের কিছুটা ডানা ছাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা যে দলের নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনেই তা স্পষ্ট।

গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর একাধিকবার অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রীর এই ভূমিকায় ক্ষোভ চেপে রাখেননি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। প্রশ্ন তুলেছেন সরকার চালানোর দক্ষতা নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের দাবি, ঘরোয়া আলোচনায় রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে দিতেন। শনিবার এই ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেললেন রাজ্যপাল। 

একই দাবি তুলেছেন বিরোধীরাও। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "মুখপত্র থেকে অপসারণ নয়, মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে ফিরহাদ হাকিমকে।"

ঘরে বাইরে যখন ফিরহাদ হাকিমকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠছে, তখন শুধুমাত্র দলের কিছু দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা হল। ফিরহাদ হাকিমকে আপাতত সাংবাদিকদের সামনে মুখ না খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  সভা সমিতিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু, এখনই তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও দলের সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ হাকিমকে মুখ্যমন্ত্রী যে পুরমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে চান না তা প্রমাণ করেছে শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলন। ফিরহাদ প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করলেন না তিনি।  


মমতার সাধের পর্যটনেও মুখ ফেরালেন বিদেশিরা


মমতার সাধের পর্যটনেও মুখ ফেরালেন বিদেশিরা
এই দৃশ্যে আকর্ষণ নেই বিদেশিদের।
সুমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, পর্যটন দিয়েই নাকি বদলে দেওয়া সম্ভব রাজ্যের শিল্প বিনিয়োগের ছবিটা৷ কিন্ত্ত সেই আশাতেও জল ঢেলে দিলেন বিদেশের ট্র্যাভেল সংস্থা ও ট্যুর অপারেটররা৷ তাঁরা মুখের উপর জানিয়ে দিলেন, এ রাজ্যে পর্যটক আনতে তাঁদের কোনও উত্‍সাহ নেই৷ কারণ, এখানে পর্যটনের পরিকাঠামোর একান্তই অভাব৷ তাঁরা এতটাই হতাশ যে, কেউ বললেন, 'দার্জিলিঙে গিয়ে মনে হল, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর করে এলাম,' কেউ আবার সুন্দরবন নিয়ে উত্‍সাহী জঙ্গল বা বাঘের জন্য নয়, গরিব-গুর্বো মানুষের জন্য৷ সুন্দরবনের মানুষ কী খান, কী পরেন তা জানতে কেউ কেউ উত্‍সাহ দেখিয়েছেন৷ 

রাজ্যে আরও বেশি করে বিদেশি পর্যটক টানতে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহ ধরে বিদেশি ট্যুর অপারেটর ও হোটেল ব্যবসায়ীদের সুন্দরবন, দার্জিলিং ও সিকিম ঘুরিয়ে দেখিয়েছে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ বা সিআইআই৷ এই বণিকসভার সঙ্গে রাজ্য সরকার হাত মিলিয়েছে এখানে পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটাতে৷ 

সেই মতো উনিশটি দেশের ৭৩ জন প্রতিনিধিকে এখানে আসার আমন্ত্রণ করে সিআইআই৷ গত এক সন্তাহ ধরে ওই অতিথিদের তিনটি দলে ভাগ করে উত্তরবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্স, দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবন ও রাজধানী কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়েও দেখিয়েছে তারা৷ 

রাজ্যের ট্যুর অপারেটর ও হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিদেশি প্রতিনিধিদের একটি বাণিজ্যিক বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত, পশ্চিমবঙ্গের স্টলে গিয়ে সই করা ছাড়া বিশেষ কোনও বাণিজ্যিক আগ্রহ কেউ দেখাননি৷ বেঙ্গল লিডস নিয়ে শিল্পপতিরা যতটা উদাসীন ছিলেন, পর্যটন নিয়েও বিদেশি ট্যুর অপারেটররা একই রকমের গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছেন৷ রাজ্য পর্যটন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অম্লানজ্যোতি সাহার সামনেই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দন্তরের এক আধিকারিক বললেন, 'বেচার জন্য বসে আছি কেনার লোক নেই৷' 

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷ গত বছর থেকে তিনি দিঘায় বিচ ফেস্টিভ্যাল শুরু করেছেন৷ কলকাতাকে লন্ডন বানাতে গঙ্গার সৌন্দর্যায়ন, রাস্তাঘাট ত্রিফলা বাতি দিয়ে সাজানো, পাহাড়ে বিভিন্ন চা-বাগানে ইকোট্যুরিজম চালু করা, এমন অনেক কাজ শুরু হয়েছে৷ গত মাসে তাঁর প্রতিনিধি হয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দিল্লি, বেঙ্গালুরুতে শিল্পপতিদের জানিয়ে আসেন যে, রাজ্যে ৪ হাজার কোটি টাকার পর্যটন প্রকল্প গড়ে তোলার সম্ভাবনা আছে৷ শিল্পপতিরা এখনই সেই সুযোগ নিতে পারেন৷ এই প্রকল্পগুলির মধ্যে সুন্দরবন, দিঘায় সস্তার হোটেল তৈরির প্রস্তাবও ছিল৷ 'ডেস্টিনেশন ইস্ট, ফোকাস বেঙ্গল' শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দিয়ে পরিকাঠামোর সমালোচনা করলেন বিদেশি অতিথিরা৷ 

মার্কিন পর্যটন ব্যবসায়ী ফ্রান্সিস লাউ বলেন, 'দার্জিলিং ঘুরে মনে হল অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর করে এলাম৷' তাইল্যান্ডের সিরিন ট্রাভেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিরিপর্ন শান্তিমাতানিদোলের মতে, 'টয়লেট বড় সমস্যা৷ কলকাতা তো বটেই, দার্জিলিং থেকে সিকিম যেতে ছ'-সাত ঘণ্টা লাগে৷ পথে কোনও ব্যবস্থা নেই৷' একই অভিযোগ কম্বোডিয়ার ফার্স্ট ট্রাভেল সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর টুই রুটেনেরও৷ তাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্মর্ন সমতাজিতের কথায়, 'কলকাতায় আসার বিমান কম, তাই বুদ্ধিস্ট সার্কিট ঘোরার জন্য আমাদের পছন্দ ব্যাঙ্কক-দিল্লি-গয়া রুট৷ কলকাতা থেকে যেতে হলে পাটনা হয়ে গয়া যেতে হবে৷ খরচ বেশি, সময়ও বেশি লাগে৷' 

গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন হেমন্ত দাস৷ তিনি নেটওয়ার্ক ট্রাভেলসের জেনারেল ম্যানেজার৷ তাঁর গলায় আক্ষেপ ঝরে পড়ল, 'প্রতিবারই সিআইআই ফোন করে৷ আমরাও আসি৷ বিদেশিরা এসে কথাবার্তাও বলে যান৷ কিন্ত্ত আখেরে ব্যবসা কিছুই হয় না৷' 

পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, 'রাজ্য ও সংলগ্ন এলাকায় যে-সব সার্কিট রয়েছে, সেখানে যেতে মূলত জাতীয় সড়ক ব্যবহার করা হয়৷ সেই সড়কের দায়িত্ব আমাদের নয়৷ আমরা অন্য সড়কগুলো ভালো করার ব্যবস্থা করছি৷' 

পরিকাঠামো ছাড়াও এখানকার মানসিকতা নিয়েও অভিযোগ উঠেছে৷ কম্বোডিয়ার ফার্স্ট ট্রাভেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর টুই রুটেন বললেন, 'পর্যটনের মানসিকতা চাই৷ গ্রামের লোককে যুক্ত করতে হবে৷ পথের ধারে ক্যাফেটেরিয়া দরকার৷ সঙ্গে বাথরুমও থাকা চাই৷ সেটা স্থানীয় মানুষরাই উদ্যোগী হয়ে ব্যবসার জন্য করতে পারেন৷' 

এ রাজ্য নিয়ে তাঁদের অনাগ্রহের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মালয়েশিয়ার ট্যুর অপারেটর গুরচরণ সিংও৷ দিনের শেষ হোটেল সমস্যাই ভাবাচ্ছে সকলকে৷ পর্যটন মন্ত্রীর আশ্বাস, 'খুব শীঘ্রই এ সব জায়গায় 'লজ' গড়ে তোলা হবে৷' 

রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাল গোর্খা জন মুক্তি মোর্চা। গতকাল মোর্চার চার প্রতিনিধি  রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে  রাজ্য সরকারের  বিরুদ্ধে  অভিযোগ জানান। মোর্চার অভিযোগ, জিটিএ এলাকায় তাদের না জানিয়েই রাজ্য সরকার কাজ করছে।এতে জিটিএর স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে। মোর্চা জানিয়েছে, এমনটা চলতে থাকলে সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে না। রাজ্যসরকারের সঙ্গে মোর্চার সম্পর্ক যে তলানিতে ঠেকেছে তা মালুম হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরেই। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর পাট্টা বিলি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। 

এবার  রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মোর্চার প্রতিনিধিরা। জিটিএ এলাকায় পাট্টা বিলি, পরিবহণ, অনগ্রসর উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন মোর্চা প্রতিনিধিরা।

দার্জিলিঙে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত নিয়েও তাঁদের আশঙ্কার কথা রাজ্যপালকে জানালেন মোর্চা প্রতিনিধিরা।

মোর্চাকে চাপে রাখতে রাজ্য সরকার লেপচা উন্নয়ন পর্ষদের কথা ঘোষণা করে। বিরোধিতায়  পাহাড়ে বারো ঘন্টার বনধ করে মোর্চা। পাহাড়ে গিয়ে কালো পতাকা দেখতে হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। এই আন্দোলনের রেশ ধরেই রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করল মোর্চা। 


সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর এবার ফিরহাদ হাকিমের ক্ষমতা খর্ব করল তৃণমূল কংগ্রেস। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জেরে সরকারের  মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমদের প্রতিনিধিদের সামনে ফিরহাদ হাকিমের মুখ খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। 

একইসঙ্গে দলের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন নলহাটি উপনির্বাচনে দলের তরফে দায়িত্ব হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তাঁর ভূমিকায় ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন পুর ও নরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপালও। তার পরই চাপে পড়ে দলের মুখপাত্র পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কলকাতায় তাঁর কর্মসূচির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।    

অন্যদিকে, মুন্না বিতর্কের সঙ্গেই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে নতুন বিতর্কের মুখে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুলিস খুনের ঘটনায় হাসান নাকভি ওরফে সানু নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজছে পুলিস। এই সানুকে গণ্ডগোলের দিনে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমের পাশেই। সানু আবার হজ কমিটির সদস্যও। ফিরহাদ হাকিমের সুপারিশেই হাসান নাকভি ওরফে সানুকে হজ কমিটিতে নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। 

গণ্ডগোলের দিন সকাল থেকেই হরিমোহন ঘোষ কলেজ চত্বরে হাজির ছিল সানু।  ক্যামেরার ফুটেজে মুন্না ওরফে ইকবালের পাশে তাকে একাধিকবার দেখা যায়। মুন্নার মত সানুও হামলায় প্ররোচনা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এসআই তাপস চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জনতার ভিড়ে সানুর পালিয়ে যাওয়ার ছবিও ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। পরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে এলে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সানুকে মন্ত্রীর পাশে দাড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।

সূত্রের খবর, দুহাজার এগারোর জুলাইয়ে এই হাসান নাকভি ওরফে সানুকে হজ কমিটিতে জায়গা করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন খোদ ফিরহাদ হাকিম। সানু, গার্ডেনরিচ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচিত মুখ। পুরমন্ত্রীর পাশাপাশি মুন্নারও ঘনিষ্ঠ সহযোগী সানু। মুন্নার মতো বুধবার সন্ধে থেকে সানুও গা-ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। তার সবকটি মোবাইল ফোন সুইচড অফ। 


ফের জেলে গেলেন আরাবুল ইসলাম। আজ দুপুরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। ভাঙরকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ককে গত সাত তারিখ রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

গত সোমবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করেছিল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।  বুকে ব্যথার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, রিপোর্টে জানিয়েছিলেন  চিকিত্‍‍সকরা। 

তবে তাঁর ব্লাড সুগারের সমস্যা রয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়। এরপর আরাবুল ইসলামের মানসিক চিকিত্‍‍‍সা করা হচ্ছিল।


কক্সবাজারে সংঘর্ষ, নিহত চার, জারি ১৪৪ ধারা
বিক্ষোভে সামিল স্কুলপড়ুয়ারাও
ঢাকা: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি৷ শুক্রবারও দক্ষিণপূর্বের কক্সবাজার এলাকায় পুলিশ ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন চার জন৷ আহত শতাধিক৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ শুক্রবারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছে জামাত-ই-ইসলামি ছাত্রশিবির৷ এছাড়াও সোমবার দেশজুড়ে বন্ধের ডাক দিয়েছে তারা, ফলে টানা তিন দিন বন্ধের আওতায় পড়বে কক্সবাজার জেলা৷ 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ জামাত শিবিরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাস ও ট্রাকে করে আসতে থাকেন৷ ১১টা নাগাদ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ সেই অঞ্চল থেকেই সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তাঁরা৷ পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোড়ে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালালে জামাত শিবিরের কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালাতে থাকে৷ পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়৷ গুলিবিদ্ধ হন কমপক্ষে ২০ জন৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তিন জনের৷ ২০টিরও বেশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি গাড়িতে৷ 

শুক্রবারের ঘটনায় গ্রেন্তার করা হয়েছে কমপক্ষে ১১৯ জনকে৷ এ দিনের ঘটনায় ওসি সহ আহত হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী৷ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে৷ পুলিশের পাশাপাশি টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরাও৷ জেলা জামাতের সেক্রেটারি জি এম রহিমউল্লাহর দাবি, সংঘর্ষে নিহত চারজনই তাদের দলের সমর্থক৷ সংঘর্ষের পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়৷ শহরের বাজারঘাটা, বড়বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়৷ শহরের প্রধান সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল৷ বিজিবির কর্মকর্তারা বিকেল পাঁচটা নাগাদ জামাতের নেতা-র্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন৷ জেলা প্রশাসন কক্সবাজার পৌরসভা এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করে৷ সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়৷ জেলা প্রশাসক মহম্মদ রুহুল আমিন জানান, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে৷ 


১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে জামাতের প্রবীণ নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একাধিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলার প্রতিবাদে বেশ কয়েক সন্তাহ ধরেই চলছে পুলিশ ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের বিক্ষিন্ত সংঘর্ষ৷ এর মধ্যেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন৷ শুক্রবারের ঘটনায় গুলি করে নিরীহ মানুষ হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে জামাতের কমপক্ষে হাজার চারেক নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ অন্য দিকে, বন্ধের কারণে কক্সবাজারে আটকা পড়েছেন অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক৷ যাঁদের শনিবার ফেরার কথা ছিল তাঁরা মঙ্গলবারের আগে ফিরতে পারবেন না, ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটকদের অধিকাংশই৷ - সংবাদসংস্থা 


রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা বিষয়টি বাতিল করার দাবি ছাত্রমৈত্রীর

সংকুচিত হয়েছে শাহবাগের আন্দোলন প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা কর্মসূচি

 ড.পিয়াস করীম, আসিফ নজরুল, মাহমুদুর রহমানকে সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের আন্দোলন সংকুচিত হয়েছে। শাহবাগের টানা অবস্থানের বদলে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট ৭ ঘণ্টা একই স্থানে কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন সমাবেশের সভাপতি ও আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ব্লগার এন্ড অনলাইন একটিভিস্ট নেটওয়ার্ক ইমরান এইচ সরকার। এছাড়া আগামী রোববার সকাল ১০টায় মাদরাসাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শপথ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

গতকাল বিকেল ৪টায় ব্লগার ও ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নের সমাবেশ জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের। সমাবেশের উপস্থাপনায় ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা ও বেসরকারি একটি টেলিভিশনের কর্মকর্তা অঞ্জন রায় এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে জমায়েতের কেন্দ্রস্থলে দুটি ট্রাকের ওপর তৈরি হয় সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ।

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারাকাত, কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহম্মেদের মা আয়েশা ফয়েজ, ডা, জাফর ইকবাল, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, আহমেদ রফিক, সাইদ হায়দার, গোলাম রববানী, কামাল লোহানী, নওশাদ জামিল, ড. হালিমা খাতুন, গোলাম আরিফ টিপু, আফরোজা খাতুন, কাজী শীষ মোহাম্মদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ। সমাবেশে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো বক্তব্য দেবেন না বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম শুভ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদীপ্ত বসু, ছাত্র ঐক্য ফোরামের আহবায়ক সোহান সোবহান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সালমান রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির আহবায়ক জাহিদুর রহমান খান, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল শিকদার প্রমুখ।

সমাবেশে স্লোগানের তালে তালে পিয়াস করিম, আসিফ নজরুল ও মাহমুদুর রহমানকে সাবধান হতে বলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দীকী নাজমুল আলম।

সমাবেশে বক্তাদের বক্তব্যের ফাঁকে স্লোগানে তিনি বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা রাতের টকশোতে শাহবাগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে, আমাদের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করে, তারা সাবধান।

তিনি বলেন, পিয়াস করিম- সাবধান, আসিফ নজরুল- সাবধান, আমার দেশ- সাবধান, মাহমুদুর রহমান- সাবধান উল্টাপাল্টা বলিস না, উল্টাপাল্টা লিখিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতেও স্লোগান দেন।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম শুভ বলেন, 'যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আইনী সীমাবদ্ধতার কারণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি। এটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা যে আন্দোলনের যাত্রা শুরু করেছি, বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদীপ্ত বসু বলেন, তারুণ্যের উত্থান দেখে জামায়াত-শিবির ভয় পেয়ে গেছে। এ আন্দোলনে বিভাজন সৃষ্টির জন্য অপশক্তিরা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কোনো ক্ষমা হতে পারে না। রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি বাতিল করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের পাশাপাশি জামায়াত নিষিদ্ধের আইনও পাস করতে হবে।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য এখানে সমবেত হয়েছি। ৪২ বছরেও এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি। আজ তরুণরা সে বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সাইফুজ্জামান কানন বলেন, ৪২ বছর ধরে এদেশের শাসকরা রাজনীতেতে ধর্ম ব্যবহার করেছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেনি। আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির পাশাপাশি রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি প্রবীর সাহা বলেন, এ তরুণ সমাজের এ বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। বাংলাদেশে যে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেটা রাজাকারদের ফাঁসি দেয়া ছাড়া শেষ হবে না।

জাসদ ছাত্রলীগ সভাপতি হোসেন আহমেদ তফসির সমাবেশে বলেন, জামায়াত যদি আর কোন আন্দোলকারীর ওপর হামলা চালায় তাহলে জামায়াতের মগবাজার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর থেকে ৩টি বাস নিয়ে লোকজন এসেছিল শাহবাগে। ফেরার পথে বোর্ডবাজারে তাদের ওপর হামলা চালায় শিবির। তিনি বলেন, মনে রাখবেন ওই জামায়াত-শিবিরও আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। তারা বিশৃক্মখলা তৈরির চেষ্টা করবে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। শিবিরকে জনতার কাতারে চলে আসারও আহবান জানান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করে ফাঁসির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন শুরু করে ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্ট নেটওয়ার্ক।

http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=109360


জার্মানিতে শাহবাগের ঢেউ

শাহবাগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জার্মানির বিভিন্ন শহরে আয়োজন করা হয়েছে এবং হচ্ছে প্রতিবাদ সমাবেশ৷ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এসব প্রতিবাদের খবর ছবিসহ যোগ করা হয়েছে এই ছবিঘরে৷

  • Protestaktion in Mönchengladbach zu Abdul Quader Molla Gerichtsprozess Bangladesch

    'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই'

    শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে যে জনসমুদ্র গর্জে ঘটেছে, তার ঢেউ আছড়ে পড়ছে গোটা দুনিয়ায়৷ জার্মানি বাদ থাকবে কেন? একের পর এক শহরে আয়োজন করা হচ্ছে সমাবেশ, মানববন্ধন৷ দাবি একটাই, 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই'৷


জেগে আছে প্রজন্ম চত্বর

মূল দাবি একটাই, 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই'৷ এই দাবি নিয়ে পাঁচই ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগ চত্বরে অবস্থান করছে তরুণ প্রজন্ম৷ তাদের সমর্থন জানাচ্ছে সবশ্রেণির মানুষ৷ ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েকদিন৷ কিন্তু এক চুল নড়েনি তারা৷

http://www.dw.de/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A2%E0%A7%87%E0%A6%89/g-16598008

  • Bangladesh Protest gegen Kriegsverbrecher

    লাগাতার আন্দোলন

    শাহবাগে অবস্থান নেওয়া তরুণ প্রজন্ম গত মঙ্গলবার ধরে লাগাতার তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অনড় তারা৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে নিয়মিত সেখানকার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে৷







বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল এর বিষয়ে জাতি সংঘের মতামত প্রসংগে-সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের সংবাদ সম্মেলন-

18FEB

বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল এর বিষয়ে জাতি সংঘের মতামত প্রসংগে-সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের সংবাদ সম্মেলন-

Barrister Abdur Razzaq, Senior Advocate of Bangladesh Supreme Court & Chief Defence Counsel, sitting next to him Barrister Rafiqul Islam Mian, President of Nationalist Lawyes' Association and Advocate Tajul Islam, Defence Counsel Date: 15th February 2012.

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগন, আস্সালামু আলাইকুম। আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কষ্ট করে এই সংবাদ সমে¥লনে আসার জন্য।

১। আমরা সবাই জানি যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর অধীনে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর সমালোচনা করে বলছে যে, এই আইন শুধু আন্তর্জাতিক মানদন্ড নয় বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত মানদন্ডের অনেক নীচে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক এন.জি.ও. সমূহ, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত এ্যাম্বাসেডর -এট-লার্জ এবং আন্তর্জাতিক অংগনে সুপরিচিত এবং স¦নামধন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞগন এর সমালোচনা করেছেন।

২। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বার এসোসিয়েশন (আই.বি.এ.), বিশ্বের বার এসোসিয়েশন ও ল' সোসাইটি সমূহ এবং লিগ্যাল প্রাকটিশনারদের নেতৃস্থানীয় সংগঠন। আই.বি.এ. এর যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত কমিটির কাছে বৃটিশ পার্লামেন্টের মানবাধিকার সংক্রান্ত সংসদীয় গ্রুপের অনুরোধক্রমে আই.বি.এ. আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত আইন (আই.সি.টি.এ) ১৯৭৩ আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সে ব্যাপারে একটি মতামত প্রদান করে। ২৯ ডিসে¤¦র ২০০৯ তারিখে প্রদত্ত এই মতামতে আই.বি.এ অভিযুক্তদের বিচারকালীন সময়ের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। আই.বি.এ তার অভিমতে উল্লেখ করে যে, এই আইন বাংলাদেশ কর্তৃক স¦ীকৃত সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ (আই.সি.সি.পি.আর.) এর ১৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন যা ট্রাইব্যুনালকে সমালোচনার মুখে ঠেলে দিয়েছে। উপসংহারে আই.বি.এ. এই আইনটির সংশোধনী আনয়নের জন্য ১৪ দফা সুপারিশ পেশ করেছিল যার একটিও বাংলাদেশ সরকার বাস্তবায়ন করেননি।

৩। নিউইয়র্ক ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ট্রানজিশনাল জাষ্টিজ (আইসিটিজে) ১৫ মার্চ, ২০১১ তারিখে বাংলাদেশের মাননীয় আইনমন্ত্রী বরাবরে লিখিত এক চিঠিতে ১৯৭৩ সালের আইনের সমালোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন, নিবর্তন মূলক আটকের বিরূদ্ধে সূরক্ষা এবং সুযোগের সমতা ও মূলনীতির ভিত্তিতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছিল ২১ মার্চ, ২০১১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত এ্যা¤ে¦সেডর-এ্যাট-লার্জ ষ্টিফেন জে র‌্যাপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় আইন মন্ত্রী বরাবর লিখিত চিঠিতে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের আলোকে আইনটিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়ন, অপরাধের উপাদান সংজ্ঞায়িত করা, আসামীদের অধিকার সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা, ট্রাইব্যুনালের অন্তবর্তীকালীন আদেশগুলোর বিরুদ্ধে আপীল শুনানীর জন্য ট্রাইব্যুনালের মধ্যে আপীল চে¤¦ারের ব্যবস্থা করা, জামিনের সুযোগ রাখা এবং বিদেশী আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দানের আহবান জানিয়েছিলেন। ২১ জুন, ২০১১ তারিখে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত এক পত্রে অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল অপরাধের সংজ্ঞায়নের অভাব, আন্তর্জাতিক আইনের সাথে অসামঞ্জস্যতা, আন্তর্জাতিক আইনে স¦ীকৃত ন্যায় বিচার প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকার ও গ্যারান্টি সমূহের অনুপস্থিতি এবং সংবিধানের আলোকে আসামী পক্ষের প্রাপ্য মৌলিক অধিকারের অস¦ীকৃতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

 ৪। ২৭ জুলাই, ২০১১ তারিখে বৃটিশ হাউস অব লর্ডসের প্রভাবশালী সদস্য লর্ড এরিক এভবারির সাথে মাননীয় আইন মন্ত্রীর অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে লর্ড এভবারি আসামী পক্ষে বিদেশী আইনজীবি নিয়োগের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অস¦ীকৃতি, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের ১৯৯২ সালের গণ তদন্ত কমিশনের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা, বাংলাদেশের সংবিধান ও ১৯৭৩ সালের আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নে ব্যর্থতার কারনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ১৯ মে, ২০১১ তারিখে আমেরিকান সোসাইটি অব ইন্টারন্যাশনাল ল, (ASIL) এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

৫। পাশাপাশি ২১ ডিসে¤¦র ২০০৯ তারিখে ইংলিশ বারের একজন অত্যন্ত সুপরিচিত এবং প্রবীন আইনজীবি মাইকেল জে বেলফ, কিউসি তার এক বিস্তারিত অভিমতে ১৯৭৩ সালের আইনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। একই ধরনের সমালোচনা করে ভারতের সাবেক এর্টনী জেনারেল এবং সিনিয়র এডভোকেট সোলী জে সোরাবজি ১৯ মে, ২০১০ তারিখে তার প্রদত্ত এক মতামতে এই আইনের সমালোচনা করেছেন। আয়ারল্যান্ড গ্যালওয়ে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবাধিকার আইনের প্রফেসর উইলিয়াম এ শাবাজ ২৪ মার্চ, ২০১০ তারিখ প্রদত্ত এক মতামতে একই ধরনের অভিমত পোষন করেন।

৬। এপ্রিল, ২০১১ তারিখে গ্রেগর গাই সি¥থ এবং মিস্ কোলিন রোহান এক যৌথ অভিমতে এই আইনটির সমালোচনা করেন। মিঃ গাই স্মিথ  আন্তর্জাতিক ভাবে সুপরিচিত একজন ফৌজদারী আইনজীবি, তিনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনাল ফর ফরমার যুগোশ্লাভিয়া (ICTY) ডিফেন্স আইনজীবি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি ওঈঞণ এর ডিফেন্স আইনজীবিদের এসোসিয়েশনের কো-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মিস্ রোহানও একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফৌজদারী আইনজীবি এবং তিনি ICC, ICTY এবং ICTR এর ডিফেন্স আইনজীবি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল' ব্যুরো এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

৭ । ১৩ অক্টোবর, ২০১০ মিঃ ষ্টিভেন কে কিউসি, যিনি সাবেক সার্ব প্রেসিডেন্ট সে­াভাদান মিলোশোভিচ এর পক্ষে ওঈঈ তে ডিফেন্স আইনজীবি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস্ এর ক্রিমিনাল বার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী ছিলেন, এক বিস্তারিত অভিমতে ১৯৭৩ সালের আইনটি আন্তর্জাতিক মানদন্ডের অনেক নীচে অবস্থান করছে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছিলেন। এছাড়াও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক আইনজীবি এ আইনটির সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশ সরকার বেপরোয়া হতে পারে না, এতোসব সমালোচনা সত্তে¦ও তারা বিচার প্রক্রিয়াকে পুরোদমে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন যা কোনভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।

৮। এই প্রেক্ষাপটে ২৩ নভে¤¦র, ২০১১ তারিখে নিবর্তন মূলক আইন সংক্রান্ত জাতি সংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ ১৯৭৩ সালের আইনটির ব্যাপারে তাদের মতামত দিয়েছেন এবং সাধারনভাবে এই আইন এবং বিচারের ষ্ট্যান্ডার্ডের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ অভিযুক্তদের আইনগত সহযোগীতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এবং সাক্ষ্য প্রমান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধা বিঘ্নহীন সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে "উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা" দেখতে পেয়েছে। জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ মতামত ব্যক্ত করে বলেছে যে, বিচার পূর্ব আটকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক বাধ্য বাধকতা মেনে চলতে হবে। তারা আরও অভিমত ব্যক্ত করে যে, ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ওয়ার্কিং গ্রুপ স¥রন করিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ আই.সি.সি. এর রোম সংবিধি অনুমোদন করেছে যেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে একটি মডেল রয়েছে।

৯ । জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ তার অভিমতে "সাজা প্রদানের পূর্বের আটকাদেশকে সাধারন নিয়ম নয় – বরং ব্যতিক্রম" হিসেবে বিবেচনার উপরে জোর দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ট্রাইবুনাল আন্তর্জাতিক আইনের স¦তঃসিদ্ধ এবং সুপ্রতিষ্ঠিত এই মূলনীতিকে ক্রমাগত লংঘন করে চলেছে। ট্রাইবুনাল ৮ জন আসামীর মধ্যে ৬ জনকে ১ বছরের অধিক কাল ধরে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গঠন ছাড়াই আটক রেখেছে। যদিও এই আটককৃতদের কেউই তাদের প্রেপ্তারের পূর্বে পলায়নের কোন মনোবৃত্তি প্রদর্শন করেননি কিংবা সাক্ষ্য প্রমান পরিবর্তন বা নষ্ট করার চেষ্টা করেননি। কোন আইনগত যুক্তি প্রদর্শন ব্যতিরেকেই তাদেরকে আটক রেখেছে। জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ যেমনটি উল্লেখ করেছেন যে, এটা সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনার (UDHR) এর ৯ অনুচ্ছেদ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ (ICCPR) এর ৯ অনুচ্ছেদের লংঘন। জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ আরও উল্লেখ করেছে যে, সরকার আসামীদেরকে জামিনে মুক্তি না দেয়ার ক্ষেত্রে কি যুক্তি আছে সে সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রদান করতে পারেনি। সে কারনে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ এই উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, ট্রাইবুনাল কর্তৃক আটককৃতদের ব্যক্তি স¦াধীনতা হরন নিবর্তন মূলক এবং তা জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদের লংঘন এবং তারা আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

 ১০ । আমরা সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের ডিফেন্স টীমের সদস্যবৃন্দ জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের এই অভিমত বাস—বায়ন করার ক্ষেত্রে সরকারের অনাকাঙ্খিত আচরনকে গভীর শঙ্কার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। সরকারের মনে রাখা উচিৎ যে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের ওই অভিমত আন্তর্জাতিক আইনের একটি সংকলন। এটা দুঃখজনক যে আন্তর্জাতিক আইনে ট্রাইবুনালের প্রথম স¦ীকৃতি নেতিবাচক। এটা আরও দুঃখজনক যে বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল নির্বতন মূলক আটকের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনাঙ্গনে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকছে।

১০। আমরা আশা করি সরকার আন্তর্জাতিক আইনের সকল স¦ীকৃত রীতিনীতি অনুসরন করে এই পরি¯িহতির পরিবর্তন আনবেন এবং সে কারনে আমরা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অভিমত অবিলমে¦ বাস—বায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ সুনির্দিষ্টভাবে নিম্নরূপ মন্তব্য করেছে ঃ

 "সর্বজনাব মতিউর রহমান নিজামী, আঃ কাদের মোল্লা, মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম¥দ মুজাহিদ, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী এবং সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এর আটকাদেশ নিবর্তন মূলক যা স¦ার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনা এর ৯ অনুচ্ছেদ এবং আই.সি.সি.পি. আর এর ৯ অনুচ্ছেদের লংঘন।" 

 ১২ । আমরা আশা করি সরকার আন্তর্জাতিক আইনের সকল স¦ীকৃত রীতিনীতি অনুসরন করে এই পরি¯িহতির পরিবর্তন আনবেন এবং সে কারনে আমরা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অভিমত অবিলমে¦ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

http://ictbdwatch.wordpress.com/2012/02/18/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE/


জেনেভা কনভেনশন, বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধ আইন ও যুদ্ধাপরাধী

নিউজডেস্ক, বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম
১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশনে  যুদ্ধ অপরাধের বিচার সম্পর্কে সাধারণ যে নীতিমালা গৃহিত হয় : ১৯৭২-৮৪ সালে বেশ কিছু বিষয় সংযোজনের মাধ্যমে এই বিষয়টি স্পষ্টতর হয়ে ওঠে যে, কোন দেশের অভ্যন্তরেও যদিও কোন জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্যোগ নেয়া হয় সেটিও যুদ্ধ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যুদ্ধ অপরাধের বিচারের যাবতীয় আন্তর্জাতিক  উদ্যোগও চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে ৯৮ সালে ১৭ জুলাই রোমে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) প্রতিষ্ঠার সংবিধি পাশের মাধ্যমে। বাংলাদেশসহ জাতি সংঘের সদস্যভুক্ত ৮৯টি দেশের সমর্থক সূচক স্বাক্ষর ও সম্মতিদানের মাধ্যমে এই সংবিধি পাশ হয়।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রক্ষাপটে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, অগ্নিকান্ড ও বিভিন্ন ধ্বংসযজ্ঞের সাথে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নীতি নির্ধারক বা যারা এসব অপরাধের সাথে জড়িত এবং দেশের স্থানীয় অধিবাসী, যারা পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে এসব কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছে তারা উল্লেখিত আইনে যুদ্ধাপরাধী।
রাষ্ট্রের দায়:
আমাদের সংবিধানে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিল আকারে উত্থাপনের সময় তৎকালীন আইনমন্ত্রী  মনোরঞ্জন ধর বলেছিলেন, "জেনেভা কনভেনশনের এমন কোন ধারা নেই, যেটা পাকিস্তানী সৈন্যরা ভঙ্গ করেনি: জেনেভা কনভেনশনের আইনগুলো বিশ্বের সমগ্র রাষ্ট্র, এমনকি পাকিস্তানও গ্রহণ করেছে। বিশ্বে গৃহিত এই  যে নীতি, সমগ্র বিশ্বে এই যে নীতি, এই নীতিমালা ভঙ্গ করা যে অপরাধ সেই অপরাধে তারা অপরাধী। সংবিধানের এই এ্যাট বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ১৯৭৩ অবিক্রিত ও কার্যকর থাকলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে কোন ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি। এ কারণেই আজ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করা সম্ভব হয়নি। বরং পুনর্বাসনের চেষ্টা হয়েছে। এদেশের গণহত্যা ও যুদ্ধ অপরাধ প্রসংগে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ১৯৭৩ সালে জেনেভায় ২৯তম অধিবেশনে কিছু নীতিমালা প্রস্তাবনা ঘোষনা করেছিল। তাতে উল্লেখ করা হয়, " যে হাজার হাজার বাঙ্গালী নির্যাতন কক্ষে যন্ত্রনা ভোগ করেছেন, নির্যাতনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের লাখ লাখ বিধবা ও এতিম সন্তান এবং যারা বেঁচে গেছেন তাদের এটা আশা করা অধিকার রয়েছে যে, ভিন্ন অপরাধের জন্য যারা দায়ি, তারা যেন বিচার থেকে রেহাই না পায়" অধিবেশনে গৃহিত প্রস্তাবনা তৃতীয় অনুচ্ছেদ একটি ন্যায় সঙ্গত দায়িত্ব ও কর্তব্যকে সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে অপরাধীদের বিচার করার অধিকার এবং কর্তব্য বাংলাদেশের রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধ আইন: 
ইধহমষধফবংয ঈড়ষষননড়ৎধঃড়ৎং (ঝঢ়বপরধষ ঞবরনঁহধষং) নামে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রথম আইন পাস হয় ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির ঘোষণা দ্বারা প্রবর্তিত  দালাল আইনটির প্রয়োগ শুরু হয় ফেব্র"য়ারি মাস থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার মাধ্যমে। একই বছরে আইনটি তিন দফা সংশোধনী হয়। এই আইনের অধীনে ৩৭ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এবং বিভিন্ন আদালতে তাদের আইনে আটক যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের  সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই, তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় আটক ৩৭ হাজারের অধিক ব্যক্তির ভেতর প্রায় ২৬ হাজার  ছাড়া পেয়ে যায়। কিন্তু সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ৫নং ধারার (ক) অনুচ্ছেদে যে বিধান রাখা হয় তাতে কোন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ক্ষমা পেতে পারে না। কারণ, এতে বলা হয়েছে-

'যারা বর্ণিত আদেশের নিচের বর্ণিত ধারা সমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে  নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব কয়টি অভিযোগ থাকবে। ১. ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর চেষ্টা), ২. ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ৩.১২৮ ক (রাষ্ট্রদ্রোহিতা); ৪. ৩০২ হত্যা, ৫. ৩০৪  (হত্যার চেষ্টা); ৬. ৩৬৩ (অপহরণ) ৭. ৩৬৪   (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৮. ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৯. ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা), ১০ ৩৭৬ (ধর্ষণ). ১১. ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ১২. ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তিকালে আঘাত) ১৩. ৩৯৫ (ডাকাতি), ১৪. ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি), ১৫. ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ১৬ ৪৩৫(আগুন অথবা বিস্ফোরনের দ্রব্যের সাহায্যে  ক্ষতিসাধন); ১৭.৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথ

এসব অপরাধী কোনভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়। সাধারণ ক্ষমা  ঘোষণার পরও ১১ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি এসব অপরাধের দায়ে কারাগারে আটক ছিল এবং তাদের বিচার কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু পরে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সূত্র : ফিরে দেখা '৭১


Bangladeshi women shout slogans demanding the execution of Jamaat-e-Islami leader Abdul Quader Mollah and others convicted of war crimes involving the nation's independence war in 1971, in Dhaka, Bangladesh, Wednesday, Feb. 13, 2013. Protestors urged Prime Minister Sheikh Hasina to review a verdict sentencing the senior leader of Bangladesh's largest Islamic party to life in prison for killings and other crimes. The protesters said the life term was not enough since a tribunal had found Abdul Quader Mollah guilty of five charges, including playing a role in the killing of 381 unarmed civilians. Banner reads we demand the execution of those convicted of war crimes. (AP Photo/Pavel Rahman)

ব্লগ

অ্যামেরিকায়ও শাহবাগের চেতনা স্পষ্ট

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশিরা শাহবাগের আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন৷ তারই কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন অধ্যাপক রাগিব হাসান৷

শাহবাগের চেতনা আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের মানুষ নানা ভাবে নিজেদের এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করছেন৷ অ্যামেরিকাও ব্যতিক্রম নয়৷ সেখানকার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানালেন 'ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালাবামা অ্যাট বার্মিংহাম' এর কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাগিব হাসান৷

  • Protestaktion in Mönchengladbach zu Abdul Quader Molla Gerichtsprozess Bangladesch

    জার্মানিতে শাহবাগের ঢেউ

    'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই'

    শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে যে জনসমুদ্র গর্জে ঘটেছে, তার ঢেউ আছড়ে পড়ছে গোটা দুনিয়ায়৷ জার্মানি বাদ থাকবে কেন? একের পর এক শহরে আয়োজন করা হচ্ছে সমাবেশ, মানববন্ধন৷ দাবি একটাই, 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই'৷

তিনি জানালেন, অ্যামেরিকায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন প্রয়াসের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন৷ তারা শাহবাগের প্রতি সংহতি প্রদর্শন করছেন৷ মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও তারা সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন৷ এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটি তারাও নিজস্ব উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে৷

ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ সহ সোশাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও শাহবাগ আন্দোলনের অভিঘাতের উল্লেখ করেন অধ্যাপক রাগিব হাসান৷ মিশরের 'আরব বসন্ত'এর ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়া যেমন বড় ভূমিকা রেখেছিলো, এ ক্ষেত্রেও সেটা ঘটছে৷ ফেসবুকে শাহবাগ আন্দোলন সংক্রান্ত একাধিক 'পাতা' রয়েছে৷ তাতে আন্দোলনের সব খবরাখবর নিয়মিত দিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এছাড়া টুইটারে #shahbag হ্যাশট্যাগ-কে কেন্দ্র করেও তথ্যের অবাধ আদান-প্রদান চলছে৷ এছাড়া সাহবাগ চত্বর থেকে সরাসরি অডিও ও ভিডিও সম্প্রচারও সারা বিশ্বে বাংলাদেশিদের প্রেরণা জোগাচ্ছে৷

হোয়াইট হাউস-এর ওয়েবসাইটে 'পিটিশন' বা আবেদনের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন তথা প্রেসিডেন্টের নজরে বিষয়টি আনার প্রচেষ্টাও শুরু হয়েছে৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথেষ্ট স্বাক্ষর সংগ্রহ করা গেলে এই উদ্যোগও সফল হবে৷

অধ্যাপক রাগিব হাসান আরও জানালেন, অ্যামেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় মহলে যুদ্ধাপরাধ বিরোধী শক্তির দৌরাত্ম্য কম৷ তবে নিউ ইয়র্ক ও মিশিগানে জামায়াত-শিবিরের প্রতি কিছু সমর্থন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

http://www.dw.de/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F/a-16599574

epa03581692 Bangladeshi activists hold national flag and shout slogans at the Shahbagh intersection, in Dhaka, Bangladesh, 13 February 2013. Reports state that protesters gathered for the ninth day against the life sentence given to the leader of the 'Jamaat-e-Islami' party, Quader Molla, a sentence the protesters call too lenient and demanding capital punishment instead. EPA/MONIRUL ALAM +++(c) dpa - Bildfunk+++

ব্লগ

উত্তাল প্রজন্ম চত্বর - অস্ত্র তাদের ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ

টানা নয়দিন ধরে চলছে আন্দোলন, দাবি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি৷ রাজাকারের বিচার৷ পাঁচই ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ে হতাশ হয়ে রাজপথে নেমেছিলেন তারা৷ এখনও সেখানেই আছেন৷

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই৷ নেই লাঠি-বৈঠা নিয়ে হিংস্র আন্দোলনের আহ্বান৷ নেই জোরপূর্বক ডেকে নিয়ে সমাবেশে হাজির করার নজির৷ মোটকথা, বাংলাদেশের প্রচলিত সহিংস রাজনৈতিক আন্দোলন, হরতালের সঙ্গে কোন মিলই নেই এই চত্বরের৷

  • Bangladesh Protest gegen Kriegsverbrecher

    জেগে আছে প্রজন্ম চত্বর

    লাগাতার আন্দোলন

    শাহবাগে অবস্থান নেওয়া তরুণ প্রজন্ম গত মঙ্গলবার ধরে লাগাতার তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অনড় তারা৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে নিয়মিত সেখানকার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে৷

বরং সেখানে জড়ো হওয়া লাখো মানুষ ছুটে এসেছেন নিজের তাগিদে৷ একাত্তরে লাখো মায়ের কোল খালি করা ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তারা, চান বোনকে ধর্ষণ করা রাজাকারের বিচার৷ বিচার চান ত্রিশ লাখ শহীদের হত্যাকারীদের৷ আর সেই দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে নির্ঘুম সময় কাটাচ্ছে প্রজন্ম চত্বর৷

সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক, টুইটারের পাশাপাশি কমিউনিটি বাংলা ব্লগগুলো এগিয়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের অহিংস এই আন্দোলনকে৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে বুধবার প্রকাশিত এ রকম এক নিবন্ধের শিরোনাম, 'শাহবাগ থেকে উদ্দীপ্ত হয়ে ঘরে ফেরা'৷ ছবিসহ এই নিবন্ধটি লিখেছেন ব্লগার লতিফা লতা৷ তিনি লিখেছেন, ''যতোবার শাহবাগ যাই ততোবার আমি উদ্দীপ্ত হই এবং আবার যাওয়ার তাড়না বোধ করি৷ এ যেন এক ঘোর, এ যেন এক নেশা৷ দেশপ্রেমের এই নেশায় আমি বুঁদ হয়ে থাকতে চাই৷ আমার এই ঘোর যেন কোনোদিন না কাটে৷''

একই ব্লগ সাইটে এম. মিজানুর রহমান সোহেল প্রকাশ করেছেন শাহবাগ বিষয়ক ২০টি ফেসবুক পাতার তথ্য৷ এ রকমভাবে অন্যান্য ব্লগসাইটেও শাহবাগ চত্বর নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে অসংখ্য নিবন্ধ৷ পাশাপাশি ফেসবুক টুইটারে চলছে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের অক্লান্ত পরিশ্রম৷ কখনো প্রজন্ম চত্বরের সর্বশেষ খবর জানাচ্ছেন তারা৷ কখনো নিজেদের আন্দোলনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন এই অ্যাক্টিভিস্টরা৷ 'শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ' শীর্ষক একটি ফেসবুক পাতায় গত কয়েকদিনে জড়ো হয়েছেন প্রায় ৩৪ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী৷ আন্দোলনকারীদের টুইটার হ্যাশট্যাগ হচ্ছে #shahbag৷

এখানে উল্লেখ্য করা যেতে পারে, ডয়চে ভেলের সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ড 'দ্য বব্স' এর মনোনয়ন গ্রহণও চলছে এখন৷ thebobs.com/bengali ঠিকানায় মনোনয়ন জমা দিতে পারেন যেকেউ৷ বিভিন্ন দেশের ১৪টি ভাষার এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষাও রয়েছে৷ ফলে বাংলা ভাষায় সক্রিয় যেকোন অনলাইন আন্দোলনও এই প্রতিযোগিতায় জায়গা পাবে৷

DW.DE

No comments:

Post a Comment